পটুয়াখালীতে ডাচ-বাংলার বুথে চুরি, নিরাপত্তাকর্মীকে মারধর
Published: 16th, August 2025 GMT
পটুয়াখালীতে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মী মজিবুরকে (৫৫) মারধর করে বেঁধে রেখে বুথে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সেসময় আরো দুই দোকানে চুরির হয়।
শনিবার (১৬ আগস্ট) ভোরে পৌর শহরের সদর রোডে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত প্রায় সাড়ে তিনটার দিকে চোরের দল আদালতপাড়া সংলগ্ন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ফাস্টট্র্যাক এটিএম বুথে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মীকে বেধড়ক মারধর করে। পরে তাকে কম্বল দিয়ে বেঁধে একটি অন্ধকার কক্ষে ফেলে রেখে বুথের টাকার মেশিন ভাঙচুর ও ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে সদর রোডের ফ্যাশন অপটিক্যাল দোকানের তালা ভেঙে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা দোকানের মালামাল, মনিটর ও নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
ভোর সাড়ে ৪টার সময় চোরের দল একই এলাকার শিকদার স্টোরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানে সিসি ক্যামেরার মনিটর, ক্যাশ কাউন্টারের টাকা ও রিচার্জ কার্ডসহ বিভিন্ন পণ্য চুরি করে নিয়ে যায়।
ফাস্ট ট্র্যাক এটিএম বুথের চ্যানেল অফিসার রিংকু বলেন, “চোরের দল আমাদের এটিম বুথ অফিসে প্রবেশ করে প্রথমে নিরাপত্তাকর্মীকে ব্যাপক মারধর করে। পরে বুথে টাকার মেশিন ভাংচুর করে এবং ল্যাবটপ নিয়ে যায়। নিরাপত্তাকর্মী মজিবুর গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মাথায়, মুখে ও চোখে আঘাত করা হয়েছে।”
ফ্যাশন অপটিক্যালের মালিক জাকির হোসেন বলেন, “আমার দোকানে নগদ দুই লাখ টাকা ছিল। চোরের দল দোকানের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে টাকাসহ সবকিছু নিয়ে গেছে।”
সিকদার স্টোরের মালিক কামরুল ইসলাম জানান, ফজরের নামাজের সময় তালা ভেঙে দোকানে ঢুকে নগদ টাকা, রিচার্জ কার্ড, মনিটরসহ অনেক কিছু নিয়ে গেছে চোরের দল।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। চোরদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।”
ঢাকা/ইমরান/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ র র দল ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
শত কোটি টাকার নদী খনন কাজ বন্ধ
নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু কিছুদিন কাজ করার পর তা বন্ধ চলে যায় চুক্তি করা টিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দ্রুত পুনরায় খনন কাজ শুরু করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, খাগড়াছড়ি শহর ও তৎসংলগ্ন অবকাঠামো নদী ভাঙন থেকে সংরক্ষণ প্রকল্পের আওয়াতায় ২৫০ কোটি ব্যয়ে নদীর নাব্যতা ফেরাতে চেঙ্গী ও মাইনি নদীর ৫৮ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রকল্প অনুযায়ি, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ এবং মাইনি নদীর ইয়ারাংছড়ি থেকে লংগদু মুখ পর্যন্ত খনন করার কথা।
আরো পড়ুন:
ঢাকার ৪৪ খাস পুকুর-জলাশয় সংস্কার শুরু
মাদারীপুরে নদীর মাটি চুরি, ভাঙন আতঙ্ক
কিন্ত মাইনি নদীর খনন কাজ চললেও চেঙ্গী নদীর কাজ কিছুদিন করার পর বন্ধ করে চলে যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। মহালছড়ি থেকে নানিয়ারচর অংশে কাজ নতুন করে শুরু হলেও রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর থেকে বুড়িঘাট শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ স্মৃতি স্তম্ভ পর্যন্ত অংশের খনন কাজ ৩-৪ মাস ধরে একেবারে বন্ধ।
এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
নানিয়ারচর পুরাতন বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খোরশেদ আলম, মো. আনসার আলী ও হাসাপতাল এলাকা বাসিন্দা মো. নুরুল হক জানান, নদীর খনন কাজ শেষ হলে তারা উপকৃত হতেন। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদের পানি যখন কমে যায়, শুকনা মৌসুমে নদী পথে তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে সুবিধা হত। আর সেই মাটিগুলো দিয়ে যদি নিচু রাস্তাগুলো উচু করা যেত তাহলে তারা উপকৃত হতেন। তাদের দাবি আবার যেন দ্রুত খনন কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এনিয়ে কথা বলতে নানিয়ারচর অংশের টিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওয়েল এডব্লিউআর (জেভি) এর ম্যানেজার মো. মাহবুবের ও মহালছড়ি অংশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এআরকেএল-এসএমআইএল (জেবি) এর ম্যানেজার মো. সোয়েবের মোবাইল নাম্বারে কল দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, চট্টগ্রাম পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, চেঙ্গী নদীর মহালছড়ি থেকে নানিয়ার এর কাজ মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল, ড্রেজার নিয়ে গিয়েছিল কন্ট্রাকটর। তখন কাজ বাতিলের নোটিশ করেছিলেন। তবে মহালছড়ি অংশের ঠিকাদার আবার নতুন করে ড্রেজার নিয়ে এসেছে। এখন থেকে নিয়মিত কাজ চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, নানিয়াচরে ঠিকাদার নিজস্ব ব্যবস্থাপনার কারণে কাজ করতে পারেনি। ফলে উপরের নির্দেশে কাজ বাতিলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে নতুন করে ঠিকাদার নিয়োগ করতে হবে। আর মাইনী নদীর খনন কাজ চলমান আছে, আগামী জুন মাসে শেষ হবে।