“আমি উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম। কয়েকদিন আগে কোটালীপাড়ার সাংবাদিক হাসান-মিজানকে মারার অপরাধে আমাকে বরখাস্ত করছে দল। আমি ভালো-মন্দ বুঝে বিএনপি করি। আওয়ামী লীগের আমলে ৪৩টি মামলা খেয়েছি। হাসান-মিজানকে মারতে পারলে ওনারে (মানিক লাল ভট্টচার্য ওরফে কালু ঠাকুর) মারতে কি আমার সময় লাগে”

রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে এভাবেই কথাগুলো বলেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে স্থানীয় ঘাঘর বাজারের মালিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) নামে এক ব্যবসায়ীর দোকানঘর দলখের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

দ্রুতই দেশে ফিরে আসব, নির্বাচনে অংশ নেব

চুয়াডাঙ্গা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মারা গেছে

অভিযুক্ত আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু উপজেলার চিতশী গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক হাওলাদারের ছেলে।

আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু বলেন, “কালু ঠাকুর যে দোকানঘরটি নিজের বলে দাবি করছেন, সেটি আমার কেনা সম্পত্তি।”

মানিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) বলেন, “আমি কোটালীপাড়া থানাধীন ৫২ নং কয়খা মৌজার ৫৪৭ নং বিআরএস খতিয়ানে ঘাঘর বাজারের কাঠ পট্টিতে দলীলমূলে ক্রয়কৃত ২০ শতাংশ জায়গায় তিনটি দোকানঘর তুলে ২৭ বছর ধরে ব্যবসা করছি। গত বছরের ৫ আসস্টের পরে বিএনপি নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু আমার একটি দোকানঘর দখল করেন। আমি দোকান ঘরের কাছে গেলে তিনি আমাকে মারধর ও জীবনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।”

কালু ঠাকুরের পাশের দোকানের কর্মচারী ওবায়দুল মোল্লা বলেন, “দোকানটি কালু ঠাকুরের বলে আমরা জানতাম। এখন বিএনপি নেতা আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু তার বলে দাবি করছেন।”

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, আমি এই থানায় যোগদান করার আগে মানিক লাল ভট্টাচার্য (কালু ঠাকুর) অভিযোগটি করে ছিলেন। তিনি নতুন করে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত ২৬ আগস্ট একটি প্রকাশিত সংবাদের সূত্রধরে আবুল বশার হাওলাদার বাচ্চু লোকজন নিয়ে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি এইচ এম মেহেদী হাসানাত ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বুলুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অভ য গ উপজ ল ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে সংঘাতে থাই সেনা নিহত, পাল্টা বিমান হামলা থাইল্যান্ডের

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া নতুন করে আন্তসীমান্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে। থাই সেনাবাহিনী আজ সোমবার বলেছে, সীমান্তে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে এক থাই সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া দুই পক্ষই সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। এদিকে থাই সেনাবাহিনীর বরাতে রয়টার্স বলেছে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সীমান্তে বিমান হামলা শুরু করেছে থাইল্যান্ড।

আজ ভোরে উবন রাচাথানি প্রদেশে কম্বোডিয়ার সেনারা থাইল্যান্ডের বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর পর থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র উইনথাই সুবারি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী খবর পেয়েছে যে থাই সেনাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজন সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন।

এদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচিয়াতা বলেন, আজ ভোরে প্রিয়াহ ভিহিয়ার ও ওদ্দার মিনচে প্রদেশে কম্বোডিয়ার সেনাদের ওপর থাই বাহিনীই প্রথম হামলা চালিয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, হামলার জবাবে কম্বোডিয়া পাল্টা হামলা চালায়নি।

আরও পড়ুনথাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ২৬ জুলাই ২০২৫

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল উইনতাই সুবারি বলেছেন, থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সঙ্গে তাদের বিরোধপূর্ণ সীমান্তে বিমান হামলা শুরু করেছে। দুই দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলার পর এ হামলা শুরু হয়।

চলতি বছরের জুলাইয়েও থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত সংঘাত শুরু হয়েছিল। তখন এই সীমান্তবিরোধ টানা পাঁচ দিনের যুদ্ধে রূপ নিয়েছিল। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। গত অক্টোবরে কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে বর্ধিত মেয়াদে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুনশত বছরের বৈরিতা অবসানে ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি সই২৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ