তরুণী ও তাঁর বাবাকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতাকে স্বপদে বহাল
Published: 1st, December 2025 GMT
পটুয়াখালীতে এক তরুণী ও তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে পেটানোর অভিযোগে বহিষ্কার হওয়া রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি তারিকুল ইসলামকে স্বপদে বহাল করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হারুন অর রশিদের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তারিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। একই ঘটনায় তারিকুলের চাচাতো ভাই স্থানীয় ছাত্রদল নেতা সায়মুন ইসলামকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনপটুয়াখালীতে তরুণী ও তাঁর বাবাকে মারধর: ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫জানা গেছে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের স্লুইস বাজারে এক কলেজছাত্রী ও তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে (৭০) পিটিয়ে আহত করেন ছাত্রদল নেতা তারিকুল ও তাঁর চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা সায়মুন। হামলায় আহত ব্যক্তিদের গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই ছাত্রদল নেতা সায়মুন ইসলাম তাঁর ওপর জোরজবরদস্তি করছিল। তখন স্থানীয় লোকজনের কাছে বিচার চাইলেও কোনো প্রতিকার পাননি। এরপর ঘটনার দিন ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাঁর বাবার স্লুইস বাজারে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করছিলেন তিনি। সায়মুন তাঁকে উদ্দেশ করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। তিনি প্রতিবাদ জানালে সায়মুন লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এ দৃশ্য দেখে তাঁর বৃদ্ধ বাবা প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। ওই মারধরে সায়মুনের সঙ্গে যোগ দেন চরমন্তাজ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি তারিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুনউত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তরুণী ও তাঁর বাবাকে মারধর, অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তরুণীর সঙ্গে তারিকুল ইসলামের চাচির ঝগড়া হয়। যেখানে তারিকুল জড়িত ছিল না। এটা আমাদের তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত র ক ল ইসল ম ছ ত রদল ন ত স প ট ম বর ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্ববোধ করার কথা জানালেন রেজা কিবরিয়া
রেজা কিবরিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দলটিতে যোগ দেন।
আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া। তিনি গণ অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ছিলেন। গত মাসের শুরুর দিকে তাঁর বিএনপিতে যোগ দেওয়ার খবর সামনে আসে। এখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন।
বিএনপিতে যোগ দিতে পেরে গর্ববোধ করার কথা জানান রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, বিএনপি দুবার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের হাত থেকে গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে। একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান করেছিলেন, আরেকবার খালেদা জিয়া। এটা বিএনপির একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা। এমন উদাহরণ অন্য কোনো দেশে দেখা যায় না। এসব কারণে তিনি বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট হন। জিয়াউর রহমানকে তাঁর আদর্শ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপির নেতৃত্ব দেশের নতুন প্রজন্মের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। বিএনপির আগের ভিশন নেই, অনেক কিছু বদলে গেছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাঁরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত যে, রেজা কিবরিয়া আজ তাঁদের মাঝে এসে তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন। তিনি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রেজা কিবরিয়াকে তাঁদের দলে স্বাগত জানাচ্ছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রকাঠামোর প্রয়োজনীয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য মেধাবী নেতৃত্ব ও প্রতিভাবান মানুষ প্রয়োজন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রেজা কিবরিয়ার বিএনপির পতাকাতলে আসাকে তাঁর দল স্বাগত জানাচ্ছে। অর্থনৈতিক মুক্তি ও গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চান। আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য গত মাসের শুরুতে বিএনপি যে ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে, সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে একই আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন। এর আগে তিনি গণফোরামে যোগ দেন। পরে দলটির সাধারণ সম্পাদক হন। এরপর রেজা কিবরিয়াকে কেন্দ্র করে দলটি দুইভাগে বিভক্ত হয়। পরে তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদ গঠন করেন। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হন। সেখানেও তাঁকে কেন্দ্র করে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এরপর তিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। এবার তিনি বিএনপিতে যোগ দিলেন।
আরও পড়ুনবিএনপিতে যোগ দিয়েছেন রেজা কিবরিয়া০৫ নভেম্বর ২০২৫