বলিউডের জনপ্রিয় র‌্যাপার হানি সিং। তরুণ প্রজন্মের কাছে ‘ইয়ো ইয়ো’ হানি সিং নামেই অধিক পরিচিত। মাঝে সংগীতাঙ্গন থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। গত বছর এ গায়ক জানান, অর্থ-খ্যাতি তাকে মাদক ও নারীতে ডুবিয়ে রেখেছিল। এবার জানালেন, বাইপোলার ডিজঅর্ডার রোগেও ভুগেছেন তিনি।

বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ‘চ্যাপ্টার টু’ নামে একটি পডকাস্ট সঞ্চালনা করেন। এতে অতিথি হিসেবে হাজির হন গায়ক হানি সিং। নতুন এপিসোডের প্রোমো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাতে নিজের অসুস্থতার কথা বলতে শোনা যায় হানিকে।

প্রোমোতে রিয়া চক্রবর্তী জানান, হানি সিংয়ের ডকুমেন্টারি ‘ফেমাস’ নেটফ্লিক্সে দেখেছেন তিনি। এটি দেখে তার আনন্দ যেমন হয়েছে, তেমনি দুঃখও পেয়েছেন। হানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিয়া চক্রবর্তী বলেন, “বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।” জবাবে হানি সিং বলেন, “আকবর দ্য গ্রেট মিটিং করেছেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সঙ্গে। দুই যোদ্ধা দেখা করেছেন।”  

আরো পড়ুন:

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন অভিনেতা সাহিল খানের স্ত্রী

এটা আমাদের সুখের বিবাহবিচ্ছেদ: আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রিয়া জানান, বাইপোলার ডিজঅর্ডার বিষয়ে তার ভালো ধারণা রয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর এই রোগের সঙ্গে সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে হানি সিং বলেন, “এই ছয় বছরের মধ্যে, তিন বছর বিশ্বাস করতাম আমি মরে গেছি।”

হানি সিংয়ের পর্বটি আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া।

র‌্যাপার হানি সিং ব্যক্তিগত জীবনে শালিনী তালওয়ারের সঙ্গে সংসার বেঁধেছিলেন। কিন্তু এ সংসার টেকেনি। ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি। গত বছর লালনটপকে সাক্ষাৎকার দেন হানি সিং। সেখানে বিয়েবিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।

এ আলাপচারিতার হানি সিং বলেছিলেন, “ওই সময়ে আমাদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। আমি অনেক ভ্রমণ করতাম, যার ফলে আমাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। বিয়ের প্রথম ৯-১০ মাস আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু তারপর সাফল্য এবং খ্যাতি আমার মাথায় ঘুরতে থাকে। যখন এটি ঘটেছিল, তখন আমি আমার পরিবারকে অবহেলা করেছিলাম এবং অর্থ-খ্যাতি, আসক্তি এবং নারীদের মাঝে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি ভয়ংকর কাজ করেছি। আমি শালিনীকে ছেড়ে পরিবারকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।”  

বলিউডের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হানি সিংকে মাদকের দিকে ঠেলে দেন। কারো নাম উল্লেখ না করে ‘ব্লু আইজ’খ্যাত এ গায়ক বলেছিলেন, “আমাকে তারা বলতেন, ‘আরে তুই মদ্যপান করতে পারিস। কিন্তু এটা করে দেখা! প্রথমে কয়েকবার সেবনের পর কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু তারপর আসক্ত হয়ে পড়ি।”

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে কাবাডি খেলায় হাজারো দর্শক, ফিরে এলো হারানো ঐতিহ্য

 

গ্রামবাংলার মাঠে-মাঠে একসময় জমজমাটভাবে অনুষ্ঠিত হতো কাবাডি বা হাডুডু খেলা। সময়ের পরিক্রমায় আধুনিক খেলাধুলার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলাদেশের এই জাতীয় খেলা। তবে দীর্ঘদিন পর সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহাসিক চেঙ্গাকান্দী গ্রামের তরুণরা। 

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চেঙ্গাকান্দী বালুর মাঠে আয়োজিত হয় এক চমৎকার কাবাডি প্রতিযোগিতা। আশপাশের এলাকা থেকে হাজার হাজার দর্শক মাঠে ভিড় জমান। দর্শকদের উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা যেন ফিরে এসেছে গ্রামবাংলার সেই সোনালি দিন।

খেলার আয়োজক শরীফ বলেন, হাডুডু আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা এই আয়োজন করেছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় আজ তা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রতিযোগিতায় লাল দল ও নীল দল মুখোমুখি হয়। টানটান উত্তেজনায় ভরপুর এই ম্যাচে দুই দলই সমানভাবে জয় ভাগাভাগি করে নেয়।

খেলা দেখতে আসা স্থানীয় দর্শক মো. সিদ্দিক বলেন, এখন সবাই ক্রিকেট আর ফুটবলে ব্যস্ত। কিন্তু কাবাডিই তো আমাদের শিকড়ের খেলা। আজ এত মানুষ দেখে মনে হলো পুরোনো সময় ফিরে এসেছে।

দর্শক তারা মিয়া বলেন, এই খেলা আমাদের গ্রামের মানুষকে একসাথে করে। আজকে ছেলেমেয়েরা, বৃদ্ধ সবাই মিলে মাঠে এসেছে এটাই তো আসল আনন্দ। এমন আয়োজন বারবার হলে গ্রামের সংস্কৃতি টিকে থাকবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বারদী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী বলেন, কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা হলেও আজ তা হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করা গেলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আগ্রহ বাড়বে এবং ঐতিহ্য টিকবে।”

কাবাডি খেলোয়াড় শুক্কুর আলী বলেন, “কাবাডিতে এখনো অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সুযোগের অভাবে তারা উঠে আসতে পারে না। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন যদি উদ্যোগ নেয়, কাবাডি আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জাকির সরকার এবং উদ্বোধক ছিলেন এডভোকেট সানাউল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি বারাকাহ হাসপাতালের পরিচালক ড. আবদুল মালেক।

উল্লেখ্য, এশিয়া মহাদেশেই কাবাডির উৎপত্তি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশন গঠিত হয় এবং এটিকে জাতীয় খেলার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ