‘পানি খাইয়ে’ ১৯ শ্রমিককে অচেতন করে কারখানার মালামাল লুট
Published: 23rd, June 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি অ্যাগ্রো ফুড তৈরির কারখানায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার কালামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই কারখানার ১৯ জন শ্রমকিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোর করে পানিতে মেশানো নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করার পর মালামাল লুট করা হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, উপজেলার কালামপুর এলাকায় সোহাগ অ্যাগ্রো ফুড লিমিটেড নামের অটো রাইস মিল কারখানায় রোববার দিবাগত মধ্যরাতে দেয়াল টপকে ২৫-২৬ জনের একদল ডাকাত প্রবেশ করে। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা পিস্তলসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে কারখানার নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকে রাখে। অপর কক্ষে থাকা ১৯ জন শ্রমিককে গুলি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে প্রথমে সবার হাত-পা বেঁধে মারধর করে।
পরে পানির সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে জোর করে তাঁদের পান করানো হয়। কেউ পানি পান না করলে তাঁদের এলোপাতারি মারধর করা হয়। পরে ডাকাত দলের সদস্যরা কারখানার অফিস থেকে এক লাখ টাকা, দুটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ, মেশিনারি তার, কয়েল, মোটর, মূল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। সোমাবর সকালে অন্য শ্রমিকেরা কারখানায় গিয়ে বিষয়টি টের পেয়ে ভুক্তভোগী শ্রমিকদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
কারখানার নিরাপত্তাকর্মী আবু হানিফ বলেন, রাত দুইটার দিকে দুজন লোক দেয়াল টপকে ভেতরে আসে। তিনি কারণ জিজ্ঞাসা করামাত্রই আরও ৫-৬ জন এসে তাঁর হাত-পা মুখ বেঁধে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে।
কারখানার ভুক্তভোগী শ্রমিক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডাকাতদের দেওয়া পানি খেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। তারপর কিছু বলতে পারব না।’
সোহাগ ফুড অ্যাগ্রো লিমিটেডের ব্যবস্থাপক রাইসুল ইসলাম বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা নগদ টাকাসহ ৬৫ থেকে ৭০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডাকাতদের গ্রেপ্তার এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গুগল মেসেজেসে সংবেদনশীল ছবি ব্লার করার সুবিধা সবার জন্য চালু
গুগল মেসেজেসে এখন সবার জন্য চালু হলো সংবেদনশীল আধেয় বা কনটেন্ট শনাক্ত ও সতর্কবার্তা প্রদানের সুবিধা। গত বছরের অক্টোবরে ফিচারটির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। চলতি বছরের এপ্রিলে মেসেজেসের পরীক্ষামূলক সংস্করণের কিছু ব্যবহারকারী প্রথম এ সুবিধা পান। অবশেষে ঘোষণার প্রায় ১০ মাস পর অ্যান্ড্রয়েডের সব ব্যবহারকারীর জন্য ফিচারটি উন্মুক্ত হলো।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ৯টু৫ গুগলের তথ্যমতে, ‘সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ বা সংবেদনশীল কনটেন্ট সতর্কবার্তা চালু করলে নগ্নতা রয়েছে, এমন ছবি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঝাপসা হয়ে যাবে। চাইলে ছবিটি না খুলেই মুছে ফেলা যাবে। এ ধরনের ছবি পাঠানো প্রেরককে ব্লক করার অপশনও থাকবে। তবে ছবি দেখতে হলে ‘নেক্সট’ চাপ দিয়ে অনুমতি দিতে হবে।
গুগল জানিয়েছে, ফিচারটির সব প্রক্রিয়াই ব্যবহারকারীর যন্ত্রে সম্পন্ন হয়। ফলে কোনো সংবেদনশীল ছবি গুগলের সার্ভারে সংরক্ষিত বা আপলোড হবে না। কিশোর ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ডিফল্টভাবে চালু থাকবে। তত্ত্বাবধানে থাকা অ্যাকাউন্টে এটি বন্ধ করার সুযোগ থাকবে না। তবে অভিভাবকেরা ‘ফ্যামিলি লিংক’ অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। প্রাপ্তবয়স্ক অ্যাকাউন্টে ফিচারটি ঐচ্ছিক ও ডিফল্টভাবে বন্ধ থাকবে।
সুবিধাটি ব্যবহার করতে চাইলে গুগল মেসেজেস অ্যাপে গিয়ে প্রোফাইল ছবিতে চাপ দিয়ে ‘মেসেজেস সেটিংস’ নির্বাচন করতে হবে। এরপর ‘প্রটেকশন অ্যান্ড সেফটি’তে গিয়ে ‘ম্যানেজ সেনসিটিভ কনটেন্ট ওয়ার্নিংস’ অপশনে গিয়ে ফিচারটি চালু করা যাবে। পুরোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ফিচারটি ব্যবহার করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে ‘সেফটিকোর’ অ্যাপ ডাউনলোড করতে হতে পারে।
ফিচারটি চালু থাকলে শুধু ছবি দেখার সময় নয়, কোনো সংবেদনশীল ছবি পাঠানো বা ফরোয়ার্ড করার আগেও সতর্কবার্তা দেখা যাবে। সতর্কবার্তায় ডান দিকে সোয়াইপ করে অনুমোদন দিতে হবে। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে সংবেদনশীল ছবি শেয়ার হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে। এই সতর্কবার্তা কেবল স্থির ছবির ক্ষেত্রে কার্যকর। জিআইএফ বা ভিডিও ফাইলের ক্ষেত্রে সুবিধাটি প্রযোজ্য নয়।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েডপুলিশ