ছোট্ট শিশু কাঁদলে তাকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ি। একটা সময় পর্যন্ত কান্না ছাড়া নিজের খিদের কথা জানান দেওয়ার আর কোনো ভাষা শিশুর থাকে না। তবে বাস্তবতা হলো, খিদে পেলে একদম নিরুপায় হয়ে কাঁদে শিশু। খিদে পেলে কান্নার আগে নানা আচরণ দিয়ে আরও কিছু ইঙ্গিত সে করে।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরামর্শক, শিশুবিশেষজ্ঞ ডা.
তাসনুভা খান বলেন, ছোট্ট শিশু ক্ষুধার অনুভূতি অনেকভাবেই প্রকাশ করে। এরপরও সে খাবার না পেলে অস্থির হয়ে ওঠে, নিজের মতো করে কিছুটা বিরক্তিও প্রকাশ করে। তারপরও যদি খাবার না পায়, তখন সে কাঁদে।
এ সম্পর্কে এই বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে আরও কিছু জেনে নেওয়া যাক।
খিদের জানান দেওয়াঘুমের মাঝে খিদে পেলে শিশুর ঘুম ভেঙে যায়। সে চোখ বড় করে চারদিকে তাকায়। মাথা ও ঘাড় নাড়ায় এদিক-ওদিক। দেখে মনে হয়, সে বুঝি কিছু খুঁজছে।
খিদে পেলে ছোট্ট শিশু একটু পরপর জিহ্বা বের করে। মুখ খোলা-বন্ধ করা বা দুধ খাওয়ার মতো মুখভঙ্গি করার মাধ্যমেও খিদের জানান দেয়। খিদে পেলে শিশুর লালাও গড়িয়ে পড়তে পারে।
হাত মুখের কাছে নিয়ে এসে আঙুল মুখে পুরে দেওয়া বা আশপাশে কোনো কাপড় থাকলে মুখে পুরে দেওয়াও হতে পারে খিদের বহিঃপ্রকাশ। খিদে পেলে অস্থির হয়ে অনেক শিশুকে হাত মুঠ করে ফেলতেও দেখা যায়।
আরও পড়ুনশিশুর উচ্চতা বাড়াতে যেসব খাবার দিতে পারেন১৮ এপ্রিল ২০২৪যখন খিদে নেইশিশু হাত খেতে থাকলে বুঝতে হবে তার খিদে লেগে থাকতে পারেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে পৃথক করা হয়েছে, মামলাজট কমার আশা
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে সম্পূর্ণভাবে পৃথক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতকে পৃথক করা হয়েছে। এর ফলে মামলা পরিচালনার সময় বাঁচবে এবং মামলার নিষ্পত্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।
জেলা আদালতগুলোতে যুগ্ম জেলা জজ, অতিরিক্ত জেলা জজ এবং জেলা জজ—এই তিন পর্যায়ের বিচারকেরা একই সঙ্গে দেওয়ানি ও ফৌজদারি (দায়রা) মামলার বিচার করেন। একই বিচারকের ওপর এই দ্বৈত দায়িত্ব মামলাজট এবং বিচারিক দীর্ঘসূত্রতার একটি প্রধান কারণ।
আইন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের অধস্তন আদালতগুলোতে বর্তমানে বিচারাধীন দেওয়ানি মামলার সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ এবং ফৌজদারি মামলা প্রায় ২৩ লাখ। ফৌজদারি মামলা দেওয়ানি মামলার তুলনায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও ফৌজদারি বিচারককে উভয় ধরনের মামলা পরিচালনা করতে হয়। এর ফলে মামলা নিষ্পত্তির গতি হ্রাস পায় এবং মামলাজট বৃদ্ধি পায়।
এই বাস্তবতা বিবেচনায় পৃথক ২০৩টি অতিরিক্ত দায়রা আদালত এবং ৩৬৭টি যুগ্ম দায়রা আদালত প্রতিষ্ঠা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই আদালতগুলোতে বিচারকেরা কেবল ফৌজদারি মামলার বিচার করবেন। ফলে বিচারকদের দ্বৈত দায়িত্বের অবসান ঘটাবে এবং বিচারিক কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি তৈরি হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদ্যমান মামলাজট উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে বলে আশা করছে আইন মন্ত্রণালয়।