বাংলাদেশের মেয়েদের সাফের বৃত্ত পূরণের পালা
Published: 16th, August 2025 GMT
শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালে; অনূর্ধ্ব–১৫ সাফ জিতে। সর্বশেষ ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব–২০ পর্যায়ে আরেকটি শিরোপার দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। সব মিলিয়ে প্রায় আট বছরে সাফের নয়টি ট্রফি। এর মধ্যে শুধু বাদ আছে অনূর্ধ্ব–১৭ সাফ শিরোপাটাই। এবার সেই বৃত্তও পূরণের অপেক্ষা।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল—এই চার দেশ নিয়ে ২০ থেকে ৩১ আগস্ট ভুটানের থিম্পুতে হবে অনূর্ধ্ব–১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে এক দল অন্য দলের সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। এরপর সর্বোচ্চ পয়েন্টধারীর হাতে উঠবে ট্রফি।
এই টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গতবার তাঁরা নেপালে অনূর্ধ্ব–১৬ পর্যায়ে শিরোপা জেতে। এবার ইয়ারজান–অর্পিতাদের লক্ষ্য অনূর্ধ্ব–১৭ পর্যায়ের ট্রফিটাও উঁচিয়ে ধরা। সেই লক্ষ্য নিয়েই গতকাল ভুটানে গেছে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে অধিনায়ক অর্পিতা জানিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্যের কথাও, ‘আমাদের প্রস্তুতি খুবই ভালো। নতুন–পুরোনো ফুটবলারদের নিয়ে দলটা ভালোই হয়েছে। প্রতিটা ম্যাচ জিততে চাই।’
২০ আগস্ট প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভুটান। এক দিন বিরতি দিয়ে ২২ আগস্ট ভারতের সঙ্গে খেলা। ২৪ ও ২৭ আগস্ট এর পরের দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষ নেপাল। ২৯ আগস্ট আবার ভুটানের সঙ্গে দেখা হবে, ৩১ আগস্ট শেষ ম্যাচ ভারতের সঙ্গে। সবগুলো ম্যাচই হবে থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে।
সাফের বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে বিভিন্ন সময়ে বয়সের সীমার পরিবর্তন হয়েছে। ২০২৩ সালের আগে অনূর্ধ্ব-১৭ কোনো টুর্নামেন্টই ছিল না। ২০১৭ সাল থেকে চারটি টুর্নামেন্ট হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৫ পর্যায়ে। ২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ প্রথম টুর্নামেন্ট হওয়ার পরের বছর খেলা হয় অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে।
সাফ অনূর্ধ্ব–১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস ও কোচ মাহবুবুর রহমান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগে মামলা
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসী হামলা, ভোট জালিয়াতি, মারধর, হত্যাচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে হামলার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা এজাহার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় নীল প্যানেলের প্রার্থী ও সমর্থকেরা জানতে পারেন, আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা গোপনে ব্যালটে সিল মারছেন। প্রতিবাদ করতে গেলে কয়েকজন আইনজীবী মারধরের শিকার হন। পরদিন ১৫ মার্চ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সমিতির অডিটরিয়ামে প্রায় ৪০-৫০ জন আইনজীবী ও শতাধিক পুলিশ সদস্য জোরপূর্বক প্রবেশ করে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী ও ভোটারদের ওপর হামলা চালান।
এ সময় মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মাহদিন চৌধুরীসহ বহু প্রার্থী ও সদস্য গুরুতর আহত হন। নারী আইনজীবীদেরও মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। রাইফেলের বাঁট, লাঠি ও বুটের আঘাতে কয়েকজন আইনজীবী রক্তাক্ত জখম হন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, আইনজীবী রাসেল আহম্মেদ, ইব্রাহিম খলিল, সালাউদ্দিন রিগানসহ প্রায় তিন শতাধিক আইনজীবীকে লাঠি, রাইফেলের বাঁট ও বুটের আঘাতে আহত করা হয়। এ ছাড়া ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর, কাচ ভেঙে ফেলা, পুলিশের প্রবেশে সহযোগিতা, সাংবাদিকদের ওপর হামলারও অভিযোগ রয়েছে। আজকের পত্রিকা, জাগো নিউজ, মানবজমিন, এটিএন বাংলা, সময় টিভি, ডিবিসি নিউজ ও বৈশাখী টিভির অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক গুরুতর আহত হন।
বাদীর দাবি, তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। নির্বাচনের দ্বিতীয় দিন ১৬ মার্চও ভয়ভীতি ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। অবশেষে রাতে জাল ব্যালটের মাধ্যমে ১৪ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।