সকাল হলেই জেগে ওঠে এক বেলার ‘সুপারি হাট’
Published: 23rd, October 2025 GMT
বাজারটি প্রায় শত বছরের পুরোনো। উনিশ শতকের ত্রিশ-চল্লিশের দশকে মনু নদের পাড় ঘেঁষে হাটটি গড়ে উঠেছে। কালের যাত্রায় হাটটির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাজারের আয়তন বেড়েছে, দালানকোঠা তৈরি হয়েছে। এই অনেক কিছুর বদল হয়েছে, তবে বদল হয়নি শরৎ-হেমন্তকালের হাটে সপ্তাহে অন্তত দুই দিনের চেহারা। ওই দুই দিন সকাল হলেই আলাদা চেহারা নিয়ে জেগে ওঠে ‘সুপারি হাট’।
সুপারির হাটটি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কামালপুর বাজারের। ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে বিস্তৃত দোকানপাট নিয়ে বাজারটি কমবেশি সব রকম পণ্যেরই হাট। শুধু সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার—এই দুই দিন ব্যতিক্রম। ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ মাসের সময়টিতে এই দুই দিন সকালবেলা বাজারটিতে আলাদা করে সুপারির হাট বসে। কামালপুর বাজারের সুপারির হাটটি আলাদা করে অনেকের কাছে পরিচিত।
গত মঙ্গলবার সাতসকালে মৌলভীবাজার জেলা শহর থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতেই সুপারি হাটের ঘ্রাণ পাওয়া গেছে। অটোরিকশায় দুটি প্লাস্টিকে বস্তায় পণ্য নিয়ে উঠলেন আশিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তাঁর দুটি বস্তাতেই সুপারি। তাঁর বাড়ি কামালপুর বাজারের কাছেই রাধানগরে। কিন্তু তিনি থাকেন মৌলভীবাজার শহরে। শহরের বাসার গাছের সুপারি বিক্রি করতে তিনি কামালপুর বাজারে যাচ্ছেন। পথে ওই অটোরিকশায় আরও একজন উঠলেন সুপারির বস্তা নিয়ে। হাটে পৌঁছাতে তখন সকাল সাতটার কাছাকাছি।
এর মধ্যে অনেক বিক্রেতা হাটে চলে এসেছেন। হাটের একটি অংশে ক্রমে সুপারি কেনাবেচার স্থানটি জমে উঠতে শুরু করেছে। অটোরিকশা, অটোভ্যানসহ নানা বাহনে সুপারি নিয়ে হাটে আসছেন বিক্রেতারা। কেউ আসছেন নিজের গাছের সুপারি নিয়ে। এর মধ্যে কেউ আছেন পাইকার, যাঁরা গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে সুপারি কিনে এই হাটে এনে বিক্রি করেন।
অটোরিকশাসহ নানা মাধ্যমে সুপারি নিয়ে হাটে আসেন বিক্রেতারা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কাজের ভার কমাতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা যা করেন
বিশ্ব বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজের ভার কমাতে এবং নতুন চিন্তার খোঁজে নিজস্ব উপায় খুঁজে নেন। যেমন কেউ জঙ্গলে সময় কাটাতে চলে যান আবার কেউ-কেউ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়টুকু খুঁজে বের করেন।
২০১৪ সালে, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ‘‘মানসিক বিশ্রাম ও চিন্তা করা শেখার ক্ষেত্রে সহায়ক।
আরো পড়ুন:
কুকুরদের সম্মানে যে ‘তিহার’ পালন করে নেপাল
জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীকে কেন ‘কট্টর রক্ষণশীল’ বলা হয়
কোনো বিষয়ে না ভাবলে অনেক বেশি শেখার চেষ্টা আপনাকে বিভ্রান্ত করে ফেলতে পারে এবং আপনাকে নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে বাধা দিতে পারে। ’’
সুতরাং এটি গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনি শুধু পরিশ্রম করলে হবে না, ওই পরিশ্রম কেন করছেন, কীভাবে পরিশ্রম করলে দক্ষতা বাড়ানো সহজ হবে; সেগুলোও খুঁজে বের করতে হবে। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে ভাবনার সময়টি যেন সুগঠিত হয়, না হলে আপনি বিভ্রান্ত হতে পারেন। চলুন জানা যাক বিখ্যাত ব্যক্তিরা কাজ ও ভাবনার মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করেন।
বিল গেটস প্রকৃতির কাছে আশ্রয় নেন
কাজে পরিপূর্ণ মনোনিবেশ করার জন্য কাজের মাঝে বিরতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিল গেটস একটি নিয়ম মেনে চলেন। তিনি প্রতিবছর পুরো দুই সপ্তাহ সময় কাটান জঙ্গলে। এই সময়ে তিনি নতুন চিন্তার খোঁজ করেন। এই রীতির নাম দিয়েছেন ‘থিং উইক’ মানে ‘ভাবনার সপ্তাহ’। সপ্তাহজুড়ে কর্মযজ্ঞ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হন তিনি। বিল গেটস এই প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সৃষ্টিশীল হওয়ার উদ্দীপনা খুঁজে নেন।
ম্যালকম সবচেয়ে সুন্দর সময়ের খোঁজ করেন
আপনি কী খেয়াল করেছেন, দিনের কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে আপনি সবচেয়ে মনোযোগী হয়ে কাজ করতে পারেন? ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল নিজের কাজ ভালোভাবে করার জন্য সময় বাঁচাতে বলেছেন। এবং কোন সময়টায় আপনি ভালো কাজ করতে পারেন, সেই সময়টা খুঁজে বের করে কাজে লাগাতে বলেছেন।
ভারমুক্ত হয়ে কাজ করতে বলেন মিশেল ওবামা
একটি কর্মক্ষেত্রে কখনও সুস্থির থাকে না। কর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য থাকে, বন্ধুত্ব থাকে, সহযোগিতা ও প্রতিযোগীতা থাকে। সব কিছুর আগে নিজেকে গুরুত্ব দিতে হবে। সুখকে প্রাধান্য দিতে হবে—এমনটাই মনে করেন মিশেল ওবামা। আপনিও কর্মক্ষেত্রে নিজেকে ভারমুক্ত করতে এবং নিজের কাজ এগিয়ে নিতে সহকর্মীদের পেছনে লেগে না থেকে নিজেকে গুরুত্ব দিন। এভাবে ভাবলে কর্মক্ষেত্রে চাপ কম অনুভূত হবে। ভারমুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। এই নীতিই মেনে চলেন মিশেল ওবামা।
সামর্থ্যের ওপর ভরসা রাখতেন মোহাম্মদ আলী
সর্বকালের সেরা বক্সার বলা হয় মোহাম্মদ আলীকে। তিনি মনে করতেন—‘আমিই সেরা’ এই বাক্যটি মনে প্রাণে ধারণ না করলে সফল হওয়া কঠিন। তার মতে, শুধু পরিশ্রম করলেই হবে না, সেরা হতে নিজের সামর্থ্যকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে জয়ী হতে পারবেন।
সূত্র: সাকসেস ডটকম অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি