ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের আওতাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যান্ডউইথ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। বরং এখনো অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ রয়েছে। এ ছাড়া এক বছরের মধ্যে আরও ৩০ টেরাবিট ব্যান্ডউইথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জিত হবে।

আজ শনিবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলেছে, বিএসসিপিএলসি সিমিউই–৪ ও সিমিউই-৫ সফলভাবে পরিচালনা করছে। এই দুটি কেব্‌লের সম্মিলিত সক্ষমতা প্রায় ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস। যার মধ্যে ৪ হাজার ২০০ জিবিপিএস দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ৩ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে এই সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করাও সম্ভব।

দেশের ভবিষ্যৎ চাহিদা পূরণের জন্য বিএসসিপিএলসির তৃতীয় কেব্‌ল প্রকল্প সিমিউই–৬ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ২০২৬ সালের শেষ নাগাদ এই কেব্‌ল চালুর আশা প্রকাশ করে তারা বলছে, কক্সবাজার–সিঙ্গাপুর ও কক্সবাজার–মুম্বাই–ফ্রান্স সংযোগের মাধ্যমে প্রায় ৩০ হাজার জিবিপিএস (৩০ টেরাবিট) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের সক্ষমতা অর্জিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে এই কোম্পানির ব্যান্ডউইডথ ঘাটতি–সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ ব্যান্ডউইডথ বা আন্তর্জাতিক সংযোগের চাহিদা পূরণে বিএসসিপিএলসি সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ফলে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ সরবরাহে বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতে কোনো ঘাটতির আশঙ্কা নেই।

এ ছাড়া একটি স্বার্থান্বেষী মহল ‘আনট্রাস্টেড সাবমেরিন কেব্‌ল সিস্টেম’ সংযোগের চেষ্টা করছে অভিযোগ করে মন্ত্রণালয় বলেছে, এটা দেশের সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি খাতের স্থিতিশীলতাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ এ ধরনের অনির্ভরযোগ্য সংযোগ সম্পর্কে ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিভ্রান্তিকর প্রচারে প্রভাবিত না হয়ে দেশের নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সাবমেরিন কেব্‌ল থেকে ব্যান্ডউইডথ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে আহ্বান জানানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব য ন ডউইডথ ব য ন ডউইথ সরবর হ র জ ব প এস

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতির পর থেমেছে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমাবর্ষণ। তবে শান্তি ফেরেনি। একে তো ফিলিস্তিনিরা নিজ ঠিকানায় ফিরে ধ্বংসস্তূপ ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছেন না, এরপর আবার চুক্তি অনুযায়ী এখনো গাজায় নির্ধারিত পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এতে উপত্যকাটিতে খাবারের সংকট কাটছে না।
বুধবার ছিল যুদ্ধবিরতির ষষ্ঠ দিন। আগের পাঁচ দিনে চুক্তি অনুযায়ী বন্দিবিনিময় করেছে হামাস ও ইসরায়েল। তবে হামাস মৃত জিম্মিদের ফেরত পাঠাতে দেরি করছে—এমন অজুহাত তুলে ইসরায়েল জানায়, গতকাল থেকে নির্ধারিত পরিমাণের অর্ধেক অর্থাৎ প্রতিদিন ৩০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করতে দেবে তারা। দক্ষিণ গাজার রাফা সীমান্ত ক্রসিংও আপাতত চালু না করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তবে পরে ক্রসিংটি খুলে দেওয়া হয়।
যদিও যুদ্ধবিরতির পর থেকেই দিনে নির্ধারিত ৬০০ ট্রাকের অনেক কম ত্রাণ গাজায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। বুধবার বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, এদিন তাদের মাধ্যমে মাত্র ১৩৭ ট্রাক ত্রাণ উপত্যকাটিতে সরবরাহ করা হয়েছে। এসব ট্রাকে ময়দা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল। তবে পানির পরিমাণ ছিল কম। জ্বালানি তো ছিলই না।

যুদ্ধবিরতির পর বাস্তুচ্যুত যেসব মানুষ গাজা নগরীতে ফিরেছেন, তাঁরা পানি নিয়ে সবচেয়ে বড় দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন। নগরীর বাসিন্দা গাদা আল কুর্দ বলেন, প্রায় সব এলাকা ধ্বংস হয়ে গেছে। কোনো পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই। আর দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দা মাহমুদ এমাদ রোস্তম বলেন, কিছু ত্রাণ প্রবেশ করায় খাবারের সরবরাহ বেড়েছে। তবে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া।

এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গাজার ৫৩ শতাংশ এলাকা এখনো ইসরায়েলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে নিজ ভিটেমাটিতে ফিরতে পারছেন না বাসিন্দারা। এসব এলাকায় ফিরতে যাওয়া ৬ জনসহ মোট ৯ ফিলিস্তিনিকে মঙ্গলবার হত্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনারা। বুধবারও সুজাইয়া এলাকায় দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে গত দুই বছরের বেশি সময়ে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯৩৮।

নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে হামাস

২০০৭ সালে ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে ছয় দিনের সংঘর্ষের পর থেকে গাজা নিয়ন্ত্রণ করছিল হামাস। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর উপত্যকাটিতে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে সে নিয়ন্ত্রণ হারায় তারা। এখন কিছু এলাকা থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর আবার নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছে হামাস। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শহর এলাকাগুলোর রাস্তাঘাটে হামাসের সশস্ত্র সদস্যদের উপস্থিতি বেড়েছে।

গাজার এসব এলাকায় এখন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরায়েলের হামলা না থাকলেও বিগত কয়েক দিনে হামাসের সঙ্গে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সবশেষ মঙ্গলবার সকালে হামাস নিরাপত্তা বাহিনীর এবং হিল্লেস পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে।

এরই মধ্যে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, পিছমোড়া করে হাত বাঁধা সাতজনকে টেনেহিঁচড়ে গাজা নগরীর একটি চত্বরে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের বসিয়ে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে হামাসের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ভিডিওটি গত সোমবার ধারণ করা। আর সাতজনকে হামাসের সদস্যরাই গুলি করে হত্যা করেন।

গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণের ট্রাক। বুধবার খান ইউনিসে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২০০ বছর পর বন্ধ হচ্ছে ‘বেকার অ্যান্ড টেইলর’
  • পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি এখন ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালে: রাজনাথ সিংয়ের হুমকি
  • হোয়াইট হাউস থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি
  • হোয়াইট হাউজ থেকে খালি হাতে ফিরলেন জেলেনস্কি
  • দ্রুত বিদ্যুৎ-গ্যাস দিন, চালু করুন
  • ভারতের কিছু শোধনাগার রাশিয়ার তেল কেনা থেকে সরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে
  • ত্বক সতেজ রাখতে এই ফল খান
  • রাকিবের রঙিন মাছের খামার, মাসে আয় ৪৫ হাজার টাকা
  • যুদ্ধবিরতির পরও শান্তি ফিরছে না গাজায়