ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী পাঁচ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলা শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করতে হবে: ওয়াহেদ

ডাকসু নির্বাচন: ভোটের দিন বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি

তার দেওয়া পাঁচ দফা ইশতেহার হলো- ডায়েট ফর অল অর্থাৎ কেউ না খেয়ে ক্লাসে যাবে না; ডায়ালগ, ডিবেট, ডিসাইড অর্থাৎ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না কেউ, ডিজিটালাইজ দ্যা লর্ডস অর্থাৎ লাল ফিতার শিকল ভাঙবে শিক্ষার্থীরা, ডিফেন্ড ইওর গ্রাউন্ড অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ইঞ্চি মাটি হবে নিরাপদ; ডিবাঙ্ক অ্যান্ড ডিসাইড অর্থাৎ গবেষণাভিত্তিক ঢাবি আর স্বপ্ন নয়।

এ সময় তাহমিদ বলেন, “দলীয় প্যানেলের যারা, তার বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্য করে যাচ্ছে। দলীয় প্যানেলের প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

তিনি বলেন, “ছাত্রদল, শিবির ও উমামার প্যানেল স্লোগান দেওয়াসহ নানা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। উমামা রাতে একটা হলে অবস্থান করেছে, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা এই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্যানেলের নারী প্রার্থীদের অনলাইনে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। চারুকলায় নারী প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করা হয়েছে। প্রশাসন নাকি তাদের চিহ্নিত করতে পারেনি।”

তাহমিদ আরো বলেন, “একটি প্যানেল বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করছে। অথচ প্রশাসন টিনের চশমা পরে বসে আছে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অর থ ৎ

এছাড়াও পড়ুন:

মনোনয়নপত্র নিতে এসে স্লোগান, আচরণবিধি ভাঙলেন এক শিক্ষার্থী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) মনোনয়নপত্র নিতে এসে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। তাঁর নাম সালমান রহমান। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে চাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যপদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি।

নির্বাচনী আচরণবিধি–২ এর ক অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না।

সরেজমিনে দেখা যায়, সালমান রহমান ৮ থেকে ১০ জন সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে আসেন। মনোনয়নপত্র নেওয়ার পর চাকসু ভবনের ভেতরেই সালমানের নাম ধরে স্লোগান দেন সমর্থকেরা। স্লোগান দিতে দিতে চাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে নামেন তাঁরা। এ সময় সালমান রহমান সবার মাঝখানেই ছিলেন। তাঁকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখা যায়।

আচরণবিধি ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করে সালমান রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে লড়বেন। তাঁর সমর্থকেরা না বুঝে স্লোগান দিয়েছেন। এ ধরনের ভুল আর হবে না।

জানতে চাইলে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এসব বিষয় দেখভালের জন্য চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আগামী ১২ অক্টোবর চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার মোট ভোটার ২৭ হাজার ৬৩৭ জন। গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে মনোনয়নপত্র বিতরণ। আজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার শেষ দিন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়নপত্র বুধবার পর্যন্ত জমা দেওয়া যাবে। যাচাই-বাছাই হবে ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হবে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৩ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাত্রশিবিরের ভরসা ওএমআর মেশিনে, ছাত্রদল চায় হাতে ভোট গণনা
  • গকসু নির্বাচন: জিএস প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
  • মনোনয়নপত্র নিতে এসে স্লোগান, আচরণবিধি ভাঙলেন এক শিক্ষার্থী
  • রাকসুর নির্বাচনি প্রচার শুরু, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা