ফিলিস্তিনিদের জলপাই বাগানে আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েলিরা
Published: 1st, November 2025 GMT
অধিকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের উপর আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়েছে। তারা ফিলিস্তিনিদের জলপাই বাগানে ব্যাপক মাত্রায় হামলা চালাচ্ছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চলতি বছরের জলপাই ফসল এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে সহিংস হওয়ার পথে।
ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা শনিবার বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার বেশ কয়েকটি ঘটনার খবর দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর পশ্চিম তীরের নাবলুস শহরের কাছে বেইতা এবং হুওয়ারা শহরের কাছে এবং রামাল্লাহর কাছে সিনজিল শহর।
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা জলপাই ফসল কাটার সময় উপর গুলি চালালে বেথলেহেমের দক্ষিণ-পূর্বে আল-মানিয়ায় তিন ফিলিস্তিনি কৃষক আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালে ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিরা বসতি স্থাপনকারী এবং সামরিক আক্রমণের তীব্রতা অনুভব করেছে। কিন্তু গত মাসে শুরু হওয়া চলতি বছরের জলপাই ফসল কাটার মৌসুমে সহিংস ঘটনা আরো বেড়েছে।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা শনিবার বলেছে, “২০১৩ সালে ইউএনআরডব্লিউএ বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা ট্র্যাক করা শুরু করার পর থেকে অক্টোবর মাস সবচেয়ে সহিংস মাস হতে চলেছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থার পশ্চিম তীর বিষয়ক পরিচালক রোল্যান্ড ফ্রিডরিচ বলেছেন, “বার্ষিক জলপাই ফসল হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের প্রধান জীবিকা, যেখানে জলপাই গাছ ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য এবং পরিচয়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত। জলপাই ফসলের উপর হামলা অনেক ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে জবরদস্তিমূলক পরিবেশকে আরো ভয়াবহ করে তোলে। পরিবারগুলোকে নিরাপদ পরিবেশে তাদের জলপাই ফসল কাটার জন্য তাদের জমিতে অবাধ প্রবেশাধিকার দেওয়া উচিত।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ পনক র র জলপ ই
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫