৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে খুলনায় রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছেন প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ খুলনা বিএল কলেজ, কুয়েট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) শিক্ষার্থীরা। এতে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। 

রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিএল কলেজসংলগ্ন রেললাইন অবরোধ করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে, সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা রেলপথ থেকে উঠে যাওয়ায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত পিএসসি যৌক্তিক সময় না বাড়াবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। এর আগে গত ৯ নভেম্বর থেকে এ আন্দোলন শুরু হয় দেশব্যাপী।

খুবির শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, ‘‘আমাদের একটাই দাবি সেটা হলো লিখিত পরীক্ষার সময় পিছিয়ে একটা যৌক্তিক সময় নির্ধারণ করা। আমরা দ্রুত পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই।’’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে এলেও পিএসসি  একরোখা মনোভাব পোষণ করে রেখেছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু আজও আমরা পজিটিভ কোনো উত্তর পাইনি।’’

অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘দ্রুত নতুন সময় নির্ধারণ করে পিএসসি থেকে নোটিশ দিতে হবে। না হলে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’’

এর আগে রবিবার দুপুর থেকে রেললাইন অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। ফলে সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের রেলপথ থেকে সরে যাওয়ার জন্য রেলওয়ে পুলিশ, দৌলতপুর থানা পুলিশসহ কেএমপি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুরোধ জানান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা রেললাইনের উপর বসে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।

রাতে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো.

জাকির হোসেন বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন এক্সপ্রেস বিকেল সাড়ে ৩টায় খুলনা স্টেশনে প্রবেশের কথা থাকলেও দৌলতপুর স্টেশনে আটকে যায়। অবরোধ তুলে নেওয়ায় ৫ ঘণ্টা ১৮ মিনিট পর রাত ৮টা ৪৮ মিনিটে ট্রেনটি খুলনা স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। এ ছাড়া সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস বিকেল ৪টায় রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অবরোধ তুলে নেওয়ার পর রাত ৯টায় ছেড়ে যায়।’’

ঢাকা/নুরুজ্জামান 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ র লপথ

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, হতে পারে নিম্নচাপ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি এখন সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তবে এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে কয়েক দিন পর।

চলতি মাসের শেষে একটি নিম্নচাপ এবং সেখান থেকে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। তবে এবারের সুস্পষ্ট লঘুচাপ শেষ পর্যন্ত নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সে সম্পর্কে এখনই বলা যাবে না বলেই জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবীর। তিনি আজ রোববার প্রথম আলোকে প্রথম আলোকে বলেন, এখন লঘুচাপটি আন্দামান সাগরের দিকে আছে। আগামীকাল সোমবার এটি ঘনীভূত হতে পারে। এর অবস্থান এত দূরে যে এটি আসতে আসতে তা কতটুকু শক্তিশালী থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হলে এর প্রভাব কী বাংলাদেশের উপকূলে পড়তে পারে বা এর প্রভাবে কী বৃষ্টি হতে পারে—এর জবাবে আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবীর বলেন, এখন লঘুচাপটির যে অবস্থান সে অনুযায়ী এটি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূল হয়ে আসবে। এরপর এর দীর্ঘ পথ আছে। বাংলাদেশের উপকূলে আসতে আসতে এর কতটুকু শক্তি থাকবে, তা বলা শক্ত। আর বৃষ্টি হলেও তা এ মাসের শেষের দিকে হতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। তবে ভোরের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ