রাজশাহীতে ট্রেনে পাথর ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল, ঘটনা বিশ্লেষণ করছে কর্তৃপক্ষ
Published: 5th, August 2025 GMT
রাজশাহীতে ছাত্র-জনতার জন্য সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় এই ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রেনের সামনে গিয়ে পাথর ছুড়ে মারেন এক তরুণ। এর আগে ওই তরুণ নিজেকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করে বক্তব্য দেন। রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে আজ মঙ্গলবার সকালের এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে ট্রেন পছন্দ হয়নি, ‘জুলাই যোদ্ধারা’ বসে পড়লেন রেললাইনে৭ ঘণ্টা আগেরেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, তাঁরা ঘটনাটি বিশ্লেষণ করছেন। ভিডিওর ঘটনা সত্য হলে ওই তরুণের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুলাই যোদ্ধাদের আপত্তির মুখেও বিশেষ ট্রেনটি যেতে শুরু করলে সামনে পাথর হাতে দাঁড়িয়ে ওই তরুণ চালককে বার বার বলছেন, ‘ব্রেক ধরেন’। তারপরও ট্রেনটি এগিয়ে যেতে থাকলে হাতের পাথর ট্রেনের ওপর ছুড়ে মারেন ওই তরুণ।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাবরি চুল-দাড়িওয়ালা চশমা পরা ওই তরুণ পাথর নিক্ষেপের পর ট্রেনটি থেমে যায়। কয়েক সেকেন্ড পর ট্রেনটি আবার চলতে শুরু করলে ইঞ্জিনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওই তরুণ চালককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘এই দাঁড়ান। দাঁড়ান, দাঁড়ান, দাঁড়ান’। পরে ট্রেনটি থেমে যায়। এ ঘটনার পর বিশেষ ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা ওই তরুণকে ঘিরে ধরেন। তাঁর সঙ্গে তাঁরা বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে অন্যদের তোপের মুখে নিজের মতো মাথায় পতাকা বান্ধা আরেক তরুণকে সঙ্গে নিয়ে ভিড় ঠেলে বের হয়ে পাশের প্ল্যাটফর্মে গিয়ে সিল্কসিটি ট্রেনে উঠে বসেন ওই তরুণ।
ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়ে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে আইনের ১২৭ ধারায় শাস্তির বিধান আছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার পাশাপাশি ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের কথাও বলা আছে। পাথর নিক্ষেপের কারণে কোনো যাত্রী মারা গেলে ৩০২ ধারায় ফাঁসির বিধান আছে। আর পাথর নিক্ষেপকারী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে তাঁর অভিভাবকের শাস্তির বিধানও আছে।
সরকারের ভাড়া করা বিশেষ ট্রেন পছন্দ না হওয়ায় একজনকে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়তে দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী রেলস্টেশনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ট র নট
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
রূপগঞ্জে ৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে এএসবি আরএম নামে এক ষ্টীল মিল কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও বিদুৎতের খুটি ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বরপা এলাকায় কারখানার সামনে এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় প্রায় ১ ঘন্টা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে সড়কের দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এএসবিআরএম স্টীল মিল কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও বেতন দেই দিচ্ছি বলে নানা টালবাহানা শুরু করেন।
মঙ্গলবার শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেননি।
এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে শ্রমিকরা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে থাকেন।পরে কারখানার মালিক আবুল কালাম বকেয়া বেতন পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন।
কারখানার মালিক আবুল কালাম বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের দাবিদাওয়া পরিশোধ করে দেবো। শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেছেন।
রুপগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।