রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় জমি বন্দকের পাওনা টাকা না দেওয়ায় শ্বশুরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ শ্বশুরকে উদ্ধার করে জামাতা ও তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বিকেলে পাংশা মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার সাইদুল প্রামাণিক।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজান মণ্ডল (৫৭), তাঁর দুই ছেলে দাউদ মণ্ডল (২৭) ও নাজমুল মণ্ডল (১৮)। দাউদ মণ্ডল সম্পর্কে আগে ভাগনে হলেও পরে সাইদুল প্রামাণিকের মেয়েকে বিয়ে করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে সাইদুল প্রামাণিক নিজাম মণ্ডলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে জমি বন্দক রাখেন। তবে দীর্ঘ সময়েও জমি বুঝিয়ে দেননি বা টাকা ফেরত দেননি তিনি। পরে সাইদুল তাঁর মেয়েকে নিজাম মণ্ডলের ছেলে দাউদ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ে জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় দাউদের পরিবার টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিসি বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।

গতকাল সকাল ৯টার দিকে সাইদুল প্রামাণিক ভ্যান চালিয়ে নিজাম মণ্ডলের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আটকানো হয়। পরে তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় সাইদুল প্রামাণিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের আজ শুক্রবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাচারকারীর আস্তানা থেকে ৭ নারী-পুরুষ উদ্ধার, আটক ৩

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ৭ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে তাঁদের ওই আস্তানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) এবং পার্শ্ববর্তী বড় ডেইল গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৩০)।

অভিযানের বিষয়ে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কোস্টগার্ড। টেকনাফের কেরনতলীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর। তিনি বলেন, পুরুষদের চাকরি এবং নারীদের বিয়ের আশ্বাসে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য বাহারছড়ার ওই আস্তানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছিল। উদ্ধার হওয়া সবার বাড়ি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং এলাকায়।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতেও সাগরপথে মানব পাচার রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ