১৯ বছর ধরে মিথ্যা মামলার শিকার যুবদল নেতা আনোয়ার
Published: 10th, September 2025 GMT
২০০৬ সালের ৩১ জুলাই। সেদিন এডভোকেট মুফিজ সাহেব বাসায় ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে শ্বশুরবাড়িতে তার শালিকার রুমে অবস্থান করছিলেন কাজি আলমাসের ভাই শাহ আলম।
বিষয়টি জানতে পেরে মুফিজের শ্বশুর শাহ আলমকে মারধর করেন। পরে শাহ আলম তার ভাইদের ফোন দিলে তারা বাসার দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে।
এরপরের দিন সকালে মুফিজ থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, শ্বশুর ও শালিকার কাছ থেকে শুনেছেন তার বাসায় নাকি ডাকাতি হয়েছে।
এ মামলায় পুলিশ এলাকায় নিরীহ দুই যুবক মাসুদ ও শোখনকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ রয়েছে, পরে ভুক্তভোগী জামিনের জন্য মুফিজের চেম্বারে গেলে তিনি পুলিশকে খবর দিয়ে তাকেও গ্রেপ্তার করান।
এরপর শুরু হয় দীর্ঘ আইনি লড়াই। প্রায় ১৯ বছর ধরে মামলা চলার পর গত ১০ আগস্ট জেলা আদালতে রায় ঘোষিত হয়। আদালত ভুক্তভোগীকে সাজা দেন। তিনি ২৯ দিন কারাভোগ করার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান।
ভুক্তভোগীর দাবি, “আমার নামে দায়ের করা মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। আমি প্রায় দুই দশক ধরে হয়রানি সহ্য করেছি। এখন আমি এই মামলার সঠিক বিচার চাই।”
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
রাজধানীতে হাত ও পা বেঁধে রড দিয়ে পিটিয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে যাত্রাবাড়ীর কাউন্সিল শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির একটি কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বিদ্যুৎমিস্ত্রি ছিলেন আনোয়ার হোসেন। তাঁর কর্মস্থল ছিল পুরান ঢাকার সদরঘাটে। পারিবারিক সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে রাজধানীর মাতুয়াইলের মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকতেন।
আনোয়ারের ভাই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল ভোরে আনোয়ার বাসা থেকে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বের হন। পরে খবর পান, তাঁর ভাইকে কাউন্সিল উত্তর শরিফ পাড়ায় বাসের অবকাঠামো তৈরির গ্যারেজে নিয়ে হাত–পা বেঁধে রাখা হয়েছে। এরপর সেখানে গিয়ে আনোয়ারের হাত–পা বাঁধা ও রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখতে পান তাঁর মা।
লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়েছে বলে মৃত্যুর আগের তাঁর মাকে জানিয়েছিলেন আনোয়ার। তাঁর ভাই এ কথা জানিয়ে বলেন, এর কিছুক্ষণ পরই ঘটনাস্থলেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়। এরপর যাত্রাবাড়ীর থানা-পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
গতকাল সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে সঙ্গী সুমনকে নিয়ে আনোয়ার বাসের কাঠামো তৈরির কারখানায় চুরি করতে যান। এ সময় সেখানে থাকা লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে। তাঁর সঙ্গী সুমন পালিয়ে যান।