জয়পুরহাট শহরের একটি ভাড়া বাসা থেকে ফারজানা আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সবুজনগর মহল্লা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

ফারজানা আক্তার পাঁচবিবি পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়া মহল্লার জীবন হোসেনের স্ত্রী এবং জয়পুরহাট শহরের সাহেবপাড়া মহল্লার জাহিদুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন জানান, ফারজানার প্রথম স্বামী মারা গেছেন। তাঁদের একটি মেয়ে আছে। ফারজানা সম্প্রতি জীবন হোসেন নামের একজনকে বিয়ে করেন। তিনি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। তাঁদের উভয়ের দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টি ফারজানার পরিবার মেনে নেয়নি। পরে ফারজানা ও জীবন প্রায় ছয় মাস আগে সবুজনগর মহল্লার ওই বাসা ভাড়া নেন। সেখানে জীবন নিয়মিত থাকতেন না, আসা-যাওয়া করতেন। কিছুদিন ধরে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গতকাল রাতে ওই বাসা থেকে ওড়না পেঁচানো ও ঝুলন্ত অবস্থায় ফারজানার লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এ সময় ফারজানা শাড়ি পরা ও পরিপাটি অবস্থায় ছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

বাসাটির মালিক আবু হাসেম বলেন, ‘ফারজানা ও তাঁর স্বামী জীবন প্রায় ছয় মাস আগে আমার বাসা ভাড়া নিয়েছেন। তাঁরা দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিটে থাকেন। আর আমরা পরিবার নিয়ে তৃতীয় তলায় বসবাস করি। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জীবন দ্বিতীয় তলায় নিজেদের বাসার দরজায় গিয়ে ফাজানাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর আমার ছেলেকে ঘটনাটি জানালে সে গিয়ে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ পায়নি। পরে গতকাল সন্ধ্যার দিকে আবারও জীবন গিয়ে দরজায় ডাকাডাকি করেন। এবারও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না মেলায় পাশের একটি গাছে উঠে জানালা দিয়ে ফারজানাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়।’

নিহত ফারজানার ছোট ভাই মেজবা নাবিল বলেন, ‘আমার দুলাভাই মারা গেছেন। আট মাস আগে আমার বোন দ্বিতীয় বিয়ে করে ওই ভাড়া বাসায় থাকতেন।’

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ য় মহল ল র একট

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ