‘তিন বছর বিশ্বাস করতাম আমি মরে গেছি’
Published: 15th, January 2025 GMT
বলিউডের জনপ্রিয় র্যাপার হানি সিং। তরুণ প্রজন্মের কাছে ‘ইয়ো ইয়ো’ হানি সিং নামেই অধিক পরিচিত। মাঝে সংগীতাঙ্গন থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। গত বছর এ গায়ক জানান, অর্থ-খ্যাতি তাকে মাদক ও নারীতে ডুবিয়ে রেখেছিল। এবার জানালেন, বাইপোলার ডিজঅর্ডার রোগেও ভুগেছেন তিনি।
বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী ‘চ্যাপ্টার টু’ নামে একটি পডকাস্ট সঞ্চালনা করেন। এতে অতিথি হিসেবে হাজির হন গায়ক হানি সিং। নতুন এপিসোডের প্রোমো নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাতে নিজের অসুস্থতার কথা বলতে শোনা যায় হানিকে।
প্রোমোতে রিয়া চক্রবর্তী জানান, হানি সিংয়ের ডকুমেন্টারি ‘ফেমাস’ নেটফ্লিক্সে দেখেছেন তিনি। এটি দেখে তার আনন্দ যেমন হয়েছে, তেমনি দুঃখও পেয়েছেন। হানির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রিয়া চক্রবর্তী বলেন, “বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।” জবাবে হানি সিং বলেন, “আকবর দ্য গ্রেট মিটিং করেছেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সঙ্গে। দুই যোদ্ধা দেখা করেছেন।”
আরো পড়ুন:
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন অভিনেতা সাহিল খানের স্ত্রী
এটা আমাদের সুখের বিবাহবিচ্ছেদ: আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে রিয়া জানান, বাইপোলার ডিজঅর্ডার বিষয়ে তার ভালো ধারণা রয়েছে। দীর্ঘ ছয় বছর এই রোগের সঙ্গে সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে হানি সিং বলেন, “এই ছয় বছরের মধ্যে, তিন বছর বিশ্বাস করতাম আমি মরে গেছি।”
হানি সিংয়ের পর্বটি আগামী ১৭ জানুয়ারি মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী রিয়া।
র্যাপার হানি সিং ব্যক্তিগত জীবনে শালিনী তালওয়ারের সঙ্গে সংসার বেঁধেছিলেন। কিন্তু এ সংসার টেকেনি। ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যান এই দম্পতি। গত বছর লালনটপকে সাক্ষাৎকার দেন হানি সিং। সেখানে বিয়েবিচ্ছেদের কারণ ব্যাখ্যা করেন তিনি।
এ আলাপচারিতার হানি সিং বলেছিলেন, “ওই সময়ে আমাদের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না। আমি অনেক ভ্রমণ করতাম, যার ফলে আমাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। বিয়ের প্রথম ৯-১০ মাস আমাদের সম্পর্ক ভালো ছিল। কিন্তু তারপর সাফল্য এবং খ্যাতি আমার মাথায় ঘুরতে থাকে। যখন এটি ঘটেছিল, তখন আমি আমার পরিবারকে অবহেলা করেছিলাম এবং অর্থ-খ্যাতি, আসক্তি এবং নারীদের মাঝে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমি ভয়ংকর কাজ করেছি। আমি শালিনীকে ছেড়ে পরিবারকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।”
বলিউডের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হানি সিংকে মাদকের দিকে ঠেলে দেন। কারো নাম উল্লেখ না করে ‘ব্লু আইজ’খ্যাত এ গায়ক বলেছিলেন, “আমাকে তারা বলতেন, ‘আরে তুই মদ্যপান করতে পারিস। কিন্তু এটা করে দেখা! প্রথমে কয়েকবার সেবনের পর কিছুই বুঝতে পারিনি। কিন্তু তারপর আসক্ত হয়ে পড়ি।”
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া: জয়পুরহাটে আইএইচটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
এক বছর ধরে বিদ্যুতের বিপুল পরিমাণ বিল বকেয়া থাকায় জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি)বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। গতকাল রোববার সকাল ১০টার পর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে গত দুই দিন পুরো আইএইচটি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় আবাসিক শিক্ষার্থীরা গতকাল দুপুর থেকেই হোস্টেল ছাড়তে শুরু করেন। বাধ্য হয়ে আজ সোমবার থেকে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালে গোপীনাথপুর আইএইচটির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন হলেও এখনো অর্থনৈতিক কোড হয়নি। এ কারণে অধিদপ্তরের মাধ্যমে এর আনুষঙ্গিক ব্যয়ের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হতো। তবে গত এক বছর ধরে সেই বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে। এ সময় আইএইচটির ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৩ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়ে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বারবার বিল পরিশোধের তাগাদা দিলেও বরাদ্দ না থাকায় কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত গতকাল সকালে আইএইচটির বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
আইএইচটি সূত্র জানায়, ফার্মেসি ও ল্যাব টেকনোলজি—এই দুই ট্রেডে প্রতিষ্ঠানে ৪৫০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। দুটি পৃথক হোস্টেলে তিন শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েন। সোলার সিস্টেম থাকলেও তা শুরু থেকেই অচল। ফলে রাতের বেলায় আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতা অনুভব করছিলেন। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
আজ দুপুর ১২টার দিকে আইএইচটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা হোস্টেল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। ল্যাব টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আইএইচটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে এখানে পড়াশোনা করছি। তারপরও আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এটা আমরা কখনো প্রত্যাশা করিনি। কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিদ্যুতের সমস্যার সমাধানের দাবি করছি।’
আরেক শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, ‘আমরা রোববার দিবাগত রাতে বিদ্যুৎবিহীন ছিলাম। রাতের বেলায় বহিরাগত ও চোর ঢুকেছিল। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ছিলাম।’
গোপীনাথপুর আইএইচটির অধ্যক্ষ আবদুল কুদ্দুস মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো প্রতিষ্ঠানটির অর্থনৈতিক কোড হয়নি। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যয়ভারের বরাদ্দ দেওয়া হতো। এক বছর ধরে সেটিও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এক বছরের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া পড়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি একাধিকবার বিল পরিশোধের তাগাদা দিলেও আমরা পরিশোধ করতে পারিনি।’