দেশে ব্যান্ডউইথ সরবরাহের ঘাটতি নেই: ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ
Published: 18th, October 2025 GMT
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্লস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যান্ডউইথ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। বরং এখনো অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ রয়েছে। এ ছাড়া এক বছরের মধ্যে আরও ৩০ টেরাবিট ব্যান্ডউইথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জিত হবে।
আজ শনিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএসসিপিএলসি সিমিউই–৪ ও সিমিউই-৫ সফলভাবে পরিচালনা করছে। এই দুটি কেব্লের সম্মিলিত সক্ষমতা প্রায় ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস। যার মধ্যে ৪ হাজার ২০০ জিবিপিএস দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে এই সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করাও সম্ভব।
দেশের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের জন্য বিএসসিপিএলসির তৃতীয় কেব্ল প্রকল্প সিমিউই–৬ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এই কেব্ল চালুর আশা প্রকাশ করে তারা বলছে, কক্সবাজার–সিঙ্গাপুর ও কক্সবাজার–মুম্বাই–ফ্রান্স সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার জিবিপিএস (৩০ টেরাবিট) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে এই কোম্পানির ব্যান্ডউইডথ ঘাটতি–সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ব্যান্ডউইডথ বা আন্তর্জাতিক সংযোগের চাহিদা পূরণে বিএসসিপিএলসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ফলে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ সরবরাহে বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতে কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই।
এ ছাড়া একটি স্বার্থান্বেষী মহল ‘আনট্রাস্টেড সাবমেরিন কেব্ল সিস্টেম’ সংযোগের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা দেশের সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি খাতের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ এ ধরনের অনির্ভরযোগ্য সংযোগ সম্পর্কে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তিকর প্রচারে প্রভাবিত না হয়ে দেশের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সাবমেরিন কেব্ল থেকে ব্যান্ডউইডথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য ন ডউইডথ ব য ন ডউইথ সরবর হ র জ ব প এস
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বন্দরের ৯টি ওয়ার্ডে পানি সংকট নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, ২৪ নং ওয়ার্ড চৌরাপাড়া পাম্প বর্তমান জায়গায় পুণঃস্থাপন ও পানি সরবরাহের দায়িত্ব পুনরায় ওয়াসার কাছে ন্যাস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের বন্দরের চৌরাপাড়া পাম্প হাউসের সামনে যুগান্তর স্বজন সমাবেশ বন্দর উপজেলা শাখা, বন্দর নাগরিক কমিটি(বনাক) ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
যুগান্তর স্বজন সমাবেশ বন্দর শাখার সভাপতি কবি কবির সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুগান্তর স্বজন সমাবেশের উপদেষ্টা সাংবাদিক আতাউর রহমান, শ্রমিক নেতা দাউদ আলী. ২৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী জাবেদ হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ উজ্জল, মোহাম্মদীয়া জামে মসজিদ কমিটির সহসভাপতি আলী আহমেদ, ক্বারী মোঃ আলতাফ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, আলহাজ্ব হাফেজ গাজী, মোঃ রিপন, শওকত হোসেন, আলী বাহার প্রমুখ। কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর , বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডসহ ৯টি ওয়ার্ডেই তীব্র পানি সংকট বিরাজ করছে। সরবরাহকৃত পানিও ময়লাযুক্ত এবং দুর্গন্ধময় হওয়ায় তা পান করা যায় না। এ ছাড়া চৌরাপাড়া পাম্প হাউসের পাম্পটি সাড়ে ৪ বছর ধরে বিকল হয়ে আছে। অজ্ঞাত কারণে পাম্পটি মেরামত কিংবা নতুন পাম্প স্থাপন করা হচ্ছেনা।
এ কারণে এলাকায় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে পানি সংকট নিরসনে উদ্যোগ না নিলে মানববন্ধন থেকে নগরভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়।