আড়াইহাজারে অবৈধ মেলায় হামলা আহত ৫
Published: 18th, October 2025 GMT
আড়াইহাজারে অবৈধ মেলায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে হামলায় ৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ৯ টায় উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী বাস ষ্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। অহতদরে মধ্যে রেদওয়ান (১৯), হিমন (২১), জোনায়েদ (১৭) ও শাওন (৩০) কে উপজেলা স্বাস্ত্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রামচন্দ্রদী গ্রামের মৃত মালেকের ছেলে সুলতান স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায় কোন রকম অনুমতি না নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করে। মেলায় জুয়াসহ সব রকম অবৈধ কার্যকলাপ চলছে।
ঘটনার দিন মেলায় রাউন্ডে চড়াকে কেন্দ্র করে পার্শ্ববর্তী বগাদী গ্রামের মাসুমের ছেলে রেদওয়ানের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রামচন্দ্রদী গ্রামের ইমন দলবল নিয়ে দেশী অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারী হামলা করে। ফলে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। এ সময় আতঙ্কে রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন ছুটোছুটি করতে থাকে।
আহত রেদওয়াএনর বাবা মাসুম জানান, আমার ছেলেকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
মেলার আয়োজক সুলতান জানান, আমরা বিএনপি করি, কিসের অনুমতি নিব?
আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মেলার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে বললেন ইউজিসি চেয়ারম্যান
শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে শিক্ষকদের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) বরিশালের বেলস পার্কে অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের (ইউজিভি) প্রথম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর মাধ্যমে বরিশালে প্রথম কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিক হলো। এতে ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
ইউজিসির অর্থায়নে গবেষণা করবেন ইবির ১৪১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’
অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, “শিক্ষার্থীদের এই বয়সে শিক্ষকরাও একদিন ছিলেন। তাই তারা জানেন এই সময়ে শিক্ষার্থীদের মনের মধ্যে কত চঞ্চলতা-অস্থিরতা কাজ করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তো সেই বয়সটা ছিল না, যে বয়সটা আজ শিক্ষকরা পার করছেন। এই গ্যাপটা শিক্ষককে দূর করতে হবে।”
তিনি শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “শিক্ষার্থীদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে। তাদের চাহিদা কি তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে একজন শিক্ষককে। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সচেতন, তারা আপনাদের পর্যবেক্ষণ করে। তারা বুঝতে পারে আপনি প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে যাচ্ছেন, নাকি যাচ্ছেন না।”
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ড. ফায়েজ বলেন, “তোমরা আজ গর্বিত গ্রাজুয়েটস। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছেন নিজেদের বাবা-মাসহ দেশ ও জাতি। তাই সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। তোমরা সবা বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে এসেছ। যারা তোমাদের শিক্ষাদান করলেন, তাদের কথা মনে রেখ।”
অধ্যাপক ড. ফায়েজ স্মৃতিচারণ করে বলেন, “ছোটবেলায় স্কুলের ছাত্রাবস্থায় বরিশাল এসেছিলাম, তারপর আজ আবার আসলাম। এই সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হচ্ছে জিইউবি। এই বিশ্ববিদ্যালয় চরিত্র গঠন করে কিভাবে বেঁচে থাকতে হয়, তা শেখায়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে এগিয়ে এসেছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দেশ ও জাতির কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।”
এছাড়াও সমাবর্তন বক্তা ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. কায়কোবাদ। অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, ইউজিভির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল বাকী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, বরিশালের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সোহরাব হোসেন, ইউজিভি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. মো. ইমরান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাবেয়া বেগম, সমাবর্তনের আহ্বায়ক ইউজিভির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ আহমেদ প্রমুখ।
সমাবর্তনে স্নাতক, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
ঢাকা/পলাশ/মেহেদী