একাত্তরে জামায়াত নেতার বয়স ছিল ৪, বললেন, ‘আমিও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম’
Published: 8th, December 2025 GMT
চাঁদপুরে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বলেছেন, ‘আমাদের বাঁকা চোখে দেখবেন না। কারণ, আমিও একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম।’ আজ সোমবার চাঁদপুর মুক্ত দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিল্লাল হোসেন মিয়াজী বলেন, ‘আমিও একজন সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি। ১৯৭১ সালে আমিসহ আমাদের এলাকার ছোট ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাল-ডাল সংগ্রহ করে এনে দিতাম। তাঁদের খাবার পৌঁছে দিতাম। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আমাদের বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে।’
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ স্মৃতি ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’–এর পাদদেশে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন শহীদ স্মৃতি ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’–এ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর শহীদ ও তাঁদের পরিবারের জন্য দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দুটি ডিমের খাঁচা উন্মোচন করল ২৪ বছর আগে পাওয়া অজ্ঞাত লাশের রহস্য
২০০১ সালের সেপ্টেম্বর মাস। কর্ণাটকের কোনানাকালু রিজার্ভ ফরেস্টে টহল দিচ্ছিলেন একজন বনরক্ষী। টহলের সময় তিনি জঙ্গলের ভেতর একজন পুরুষের লাশ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক খবর দেন কর্তৃপক্ষকে।
এ ঘটনার প্রথম সূত্র পাওয়া যায় নিহত ব্যক্তির পকেট থেকে। সেখানে ছিল একটি পাসবুক আর একটি ফোন নম্বর। এগুলো দেখে ধারণা করা হয়, নিহত ব্যক্তি শিবামোগ্গার এক ব্যবসায়ী। কিন্তু খুব দ্রুতই সেই সূত্র অকার্যকর হয়ে পড়ে।
এরপর কেটে যায় বছরের পর বছর। কোনো ডিজিটাল তথ্য ছিল না। খুনিরা ব্যবহার করেছিলেন একটি এসটিডি ফোনবুথ আর ল্যান্ডলাইন। ফলে এ–সংক্রান্ত মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল।
প্রথম পাওয়া সূত্র অকার্যকর হয়ে যাওয়ার পর কেটে যায় বছরের পর বছর। কোনো ডিজিটাল তথ্য ছিল না। খুনিরা ব্যবহার করেছিলেন একটি এসটিডি ফোনবুথ আর ল্যান্ডলাইন। ফলে এ–সংক্রান্ত মামলাটি প্রায় নিশ্চিতভাবেই অমীমাংসিত থেকে যাবে বলে মনে হচ্ছিল।সময় এগিয়ে আসে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর। খুনের ওই ঘটনায় পুরোনো ফাইল আবার খোলা হয়। খতিয়ে দেখা হয় অন্তত ছয়টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা অনেকগুলো ফোনবুথের কল রেকর্ড। কর্ণাটক পুলিশের তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়েছেন।
ডিমের খাঁচার প্রতীকী ছবি