পাওনা টাকা না দেওয়ায় শ্বশুরকে গাছে বেঁধে মারধর
Published: 20th, June 2025 GMT
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় জমি বন্দকের পাওনা টাকা না দেওয়ায় শ্বশুরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে পুলিশ শ্বশুরকে উদ্ধার করে জামাতা ও তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় বিকেলে পাংশা মডেল থানায় মামলা করেছেন নির্যাতনের শিকার সাইদুল প্রামাণিক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজান মণ্ডল (৫৭), তাঁর দুই ছেলে দাউদ মণ্ডল (২৭) ও নাজমুল মণ্ডল (১৮)। দাউদ মণ্ডল সম্পর্কে আগে ভাগনে হলেও পরে সাইদুল প্রামাণিকের মেয়েকে বিয়ে করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে সাইদুল প্রামাণিক নিজাম মণ্ডলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে জমি বন্দক রাখেন। তবে দীর্ঘ সময়েও জমি বুঝিয়ে দেননি বা টাকা ফেরত দেননি তিনি। পরে সাইদুল তাঁর মেয়েকে নিজাম মণ্ডলের ছেলে দাউদ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ে জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় দাউদের পরিবার টাকা ফেরতের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিসি বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
গতকাল সকাল ৯টার দিকে সাইদুল প্রামাণিক ভ্যান চালিয়ে নিজাম মণ্ডলের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে আটকানো হয়। পরে তাঁকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পাংশা মডেল থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করে।
পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় সাইদুল প্রামাণিক বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের আজ শুক্রবার রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাসে এনবিআরের রাজস্ব ঘাটতি ৬৫৭৭ কোটি টাকা
চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই–আগস্ট) শুল্ক–কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্দোলন থেমে যাওয়ার পরও রাজস্ব আদায়ে ভালো করতে পারেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ রোববার গত জুলাই–আগস্টের শুল্ক–কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, গত জুলাই–আগস্টে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৬১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এ সময়ে আদায় হয়েছে ৫৪ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ৬ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকা।
গত মে ও জুনে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব হয়নি। আন্দোলনের নানা কর্মসূচিতে রাজস্ব আদায় বিঘ্ন হয়। কিন্তু জুলাই–আগস্টেও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।
এনবিআরের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আন্দোলনের পর এনবিআরের কর্মকর্তাদের মধ্যে বরখাস্ত ও বদলি–আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাজস্ব আদায়ে মনোযোগ কম।
এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাই–আগস্টে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ২২ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা। এ ছাড়া কাস্টমস খাতে ১৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা এবং আয়করে ১৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা আদায় হয়।