বাবার স্বপ্নপূরণের পথে আরও এক ধাপ এগোলেন ছেলে।

বাবার নাম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ছেলে রোনালদো জুনিয়র। পরিবারের এই বড় ছেলেকে নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে এক স্বপ্নের কথা বলেছিলেন রোনালদো, ‘আমি আমার ১৪ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে খেলতে চাই। দেখা যাক কী হয়। এটা আমার চেয়ে তার ওপর বেশি নির্ভর করছে।’

অবশ্যই তাই। রোনালদোর বয়স এখন ৪০ বছর। তাঁর যে ফিটনেস তাতে আরও দুই-তিন বছর খেলে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। এর মধ্যে রোনালদো জুনিয়র জাতীয় দল কিংবা ক্লাবের মূল দলে সুযোগটা পেয়ে গেলে তো কথাই নেই। বাবার ক্লাব আল নাসরের বয়সভিত্তিক দলে লেফট উইঙ্গার হিসেবে খেলছেন জুনিয়র। চলতি বছরের মে মাসে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলেও ডাক পেয়েছেন। বয়সভিত্তিক এ দলের হয়ে চার ম্যাচ খেলে জুনিয়র গোলও পেয়েছেন। নতুন খবর হলো, পর্তুগালের বয়সভিত্তিক দলের ধাপে এক ধাপ উন্নতি হয়েছে জুনিয়রের। পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।

রোনালদোর সঙ্গে তাঁর ছেলে রোনালদো জুনিয়র.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ত গ ল

এছাড়াও পড়ুন:

জেল খাটা কোচের হাত ধরে ১৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা

অনেক সময় ব্যর্থতা যখন চারপাশ থেকে আঁকড়ে ধরে, তখন সবার অপেক্ষা থাকে পথপ্রদর্শকের জন্য—যিনি এসে সব জীর্ণতা ও সংকট থেকে উদ্ধার করবেন। আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক ফুটবলে তেমনই এক ত্রাতা হয়ে এসেছেন ডিয়েগো প্লাসেন্তে। তাঁর হাত ধরে ১৮ বছর পর আবারও অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দল। এখন অপেক্ষা শিরোপা জয়ের।  

একসময় আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স ও বায়ার লেভারকুসেনসহ বিভিন্ন দলে খেলা সাবেক লেফটব্যাক প্লাসেন্তে বর্তমানে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব–২০ দলের কোচ। তাঁর অধীনে আগামী সোমবার অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে মরক্কোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় ভোর পাঁচটায় শুরু হবে এই ম্যাচ।

আর্জেন্টিনার বয়সভিত্তিক দলের হয়ে মাঠে পাওয়া সাফল্যের পাশাপাশি প্লাসেন্তের জীবনে কিছু চমকপ্রদ ঘটনাও আছে।

১৯৯৫ সালে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে পেশাদার ফুটবলে অভিষেক প্লাসেন্তের। দারুণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে তিনি দ্রুত নজর কাড়েন রিভার প্লেটের এবং দুই মৌসুম পরই যোগ দেন সেখানে।

আরও পড়ুনলাওতারো রিভেরো: ফুটপাতের বিস্কুট বিক্রেতা থেকে আর্জেন্টিনা দলে মেসির সতীর্থ০৫ অক্টোবর ২০২৫

রিভার প্লেটে সফল সময় কাটানোর পর প্লাসেন্তে পাড়ি জমান জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেনে। ইউরোপে পরবর্তী সময়ে তিনি আরও খেলেছেন স্পেনের সেল্তা ভিগো এবং ফ্রান্সের বোর্দোয়। এরপর দেশে ফিরে দক্ষিণ আমেরিকার পরাশক্তি আর্জেন্টিনার সান লরেঞ্জো ও উরুগুয়ের ন্যাসিওনাল দে মন্টেভিদেওর মতো ক্লাবের হয়েও খেলেছেন প্লাসেন্তে।

শুধু ক্লাব পর্যায়েই নয়, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলেও একসময় খেলেছেন প্লাসেন্তে। ১৯৯৭ সালে মালয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে সাহায্য করেছিলেন, আর মূল জাতীয় দলে খেলেছেন ২০০২ সালের বিশ্বকাপে এবং ২০০৪ কোপা আমেরিকায়। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে ২০০০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ২২ ম্যাচ খেলেছেন প্লাসেন্তে।

তবে শুধু ফুটবলার পরিচয়ে তাঁকে আটকে রাখার সুযোগ নেই। ফুটবলের পাশাপাশি তাঁর ভালোবাসা ছিল সংগীতে, বিশেষ করে আর্জেন্টাইন রক গান। জীবনের অজানা দিক নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্লাসেন্তে একবার বলেছিলেন, তিনি ‘লস রেদোন্দোস’ ব্যান্ডের ভক্ত। এমনকি ব্যান্ডটির কনসার্ট মিস না করতে অদ্ভুত কিছু কাজও করেছিলেন।

১৮ বছর পর শিরোপা জয়ের অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পর্তুগাল দলে ডাক পেলেন রোনালদো-পুত্র
  • জেল খাটা কোচের হাত ধরে ১৮ বছর পর বিশ্বকাপ জেতার অপেক্ষায় আর্জেন্টিনা