যারা সংস্কারের পক্ষে, তাদের সঙ্গে এনসিপির জোট হবে: হাসনাত
Published: 1st, November 2025 GMT
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জোটে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তবে কাদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘‘সংস্কারের পক্ষে যারা আছে, যারা ২৪ পরবর্তী জনআকাঙ্ক্ষা গড়তে চায়; তাদের সঙ্গে আমাদের জোট হবে।’’
শনিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির দলীয় কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সংগঠিত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
দখল করা ব্যাংকের কর্মীদের পোলিং এজেন্ট করতে চায় একটি দল: হাসনাত
সড়কে গর্তের পানিতে মাছ ছেড়ে প্রতিবাদ হাসনাত আব্দুল্লাহর
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘‘বিএনপি আমাদের বলে জামায়াত, আবার জামায়াত বলে আমরা বিএনপি; তার মানে আমরা ঠিক পথেই আছি। আবার ডানপন্থিরা বলত আমরা বামপন্থি, পরে বামপন্থিরা বলে আমরা নাকি ডানপন্থি; তারমানে আমরা মধ্যপন্থি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘দ্রুত গণভোটের আদেশ দিতে হবে এবং সেটা দিতে হবে ড.
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও পটুয়াখালী জেলার প্রধান সমন্বয়কারী জহিরুল ইসলাম মুসার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
ঢাকা/ইমরান/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প হ সন ত এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫