‎বেগম বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের দ্রুত তফসিল ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশন অধ্যাপক  ড.শাহজামান বরাবর তারা এ স্মারকলিপি দেন। পরে তারা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

আরো পড়ুন:

বেরোবিতে যৌন হয়রানিকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি

বেরোবিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচনের কমিশন পুনর্গঠন

এ সময় ‎শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তফসিল ঘোষণার আল্টিমেটাম দেন। এর মধ্যে তফসিল ঘোষণা করা না হলে যেকোনো কিছুর জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে বলে জানান তারা।

‎অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী আলবীর ইসলাম বলেন, “তফসিল ঘোষণা না করার ফলে নির্বাচন নিয়ে আমরা শিক্ষার্থীরা একটা দোদুল্যমান অবস্থার মধ্যে আছি। আমাদের দাবি একদিনের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এ প্রশাসন আমাদের দাবি আদায় সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। যদি তারা আমাদের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা যা করবে এর জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।”

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, “গঠনতন্ত্র পাওয়ার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন নিয়ে কোনো স্পষ্ট বার্তা আমরা পাইনি। আমরা আজ স্মারকলিপি দিলাম। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণা না করার ফলে কোনো অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার সম্পূর্ণ দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।”

এ বিষয়ে ‎প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড.

শাহাজামান বলেন, “আমরা আজকের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে আচরণবিধি প্রকাশ করে দিব। তারা দ্রুত মতামত জানালে আমাদের কাজটা করা সহজ হবে। তারপর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এটি অনুমোদন করা হবে। তাছাড়াও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন নীতিমালাসহ তাদের ছাত্র সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত উপকরণগুলো চেয়েছি। আমরা দ্রুত ব্রাকসু করার চেষ্টা করব।”

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বব দ য আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গে ২৯ বাংলাদেশি জেলে গ

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

শনিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার সকালে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুপুরে তাদের প্রত্যেককে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এদিকে, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাসখালী থানার পুলিশ নারী ও পুরুষসহ ১০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। 

উমরপুর গ্রামে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের আত্মগোপন করে থাকার খবর পেয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে পাঁচ নারী ও পাঁচ পুরুষ রয়েছেন। এছাড়াও, ওই বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে দুই ভারতীয় দালালকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার হাসখালী পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। 

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ