ডাকসু: স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিদের ৫ দফা ইশতেহার ঘোষণা
Published: 6th, September 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বতন্ত্র সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী পাঁচ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।
আরো পড়ুন:
‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলা শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করতে হবে: ওয়াহেদ
ডাকসু নির্বাচন: ভোটের দিন বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি
তার দেওয়া পাঁচ দফা ইশতেহার হলো- ডায়েট ফর অল অর্থাৎ কেউ না খেয়ে ক্লাসে যাবে না; ডায়ালগ, ডিবেট, ডিসাইড অর্থাৎ জবাবদিহিতার বাইরে থাকবে না কেউ, ডিজিটালাইজ দ্যা লর্ডস অর্থাৎ লাল ফিতার শিকল ভাঙবে শিক্ষার্থীরা, ডিফেন্ড ইওর গ্রাউন্ড অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ইঞ্চি মাটি হবে নিরাপদ; ডিবাঙ্ক অ্যান্ড ডিসাইড অর্থাৎ গবেষণাভিত্তিক ঢাবি আর স্বপ্ন নয়।
এ সময় তাহমিদ বলেন, “দলীয় প্যানেলের যারা, তার বিশেষ সুবিধা পাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতি বৈষম্য করে যাচ্ছে। দলীয় প্যানেলের প্রার্থীদের আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”
তিনি বলেন, “ছাত্রদল, শিবির ও উমামার প্যানেল স্লোগান দেওয়াসহ নানা আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। উমামা রাতে একটা হলে অবস্থান করেছে, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা এই নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত। আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্যানেলের নারী প্রার্থীদের অনলাইনে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। চারুকলায় নারী প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করা হয়েছে। প্রশাসন নাকি তাদের চিহ্নিত করতে পারেনি।”
তাহমিদ আরো বলেন, “একটি প্যানেল বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে লিফলেট বিতরণ করছে। অথচ প্রশাসন টিনের চশমা পরে বসে আছে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর তফসিল সোমবার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
রবিবার (২ নভেম্বর) চূড়ান্ত করা হবে নির্বাচনি আচরণবিধি এবং আগামীকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল।
জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “২৭ নভেম্বর নয়, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে জকসু নির্বাচন হবে। সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ডিসেম্বরের ৮, ৯ বা ১০ তারিখ যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যেহেতু ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে এবং ১১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ কর্মদিবস—সেক্ষেত্রে ১০ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচনের সম্ভাবনা বেশি।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম জকসু নির্বাচন। তাই প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করতে কিছুটা সময় লাগছে। অনেক ছাত্র সংগঠনও ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়, যাতে তারা প্রচারণা চালাতে পারে। তবে আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব একটি উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজন করতে।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বলেন, “ভোটার তালিকা, প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা, ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া—এসব খসড়া তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধিও প্রস্তুত করা হয়েছে চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল অনুসরণ করে।”
আজ সব কার্যকর ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও নির্বাচনের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে আচরণবিধি চূড়ান্ত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “কেউ যেন দ্বিমত না করে, সেটিই আমাদের লক্ষ্য। আচরণবিধি চূড়ান্ত হলেই সোমবার বা মঙ্গলবার তফসিল ঘোষণা করব।”
ছাত্রদলের সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ বৃদ্ধির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “জকসুর সংবিধি পাস হয়ে গেছে। এখন এটি সংশোধন করতে হলে একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট, ইউজিসি, মন্ত্রণালয় এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন লাগবে—এটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই নতুন করে সংযোজনের সুযোগ নেই।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেটা স্বীকার করছি। তবে আমরা চাই, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে। অন্যান্য ক্যাম্পাসের তুলনায় জবির ছাত্র সংগঠনগুলো অনেক ঐক্যবদ্ধ। তাদের সহযোগিতা পেলে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই হবে জকসু নির্বাচন।”
অধ্যাপক মোস্তফা হাসান আশা প্রকাশ করে বলেন, “২০ বছর পর প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা চাই, জবির এই নির্বাচন সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক।”
ঢাকা/লিমন ইসলাম/ইভা