মুখে হাসি থাকলেও বুকে শুরু হয় ভাঙচুর: প্রভা
Published: 17th, September 2025 GMT
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা বরাবরই দর্শকের আলোচনায় থাকেন। একসময়ের ব্যস্ত এই তারকা এখন বেছে বেছে কাজ করছেন। অভিনয়ের বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তিনি বেশ সরব। প্রায়ই ভক্তদের সঙ্গে বিভিন্ন অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন। তবে এতে প্রশংসার পাশাপাশি কটাক্ষের শিকারও হতে হয় তাকে।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেই যন্ত্রণার কথাই তুলে ধরেছেন প্রভা। তিনি লিখেছেন, “কেউ যখন হেসে হেসে খোঁচা মেরে কথা বলে, আমিও তার সাথে হাসি। আমার খারাপ লাগেনি তাকে বোঝাই। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে খারাপ লাগে।”
আরো পড়ুন:
চটেছেন প্রভা!
হানিমুনেও নাকি মাকে সঙ্গে নিতে হয়, প্রভার ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট
শুধু তাই নয়, এমন পরিস্থিতি তার ভেতরে কেমন তোলপাড় তৈরি করে সে কথাও জানান এই অভিনেত্রী। তিনি লিখেন, “কেন জানি যখন কেউ মজার ছলে এমন কিছু বলে ফেলে, যেটা আমার জন্য যন্ত্রণাদায়ক, তখন মুখে হাসি থাকলেও বুকে শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর ঝড়। খোঁচা দিয়ে কথা বলা মানুষেরা আসলে জানেই না তাদের ভিতরটা কত কুৎসিত।”
অভিনয় জীবনের বাইরের এই ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করলেও প্রভা বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বড় পর্দার কাজ নিয়ে। প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দুটি সরকারি অনুদানের সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি।
এর একটি হচ্ছে ঝুমুর আসমা জুঁই পরিচালিত ‘দুই পয়সার মানুষ’। অন্যটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় ছোটগল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘দেনা পাওনা’, যার পরিচালনায় রয়েছেন সাদেক সিদ্দিকী। দুটি সিনেমার শুটিং নিয়েই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রভা।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
ক্যারিবীয় সাগরে একটি জাহাজে আবারো হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এতে জাহাজটিতে থাকা অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।
রবিবার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরো পড়ুন:
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার সঙ্গে আলোচনায় না বসার ঘোষণা ট্রাম্পের
শনিবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে হেগসেথ বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই জাহাজটিকে অবৈধ মাদক চোরাচালানে জড়িত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক জলসীমায় পরিচালিত এই হামলার সময় জাহাজটিতে ‘তিনজন পুরুষ মাদক-সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তিনজনই নিহত হয়েছেন।”
শনিবারের এই হামলার আগে গত বুধবার ক্যারিবীয় সাগরে আরো একটি জাহাজে মার্কিন বাহিনীর হামলায় চারজন নিহত হন। গত সোমবার মার্কিন হামলায় নিহত হন ১৪ জন।
মাদক পাচারের অভিযোগ তুলে সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ভেনেজুয়েলা ও কলম্বিয়ার নাগরিকসহ ৬২ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ১৪টি নৌযান এবং একটি সাবমেরিন ধ্বংস হয়েছে।
তবে নৌযানগুলো মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র এখনও দেয়নি। ফলে হামলার বৈধতা নিয়ে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। কলম্বিয়া এবং ভেনেজুয়েলার মতো প্রতিবেশী দেশগুলো এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
ভেনেজুয়েলা বলছে, যুক্তরাষ্ট্র দেশটির বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দেশটি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে ক্যারিবীয় অঞ্চলে সাতটি যুদ্ধজাহাজ, একটি সাবমেরিন, ড্রোন এবং যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে এবং মেক্সিকো উপসাগরে মোতায়েন করেছে আরেকটি যুদ্ধজাহাজ।
ট্রাম্প প্রশাসন মাদক চোরাচালানকারী নৌযানের ওপর তাদের হামলাকে ‘আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের নৌযান সাধারণত আটক করা হয় ও ক্রুদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক মার্কিন অভিযানগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুরো নৌকা ধ্বংস করা হচ্ছে। জাতিসংঘ-নিযুক্ত মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই অভিযানগুলোকে ‘বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ঢাকা/ফিরোজ