স্বামী-শাশুড়ির নির্যাতনে গর্ভপাতের অভিযোগ
Published: 13th, October 2025 GMT
যশোরের চৌগাছায় মারধর ও দুই দিন না খাইয়ে রাখায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভপাত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের নগর বর্নি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কাকলী (১৬) নামে এক নারীকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে মারধর করেন স্বামী রানা (১৯)। এরপর শাশুড়ি রেহেনা গৃহবধূকে দুই দিন না খাইয়ে রাখেন। পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মৃত সন্তান জন্ম দেন।
আরো পড়ুন:
খুমেক হাসপাতালে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে নিষেধাজ্ঞা
‘সঠিক চিকিৎসা নিলে স্তন ক্যানসার থেকে বাঁচা সম্ভব’
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আহসান মিজান রুমি জানান, অতিরিক্ত আঘাত পাওয়ার কারণেই বাচ্চাটি মারা গেছে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিষয়টিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কাকলির পক্ষ থেকে থানায় লিখিত কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি বলেও জানান ওসি আনোয়ার হোসেন।
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
টেকনাফে পাচারকারীর আস্তানা থেকে ৭ নারী-পুরুষ উদ্ধার, আটক ৩
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ে পাচারকারীদের আস্তানা থেকে ৭ নারী-পুরুষকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে তাঁদের ওই আস্তানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। গতকাল রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের আবদুর রহমান (৩২), হামিদ হোসেন (২৮) এবং পার্শ্ববর্তী বড় ডেইল গ্রামের হেলাল উদ্দীন (৩০)।
অভিযানের বিষয়ে আজ সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কোস্টগার্ড। টেকনাফের কেরনতলীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর। তিনি বলেন, পুরুষদের চাকরি এবং নারীদের বিয়ের আশ্বাসে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের জন্য বাহারছড়ার ওই আস্তানায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাঁদের আটকে রেখে টাকা আদায়ের চেষ্টা চলছিল। উদ্ধার হওয়া সবার বাড়ি উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং এলাকায়।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সালাউদ্দিন রশিদ তানভীর বলেন, অভিযানে জব্দ হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র এবং আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ভবিষ্যতেও সাগরপথে মানব পাচার রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।