প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ২০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
Published: 19th, June 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্ত দিয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে ২০ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল বুধবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে ভারতের ৭১ ব্যাটালিয়নের সভাপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা শিবগঞ্জ উপজেলার মাসুদপুর সীমান্তের ৪/৫-১ এস আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের পাশ দিয়ে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। ঠেলে দেওয়াদের মধ্যে ৭ নারী ও ১০ শিশু রয়েছে। বিজিবি তাদের আটক করেছে।
৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু জানান, ঠেলে দেওয়া ২০ জন প্রায় ১০ বছর আগে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম এলাকা থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। তারা ভারতের রাজধানীর দিল্লির হরিয়ান এলাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করত। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। ওই ২০ জনকে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঠেলে দেওয়াদের মধ্যে একজন রোজিনা বেগম জানান, কয়েক দিন ধরে বিএসএফ তাদের আটকে রেখেছিল। এ সময় সবাইকে নানা ধরনের নির্যাতন করা হয়েছে। ঠিকমতো খেতে দেয়নি। বাচ্চারা খাবারের জন্য কাঁদলেও তাদের মন গলেনি। বুধবার ভোরে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এ সময় বৃষ্টিতে ভিজে তাঁর সন্তানসহ অন্য শিশুরা ঠান্ডায় কাঁপছিল। বাংলাদেশিরা আমাদের অনেক সাহায্য করছেন।
এদিকে, ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক আল-আমিন নামে এক কিশোরকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ওই কিশোরকে ফেরত আনে বিজিবি। আল-আমিন হবিগঞ্জ জেলা সদরের কালিগাছতলা মহল্লার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, আল-আমিন গত ১৫ জুন জাফলং সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিল। এরপর মঙ্গলবার হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে। তাকে ফেরত পাঠাতে ওই দিনই বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানায়। এরপর রাত ১০টায় বিজিবির কাছে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। আল-আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করে হাকিমপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ চ প ইনব বগঞ জ ব এসএফ প রব শ বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ডাকাত ও ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। প্রায়ই রাতে বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এসকল ডাকাত সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত এক মাসে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি অভিযান চালিয়ে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে ছয়টি পিকআপও জব্দ করেছে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সুমন হোসেন ও সোহাগ নামে দুজন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ি। এসময় তাদের দখলে থাকা একটি পিকআপ জব্দ করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন গ্রেপ্তার করা হয়। উপজেলার মৌচাক ফকিরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকমাস ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে কালিয়াকৈর-মাওনা আঞ্চলিক সড়ক ও ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কে তাদের উৎপাত বেশি।
সড়কে পুলিশ টহল থাকলেও ডাকাত সদস্যরা বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে এরপর সুযোগ বুঝে ডাকাতি করে। এছাড়াও মাওনা কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি করে তারা। পুলিশ এরপর থেকেই বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে।
মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) আব্দুস সেলিম বলেন, “ডাকাতের উপদ্রব বেড়েছে। তবে আমরা ডাকাতদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। গত ১ মাসে আমাদের পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১৫ জন ডাকাত সদস্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং পাঁচটি পিকআপ জব্দ করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে আমাদের টহল পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা গত এক মাসে ২০ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন তথ্য মিলেছে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস