ক্লাবে যোগ দিতে ১৪ জন দেহরক্ষী চাইলেন হামেস রদ্রিগেজ
Published: 13th, January 2025 GMT
কলম্বিয়ান ক্লাব জুনিয়র ডি বারানকুইয়ায় যোগ দেওয়ার খুব কাছাকাছিই ছিলেন কলম্বিয়ান তারকা হামেস রদ্রিগেজ। নানা পথ ঘুরে অবশেষে তাঁর ঘরে ফেরাও মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সবকিছুই উল্টে গেছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যম বারানকুইয়ার সঙ্গে রদ্রিগেজের আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, এখন বারানকুইয়াতে নয়, রদ্রিগেজকে দেখা যেতে পারে মেক্সিকান ক্লাব লিওনে। শেষ পর্যন্ত এ খবর সত্যি হলে সাম্প্রতিক সময়ে মেক্সিকোতে খেলতে যাওয়া শীর্ষ তারকাদের একজন হবেন রদ্রিগেজ।
এদিকে বারানকুইয়ার সঙ্গে রদ্রিগেজের চুক্তির আলোচনা সফল না হওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জানা গেছে, কোপা আমেরিকার টুর্নামেন্ট–সেরা তারকা রদ্রিগেজ নাকি কলম্বিয়ান ক্লাবটির সামনে চোখ কপালে ওঠার মতো কিছু দাবি রেখেছিলেন। যেখানে দলে যোগ দিলে তাঁকে ১৪ জন দেহরক্ষী দেওয়ার দাবিও ছিল।
আরও পড়ুনএই মুহূর্তটির জন্য ১৩ বছর অপেক্ষায় ছিলেন রদ্রিগেজ১১ জুলাই ২০২৪জানা গেছে, কলম্বিয়ান শহর লানোগ্রান্দেতে রদ্রিগেজ ও ক্লাবটির মধ্যে লম্বা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কিছু দাবিতে একমত হলেও কিছু দাবিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। যে কারণে চুক্তির প্রক্রিয়াও আর এগোয়নি।
কলম্বিয়ান ক্লাবটির সূত্রের বরাত দিয়ে সাংবাদিক ফাবিও পোভেদা রদ্রিগেজের দাবিগুলো প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ১৪ জন দেহরক্ষীর পাশাপাশি কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড নাকি ক্লাবের কাছে সতীর্থ হিসেবে আরও ভালো খেলোয়াড় আনার দাবিও করেছেন।
পরে বারানকুইয়ার মালিক চাদ ফুয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে রদ্রিগেজের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন। এ সময় রদ্রিগেজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় ‘আন্তরিক’ ছিলেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন কেইন–রদ্রিগেজ: এত কাছে তবু এত দূর১৬ জুলাই ২০২৪বারানকুইয়ার মালিকের মন্তব্যের পরই মূলত পরিস্থিতি দিক বদলাতে শুরু করে। এখন মেক্সিকান ক্লাব লিওনের সঙ্গে রদ্রিগেজের চুক্তি স্রেফ সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। মেক্সিকোর এক শীর্ষ টেলিভিশন চ্যানেলও রদ্রিগেজের লিওনে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
টিউডিএন নামে চ্যানেলটি জানিয়েছে, ‘হামেস রদ্রিগেজ লিওনে আসছে। পরবর্তী সময়ে বাড়ানোর সুযোগ রেখেই এক বছরের চুক্তি করা হচ্ছে। সে আগামী সপ্তাহে আসবে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ডেতে মাঠে নামবে।’
আরও পড়ুনঅসুস্থ কিশোরীর পাশে রদ্রিগেজ২৯ জানুয়ারি ২০১৬এর আগে গত বছরের আগস্টে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে লা লিগার ক্লাব রায়ো ভায়েকানোতে যোগ দেন রদ্রিগেজ। তবে পাঁচ মাস পর এই জানুয়ারিতে ভায়েকানোর সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে চুক্তি বাতিল করেন তিনি। এর পর থেকেই নতুন ক্লাবের সন্ধানে ছিলেন কলম্বিয়ার এই তারকা ফুটবলার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি