২২ বাংলাদেশি শ্রমিককে বিমানবন্দরে আটকে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ
Published: 1st, November 2025 GMT
শ্রমিক ভিসায় শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার সময় ২২ জনকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশ বলছে, কাজের অনুমতি না থাকায় তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের (সিসি ইসিসি) মাধ্যমে দলটি শ্রীলঙ্কায় কাজের জন্য যাচ্ছিল।
সিসিইসিসি সূত্রে জানা গেছে, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের (সিসিইসিসি) মাধ্যমে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে দুই বছর মেয়াদি একটি প্রকল্পে কাজের জন্য বাংলাদেশি শ্রমিকদের ৩০ জনের একটি দল শ্রীলঙ্কা যাচ্ছিল। রাত ৮টা ১০মিনিটে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে করে চেন্নাই হয়ে তাঁদের শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল। তবে ভিসা জটিলতার কারণ দেখিয়ে দলটির ২২ জনকে আটকে দিয়েছে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের স্পেশাল ব্রাঞ্চের হেড অফিস থেকে ছাড়পত্র আনতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশনের সাউথ এশিয়ান রিক্রুটমেন্ট প্রতিনিধি মাহবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, দলটির বিএমইটি সার্টিফিকেট, উভয় দেশের এম্বাসির অনাপত্তিপত্রসহ সব বৈধ কাগজপত্র ছিল। সব থাকার পরও ২২ জনকে আটকে দেওয়া হয়েছে। অথচ একই ডকুমেন্টস দিয়ে বাকি আটজন ঠিকই গিয়েছেন। এটা স্পষ্টত হয়রানি। এতে শ্রমিকেরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
তবে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা (ইমিগ্রেশন) প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ভিসায় কাজের অনুমতি ছিল না। তাঁদের ভিসায় লেখা ছিল ‘নো ওয়ার্ক পারমিট’। এ জন্য তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫