ক্রোমিয়াম ইকোসিস্টেমে উন্মুক্ত প্রোগ্রামিং সংকেত বা ওপেন সোর্সভিত্তিক প্রকল্পগুলোর উন্নয়নে তহবিল সরবরাহের জন্য নতুন একটি উদ্যোগ চালু করেছে গুগল। লিনাক্স ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় চালু হওয়া এই তহবিলের নাম ‘সাপোর্টার্স অব ক্রোমিয়াম বেজড ব্রাউজার্স’। গত বৃহস্পতিবার গুগলের এক ঘোষণায় জানানো হয়, ‘নিরপেক্ষ’ এই মাধ্যমটি ক্রোমিয়াম প্রকল্পগুলোকে আর্থিক সহায়তা ও অবকাঠামোগত সমর্থন দেবে।

গুগল ২০০৮ সালে ক্রোম ব্রাউজারের পাশাপাশি ক্রোমিয়াম উন্মোচন করে। ওপেন সোর্সভিত্তিক এই অবকাঠামো মাইক্রোসফট এজ, অপেরা ও ব্রেভসহ অনেক ব্রাউজারের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গুগলের পাশাপাশি মেটা, মাইক্রোসফট ও অপেরা এরই মধ্যে এই উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে। মাইক্রোসফট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই তহবিল কমিউনিটির প্রয়োজন অনুযায়ী তহবিল ব্যবস্থাপনা এবং বরাদ্দ নিশ্চিত করবে।

গুগল জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তারা ক্রোমিয়ামে এক লাখের বেশি কমিট (কোডের আপডেট বা সংশোধনীকে বোঝায়) যুক্ত করেছে। প্রকল্পের টেকসই উন্নয়নে অবকাঠামোগত বিনিয়োগও অব্যাহত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রতিদিন হাজারো সার্ভার ব্যবহার করে কোটি কোটি টেস্ট চালানো হয়। শতাধিক বাগ রিপোর্টের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়। পাশাপাশি কোডের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে নিয়মিত মানোন্নয়নের কাজ চলছে।

এই তহবিল চালুর ঘোষণা এমন সময় এলো যখন মার্কিন বিচার বিভাগ গুগলকে একচেটিয়া বাজার আধিপত্য ভাঙতে ক্রোম ব্রাউজার বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগের জবাবে গুগল তিন বছরের জন্য মজিলা ও সাফারির মতো ব্রাউজারগুলোতে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন চুক্তি বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ