নিউইয়র্কে আসলে নেতানিয়াহুকে কীভাবে গ্রেপ্তার করবেন জোহরান
Published: 8th, December 2025 GMT
নিউইয়র্ক নগরের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি বারবার বলে আসছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্কে পা রাখলেই তিনি তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগকে (এনওয়াইপিডি) নির্দেশ দেবেন। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আইসিসি। এর মধ্যে ক্ষুধাকে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা ও বেসামরিক নাগরিকদের হামলার নিশানা করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগ সত্ত্বেও নেতানিয়াহু ৩ ডিসেম্বর ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি শিগগিরই নিউইয়র্ক সফরের পরিকল্পনা করছেন। তিনি আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর করার বিষয়ে জোহরান মামদানির বক্তব্যকে উড়িয়ে দেন।
জোহরানের গ্রেপ্তারের আর নেতানিয়াহুর নিউইয়র্ক সফরের ঘোষণা আসার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে—আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, একজন বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা কি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নগরের মেয়রের আছে?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে প্রথমে আইসিসির বিষয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বুঝতে হবে। আইসিসি প্রতিষ্ঠার চুক্তি ‘রোম স্ট্যাটিউট’-এর (রোম সংবিধি) স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের কেউ–ই নেই।
ইসরায়েল প্রথমে চুক্তিটিতে সই করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় তার নাগরিক ও মিত্রদের ওপর আইসিসির বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের বিরোধিতা করে আসছে।
ফিলিস্তিন ২০১৫ সালে ‘রোম স্ট্যাটিউট’-এ যোগ দেয়। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির প্রাক্-বিচারিক চেম্বার নিশ্চিত করেছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের ওপর আদালতের বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে।রোম স্ট্যাটিউটের ১২ থেকে ১৫ ধারা অনুযায়ী, আইসিসি যেসব পরিস্থিতিতে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে সেগুলো হচ্ছে—অপরাধী কোনো স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের নাগরিক হলে বা অপরাধটি কোনো স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রের ভূখণ্ডে ঘটলে; কোনো স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র আদালতকে কোনো পরিস্থিতি বিচারের জন্য পাঠালে; নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায় অনুযায়ী কোনো পরিস্থিতি বিচারের জন্য পাঠালে; কোনো অ-সদস্যরাষ্ট্র আদালতের কাছে অ্যাডহক ঘোষণার মাধ্যমে তার বিচারিক ক্ষমতা গ্রহণ করলে অথবা প্রসিকিউটর যুক্তিসংগত কারণের ভিত্তিতে নিজে থেকেই তদন্ত শুরু করলে বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে।
ফিলিস্তিন ২০১৫ সালে ‘রোম স্ট্যাটিউট’-এ যোগ দেয়। এরপর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আইসিসির প্রাক্-বিচারিক চেম্বার নিশ্চিত করেছে, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সংঘটিত অপরাধের ওপর আদালতের বিচারিক ক্ষমতা রয়েছে।
২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আইসিসি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গাজায় অনাহারের পরিস্থিতি সৃষ্টি ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
মার্কিন রাজনীতিকে কি নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে পারেন জোহরান
আইসিসির নিজস্ব কোনো গ্রেপ্তারি বা প্রয়োগকারী ব্যবস্থা নেই। এটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে সদস্যরাষ্ট্রগুলোর ওপর নির্ভর করে। ২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, যার মধ্যে সম্পদ জব্দ করা ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা ছিল। আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিনে মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধের তদন্তে বাধা দিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
আইসিসির আদেশ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হলে আন্তর্জাতিক আইন বিকল্প হিসেবে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’–এর বিধান দেয়। এই নীতি অনুযায়ী, যেকোনো রাষ্ট্র গুরুতর আন্তর্জাতিক অপরাধের—যেমন গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ, তা যেখানেই ঘটুক বা অপরাধীর জাতীয়তা যা–ই হোক—অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার করতে পারে।
সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে বিদেশি কর্মকর্তাদের বিচার করতে এই নীতি ব্যবহার করেছে। যেমন—২০১৪ সালে গাম্বিয়ার সাবেক মন্ত্রী উসমান সোনকোকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা ও ফ্রান্সের একটি আদালতের মাধ্যমে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।সুইজারল্যান্ড, পর্তুগাল, স্পেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মতো বেশ কয়েকটি দেশ সফলভাবে বিদেশি কর্মকর্তাদের বিচার করতে এই নীতি ব্যবহার করেছে। যেমন—২০১৪ সালে গাম্বিয়ার সাবেক মন্ত্রী উসমান সোনকোকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা ও ফ্রান্সের একটি আদালতের মাধ্যমে সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
ইসরায়েলও ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ নীতির সুযোগ নিয়েছিল
আগে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নির্দেশ করছে, ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’র নীতিটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী আইনি যুক্তি হিসেবে কাজ করতে পারে। এর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হলো, অ্যাডলফ ইচম্যান-এর বহুল পরিচিত মামলা, যিনি ‘হলোকাস্টের স্থপতি’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ওই ঘটনায় ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ১৯৬০ সালের মে মাসে ইচম্যানকে আর্জেন্টিনা থেকে অপহরণ করে জেরুজালেমে নিয়ে আসে। সেখানে তাঁর বিচার হয়। আদালত ইচম্যানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। ১৯৬২ সালের ১ জুন তাঁকে রামলার আয়ালন কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
ইসরায়েল আর্জেন্টিনা থেকে ইচম্যানকে অপহরণের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগ করেছিল। তারা যুক্তি দেখিয়েছিল, ইচম্যানের বিরুদ্ধে জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ ছিল। ১৫ বছর আগে নুরেমবার্গের আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইব্যুনালে অপরাধী ঘোষিত একটি সংস্থার সদস্য ছিলেন তিনি।
ইসরায়েলের দাবি ছিল, ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ রাষ্ট্রকে অপরাধীরা যে দেশের হোক বা যে দেশেই বসবাস করুক না কেন—তাদের গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা দেয়। ইচম্যানের ক্ষেত্রে, অপরাধী ছিল জার্মান নাগরিক, নির্যাতিতরা ছিলেন জার্মান ইহুদি। অপরাধ জার্মানির মাটিতে সংঘটিত হয়েছিল, অপরাধীকে অপহরণ করা হয়েছিল আর্জেন্টিনা থেকে।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ১৯৬০ সালের মে মাসে ইচম্যানকে আর্জেন্টিনা থেকে অপহরণ করে জেরুজালেমে নিয়ে আসে। সেখানে তাঁর বিচার হয়। আদালত ইচম্যানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন। ১৯৬২ সালের ১ জুন তাঁকে রামলার আয়ালন কারাগারে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের অর্থ দাঁড়াচ্ছে, অপরাধের উপাদানগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাই এ ঘটনায় ইসরায়েলের পদক্ষেপগুলো তার বিরুদ্ধেই একটি শক্তিশালী আইনি নজির তৈরি করেছে। এখন যেকোনো রাষ্ট্র, তার ভৌগোলিক অবস্থান বা আইসিসিরর সদস্যপদ যাই হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে পারে।
‘ট্রায়াল ইন্টারন্যাশনাল’ জোর দিয়ে বলছে, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত ব্যক্তিরা তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থানের ভিত্তিতে সুরক্ষা পেতে পারেন না। কারণ, এমন অপরাধ সংঘটিত হলে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি তৈরি হয়, যার কারণে তারা এই সুরক্ষা লাভের যোগ্যতা হারান।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সুবিধা ভোগ করছেন, তা ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ কাঠামোর আওতায় তাঁকে গ্রেপ্তার থেকে সুরক্ষা দেবে না। যেমনটা হয়েছিল চিলির সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল অগাস্টো পিনোশের ক্ষেত্রে। গণহত্যা, জোরপূর্বক গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে স্পেনের আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে পিনোশে ১৯৯৮ সালের অক্টোবরে লন্ডনে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’র আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উসমান সোনকো। সুইজারল্যান্ডের একটি আদালত তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন। সোনকোকে ২০১৭ সালে বার্নে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০২৪ সালে সুইস ফেডারেল ফৌজদারি আদালত তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এখন ইচম্যানের গ্রেপ্তারের সঙ্গে নিউইয়র্কের স্থানীয় প্রশাসনের নেতানিয়াহুকে সম্ভাব্য গ্রেপ্তারের ঘোষণার সাদৃশ্য টানি, তাহলে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। নিউইয়র্কে ঢোকার পর নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের জন্য ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রকে আইসিসির সদস্যরাষ্ট্র হওয়ার প্রয়োজন নেই।
এ ধরনের ব্যক্তির জন্য এটিই যথেষ্ট যে অপরাধীরা এমন জঘন্য অপরাধ করেছেন, যা সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। নেতানিয়াহুর ক্ষেত্রে ঠিক এটাই প্রযোজ্য।
কেউ কেউ যুক্তি দিতে পারেন, নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার আইনি ক্ষমতা নেই এনওয়াইপিডির। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগ ‘যুদ্ধাপরাধ আইন’–এর আওতায় পড়ে। এই আইন কার্যকর করার জন্য ফেডারেল অনুমোদন প্রয়োজন হতে পারে। এনওয়াইপিডির পক্ষে যা পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
অন্যরা অবশ্য মনে করেন, ‘লেহি আইন’ বা ১৮ ইউএস কোড ১০৯১—জাতিগত নিধনের অধীনে ইসরায়েলকে জবাবদিহি করা যেতে পারে। এমন বিশ্বাস করা হয়, ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগের জন্য পূর্বানুমতির প্রয়োজন হয় না। কারণ, এটি আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইন থেকে বৈধতা পেয়ে থাকে।
এই আইন অনুযায়ী, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো গুরুতর অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করার আইন অপরিবর্তনীয় হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাতিল বা লঙ্ঘন করা যায় না।
আইসিসির বর্ণিত ধারা ও আইনগতভাবে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করার সুযোগ রয়েছে। সদস্যরাষ্ট্রগুলো আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে ব্যর্থ হলে আন্তর্জাতিক আইনে বিকল্প প্রক্রিয়ার সুযোগ রয়েছে। ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ এমনই একটি প্রক্রিয়া।
ইসরায়েল আর্জেন্টিনা থেকে ইচম্যানকে অপহরণের ন্যায্যতা প্রমাণ করতে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ প্রয়োগ করেছিল। তারা যুক্তি দেখিয়েছিল, ইচম্যানের বিরুদ্ধে জার্মানিতে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগ ছিল। ১৫ বছর আগে নুরেমবার্গের আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইব্যুনালে অপরাধী ঘোষিত একটি সংস্থার সদস্য ছিলেন তিনি।চিলির সামরিক নেতা অগাস্টো পিনোশের গ্রেপ্তার, হলোকাস্টের স্থপতি ইচম্যানকে আটক ও গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদ এবং তাঁর গোয়েন্দা প্রধানদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিশ্চিত করছে, রাজনৈতিক বা সামরিক অবস্থান নির্বিশেষে কোনো ব্যক্তিই জবাবদিহি ও আন্তর্জাতিক বিচার থেকে মুক্ত নন।
অপরাধী ব্যক্তিদের তাঁদের জাতীয়তা বা অবস্থান নির্বিশেষে আটক করতে ‘সর্বজনীন বিচারিক ক্ষমতা’ আইসিসির অপরিহার্য ও পরিপূরক উপায়। নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরানের ঘোষণা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারকে শক্তিশালী করার এবং দায়মুক্তির অবসান ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের রাজনৈতিক ও আর্থিক চাপের মুখে আইসিসিকে ক্ষমতায়িত করার জন্যও জোহরানের ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ।
আরও পড়ুননেতানিয়াহু নিউইয়র্কে এলেই গ্রেপ্তার হবে: মামদানি১৯ নভেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ধ ও গণহত য র র ব চ র ক ক ষমত র ম স ট য ট উট গ র প ত র কর র কর মকর ত দ র য ক তর ষ ট র স ব ক ষরক র র জন য দ ষ আর জ ন ট ন অপর ধ র জ ন উইয র ক র র জন য পর স থ ত র জন ত ক আইস স র র সদস য ইসর য় ল অবস থ ন পদক ষ প মন ত র অন য য হ র কর ইসর য র করত র ওপর র একট
এছাড়াও পড়ুন:
দেখে নিন ২০২৬ বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সময়-সূচি
২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো ৪৮ দলকে নিয়ে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় আসর। স্থানীয় শুক্রবার দিবাগত রাতে ওয়াশিংটন ডিসির জন এফ. কেনেডি সেন্টারে রঙিন আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে অপেক্ষাকৃত বহুল প্রতীক্ষিত ড্র অনুষ্ঠান। ঠিক পরদিন একই ভেন্যু থেকে প্রকাশ করা হলো টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূচি।
সবকিছু ঠিক থাকলে বাংলাদেশ সময় ১১ জুন রাত ১টায় মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এর। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিক মেক্সিকো এবং আফ্রিকার প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকা। দীর্ঘ এক মাসব্যাপী লড়াই শেষে ১৯ জুলাই রাত ১টায় নিউইয়র্ক–নিউজার্সি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।
আরো পড়ুন:
রোনালদোর রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে এমবাপ্পে, প্রশংসায় ভাসালেন আলোনসো
তোরেসের প্রথম হ্যাটট্রিকে বার্সার গোল উৎসব
ফিফা এবার তিন আয়োজক- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো জুড়ে বিস্তৃত করেছে টুর্নামেন্টের ব্যপ্তি। ম্যাচ সংখ্যা, দলসংখ্যা ও শহর- সব ক্ষেত্রেই আগের যেকোনো সংস্করণকে ছাড়িয়ে গেছে ২০২৬ বিশ্বকাপ।
ড্র-পর্বের জমকালো আয়োজনের পর সূচি প্রকাশ আরও এক দফা উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে। বিশ্বের অন্যতম আধুনিক ভেন্যুগুলোর আলোয় এক মাস ধরে জমবে ফুটবল উৎসব- প্রত্যাশার এমন উচ্চতায় এখন নিশ্বাস ফেলছে গোটা ফুটবল দুনিয়া।
দলগুলো কোন শহরে কতটি ম্যাচ খেলবে, গ্রুপপর্বের তারিখসহ প্রতিটি সূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ইতোমধ্যে দিয়েছে ফিফা। আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। এর পরই শুরু হবে ফুটবলের মহাযজ্ঞ। তার আগে চলুন দেখে নেওয়াক যাক ২০২৬ বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সময়-সূচি।
২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপভিত্তিক সূচি:
‘গ্রুপ-এ:’ মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, উয়েফা প্লে অফ-ডি জয়ী (চেক রিপাবলিক, রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক কিংবা নর্থ মেসিডোনিয়া)
১১ জুন- মেক্সিকো বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা-মেক্সিকো সিটি স্টেডিয়াম (রাত ১টা)
১২ জুন- দক্ষিণ কোরিয়া বনাম উয়েফা প্লে অফ ডি জয়ী- এস্তাদিও গুয়াদালাজারা (সকাল ৮টা)
১৮ জুন- উয়েফা প্লে অফ ডি জয়ী বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা- মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়াম (রাত ১০টা)
১৯ জুন- মেক্সিকো বনাম দক্ষিণ কোরিয়া- এস্তাদিও গুয়াদালাজারা (সকাল ৭টা)
২৪ জুন- উয়েফা প্লে অফ ডি জয়ী বনাম মেক্সিকো- মেক্সিকো সিটি স্টেডিয়াম (সকাল ৭টা)
২৫ জুন- দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম দক্ষিণ কোরিয়া- এস্তাদিও মন্টেরে (সকাল ৭টা)
‘গ্রুপ-বি:’ কানাডা, কাতার, সুইজারল্যান্ড ও উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী (ইতালি, ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড কিংবা বসনিয়া-হার্জেগোভিনা)
১২ জুন- কানাডা বনাম উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী- বিএমও ফিল্ড (দিবাগত রাত ১টা)
১৪ জুন- কাতার বনাম সুইজারল্যান্ড- লেভি’স স্টেডিয়াম (ভোর ৪টা)
১৮ জুন- উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী বনাম সুইজারল্যান্ড- সোফাই স্টেডিয়াম (দিবাগত রাত ১টা)
১৯ জুন- কানাডা বনাম কাতার- বিসি প্লেস (ভোর ৪টা)
২৪ জুন- কানাডা বনাম সুইজারল্যান্ড- বিসি প্লেস (দিবাগত রাত ১টা)
২৪ জুন- উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী বনাম কাতার - লুমেন ফিল্ড (দিবাগত রাত ১টা)
‘গ্রুপ- সি’: ব্রাজিল, মরক্কো, হাইতি, স্কটল্যান্ড
১৪ জুন- ব্রাজিল বনাম মরক্কো- নিউইয়র্ক নিউজার্সি স্টেডিয়াম (ভোর ৪টা)
১৪ জুন- হাইতি বনাম স্কটল্যান্ড- বোস্টন (সকাল ৭টা)
২০ জুন- ব্রাজিল বনাম হাইতি- বোস্টন (ভোর ৪টা)
২০ জুন- স্কটল্যান্ড বনাম মরক্কো- ফিলাডেলফিয়া (সকাল ৭টা)
২৫ জুন- স্কটল্যান্ড বনাম ব্রাজিল- মায়ামি (ভোর ৪টা)
২৫ জুন- মরক্কো বনাম হাইতি- আটালান্টা (ভোর ৪টা)
‘গ্রুপ-ডি’: যুক্তরাষ্ট্র, প্যারাগুয়ে, অস্ট্রেলিয়া, উয়েফা প্লে অফ সি জয়ী (স্লোভাকিয়া, তুরস্ক, কসোভো কিংবা রোমানিয়া)
১৩ জুন- যুক্তরাষ্ট্র বনাম প্যারাগুয়ে- সোফাই স্টেডিয়াম (সকাল ৭টা)
১৩ জুন- অস্ট্রেলিয়া বনাম উয়েফা প্লে অফ সি জয়ী- বিসি প্লেস (সকাল ১০টা)
১৯ জুন- উয়েফা প্লে অফ সি জয়ী বনাম প্যারাগুয়ে- লেভি’স স্টেডিয়াম (সকাল ১০টা)
১৯ জুন- যুক্তরাষ্ট্র বনাম অস্ট্রেলিয়া- লুমেন ফিল্ড (দিবাগত রাত ১টা)
২৬ জুন- উয়েফা প্লে অফ সি জয়ী বনাম যুক্তরাষ্ট্র- সোফাই স্টেডিয়াম (সকাল ৮টা)
২৬ জুন- প্যারাগুয়ে বনাম অস্ট্রেলিয়া- লেভি’স স্টেডিয়াম (সকাল ৮টা)
‘গ্রুপ- ই:’ জার্মানি, কুরাসাও, আইভরি কোস্ট, ইকুয়েডর
১৪ জুন- জার্মানি বনাম কুরাসাও- হোস্টন (রাত ১১টা)
১৫ জুন- আইভরি কোস্ট বনাম ইকুয়েডর- ফিলাডেলফিয়া (ভোর ৫টা)
২০ জুন- জার্মানি বনাম আইভরি কোস্ট- টরোন্টো (দিবাগত রাত ২টা)
২১ জুন- ইকুয়েডর বনাম কুরাসাও- কানসাস সিটি (ভোর ৬টা)
২৫ জুন- ইকুয়েডর বনাম জার্মানি- নিউইয়র্ক নিউজার্সি (দিবাগত রাত ২টা)
২৫ জুন- কুরাসাও বনাম আইভরি কোস্ট- ফিলাডেলফিয়া (দিবাগত রাত ২টা)
‘গ্রুপ-এফ:’ নেদারল্যান্ডস, জাপান, উয়েফা প্লে অফ বি জয়ী (ইউক্রেন, সুইডেন, পোল্যান্ড বা আলবেনিয়া) ও তিউনিসিয়া।
১৪ জুন- নেদারল্যান্ডস বনাম জাপান- ডালাস (দিবাগত রাত ২টা)
১৫ জুন- উয়েফা প্লে অফ বি জয়ী বনাম তিউনিসিয়া- মন্টেরে (সকাল ৮টা)
২০ জুন- নেদারল্যান্ডস বনাম উয়েফা প্লে অফ বি জয়ী- হোস্টন (রাত ১১টা)
২০ জুন- তিউনিসিয়া বনাম জাপান- মন্টেরে (রাত ১০টা)
২৬ জুন- তিউনিসিয়া বনাম নেদারল্যান্ডস- ডালাস (ভোর ৫টা)
২৬ জুন- জাপান বনাম উয়েফা প্লে অফ বি জয়ী- কানসাস সিটি (ভোর ৫টা)
‘গ্রুপ-জি:’ বেলজিয়াম, মিশর, ইরান, নিউজিল্যান্ড
১৫ জুন- বেলজিয়াম বনাম মিশর- সিয়াটল (দিবাগত রাত ১টা)
১৬ জুন- ইরান বনাম নিউজিল্যান্ড- লস অ্যাঞ্জেলস (সকাল ৭টা)
২১ জুন- বেলজিয়াম বনাম ইরান- লস অ্যাঞ্জেলস (দিবাগত রাত ১টা)
২২ জুন- নিউজিল্যান্ড বনাম মিশর- ভ্যাঙ্কুভার (সকাল ৭টা)
২৭ জুন- নিউজিল্যান্ড বনাম বেলজিয়াম- ভ্যাঙ্কুভার (সকাল ৯টা)
২৭ জুন- মিশর বনাম ইরান- সিয়াটল (সকাল ৯টা)
‘গ্রুপ-এইচ:’ স্পেন, কেপ ভার্দে, সৌদি আরব, উরুগুয়ে
১৫ জুন- স্পেন বনাম কেপ ভার্দে- আটালান্টা (রাত ১০টা)
১৬ জুন- সৌদি আরব বনাম উরুগুয়ে- মায়ামি (ভোর ৪টা)
২১ জুন- স্পেন বনাম সৌদি আরব- আটালান্টা (রাত ১০টা)
২২ জুন- উরুগুয়ে বনাম কেপ ভার্দে- মায়ামি (ভোর ৪টা)
২৭ জুন- উরুগুয়ে বনাম স্পেন- হোস্টন (ভোর ৬টা)
২৭ জুন- কেপ ভার্দে বনাম সৌদি আরব- গুয়াদালাজারা (ভোর ৬টা)
‘গ্রুপ-আই’: ফ্রান্স, সেনেগাল, ফিফা প্লে অফ ২ জয়ী (ইরাক, বলিভিয়া কিংবা সুরিনাম), নরওয়ে
১৬ জুন- ফ্রান্স বনাম সেনেগাল- নিউইয়র্ক নিউজার্সি (দিবাগত রাত ১টা)
১৭ জুন- ফিফা প্লে অফ ২ জয়ী বনাম নরওয়ে- বোস্টন (ভোর ৪টা)
২২ জুন- ফ্রান্স বনাম প্লে অফ ২ জয়ী- ফিলাডেলফিয়া (দিবাগত রাত ৩টা)
২৩ জুন- নরওয়ে বনাম সেনেগাল- নিউইয়র্ক নিউজার্সি (ভোর ৬টা)
২৬ জুন- নরওয়ে বনাম ফ্রান্স- বোস্টন (দিবাগত রাত ১টা)
২৬ জুন- সেনেগাল বনাম ফিফা প্লে অফ ২ জয়ী- টরোন্টো (দিবাগত রাত ১টা)
‘গ্রুপ-জে:’ আর্জেন্টিনা, আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া ও জর্ডান
১৬ জুন- অস্ট্রিয়া বনাম জর্ডান- সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়া (সকাল ১০টা)
১৭ জুন- আর্জেন্টিনা বনাম আলজেরিয়া- কানসাস সিটি (সকাল ৭টা)
২২ জুন- আর্জেন্টিনা বনাম অস্ট্রিয়া- ডালাস (রাত ১১টা)
২৩ জুন- জর্ডান বনাম আলজেরিয়া- সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়া (সকাল ৯টা)
২৮ জুন- জর্ডান বনাম আর্জেন্টিনা- ডালাস (সকাল ৮টা)
২৮ জুন- আলজেরিয়া বনাম অস্ট্রিয়া- কানসাস সিটি (সকাল ৮টা)
‘গ্রুপ-কে’: পর্তুগাল, ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী (কঙ্গো, জ্যামাইকা বা নিউ ক্যালেডনিয়া), উজবেকিস্তান, কলম্বিয়া।
১৭ জুন- পর্তুগাল বনাম ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী- হোস্টন (রাত ১১টা)
১৮ জুন- উজবেকিস্তান বনাম কলম্বিয়া- মেক্সিকো সিটি (সকাল ৮টা)
২৩ জুন- পর্তুগাল বনাম উজবেকিস্তান- হোস্টন (রাত ১১টা)
২৪ জুন- কলম্বিয়া বনাম ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী- গুয়াদালাজারা (সকাল ৮টা)
২৮ জুন- কলম্বিয়া বনাম পর্তুগাল- মায়ামি (ভোর সাড়ে ৫টা)
২৮ জুন- ফিফা প্লে অফ ১ জয়ী বনাম উজবেকিস্তান- আটলান্টা (ভোর সাড়ে ৫টা)
‘গ্রুপ-এল’: ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, ঘানা, পানামা
১৭ জুন- ইংল্যান্ড বনাম ক্রোয়েশিয়া- ডালাস (দিবাগত রাত ২টা)
১৮ জুন- ঘানা বনাম পানামা- টরোন্টো (ভোর ৫টা)
২৩ জুন- ইংল্যান্ড বনাম ঘানা- বোস্টন (দিবাগত রাত ২টা)
২৪ জুন- পানামা বনাম ক্রোয়েশিয়া- টরোন্টো (ভোর ৫টা)
২৭ জুন- পানামা বনাম ইংল্যান্ড- নিউইয়র্ক নিউজার্সি (দিবাগত রাত ৩টা)
২৭ জুন- ক্রোয়েশিয়া বনাম ঘানা- ফিলাডেলফিয়া (দিবাগত রাত ৩টা)
শেষ ৩২ (দ্বিতীয় রাউন্ড):
২৮ জুন - ম্যাচ ৭৩ - এ২ বনাম বি২ - লস অ্যাঞ্জেলস (রাত ৩টা)
২৯ জুন - ম্যাচ ৭৬ - সি১ বনাম এফ২ - হোস্টন (রাত ১১টা)
২৯ জুন - ম্যাচ ৭৪ - ই১ বনাম এ/বি/সি/ডি/এফ-৩ - বোস্টন (রাত ২–৩০ মি.)
৩০ জুন - ম্যাচ ৭৫ - এফ১ বনাম সি২ - মন্টেরে (সকাল ৭টা)
৩০ জুন - ম্যাচ ৭৮ - ই২ বনাম আই২ - ডালাস (রাত ১১টা)
৩০ জুন - ম্যাচ ৭৭ - আই১ বনাম সি/ডি/এফ/জি/এইচ-৩ - নিউইয়র্ক–নিউজার্সি (রাত ৩টা)
১ জুলাই - ম্যাচ ৭৯ - এ১ বনাম সি/ই/এফ/এইচ/আই-৩ - মেক্সিকো সিটি (সকাল ৭টা)
১ জুলাই - ম্যাচ ৮০ - এল১ বনাম ই/এফ/এইচ/আই/জে/কে-৩ - আটালান্টা (রাত ১০টা)
১ জুলাই - ম্যাচ ৮২ - জি১ বনাম এ/ই/এইচ/আই/জে-৩ - সিয়াটল (রাত ২টা)
২ জুলাই - ম্যাচ ৮১ - ডি১ বনাম বি/ই/এফ/আই/জে-৩ - সান ফ্রান্সিসকো (সকাল ৬টা)
২ জুলাই - ম্যাচ ৮৪ - এইচ১ বনাম জে২ - লস অ্যাঞ্জেলেস (রাত ১টা)
৩ জুলাই - ম্যাচ ৮৩ - কে২ বনাম এল২ - টরন্টো (ভোর ৫টা)
৩ জুলাই - ম্যাচ ৮৫ - বি১ বনাম ই/এফ/জি/আই/জে-৩ - ভ্যাঙ্কুভার (সকাল ৯টা)
৩ জুলাই - ম্যাচ ৮৮ - ডি২ বনাম জি২ - ডালাস (রাত ১২টা)
৪ জুলাই - ম্যাচ ৮৬ - জে১ বনাম এইচ২ - মায়ামি (ভোর ৪টা)
৪ জুলাই - ম্যাচ ৮৭ - কে১ বনাম ডি/ই/আই/জে/এল-৩ - কানসাস সিটি (সকাল ৭–৩০ মি.)
শেষ ১৬ (তৃতীয় রাউন্ড):
৪ জুলাই - ম্যাচ ৯০ - ৭৩ ম্যাচ জয়ী বনাম ৭৫ ম্যাচ জয়ী - হোস্টন (রাত ১১টা)
৪ জুলাই - ম্যাচ ৮৯ - ৭৮ ম্যাচ জয়ী বনাম ৭৭ ম্যাচ জয়ী - ফিলাডেলফিয়া (রাত ৩টা)
৫ জুলাই - ম্যাচ ৯১ - ৭৬ ম্যাচ জয়ী বনাম ৭৮ ম্যাচ জয়ী - নিউইয়র্ক-নিউজার্সি (রাত ২টা)
৬ জুলাই - ম্যাচ ৯২ - ৭৯ ম্যাচ জয়ী বনাম ৮০ ম্যাচ জয়ী - মেক্সিকো সিটি (সকাল ৬টা)
৬ জুলাই - ম্যাচ ৯৩ - ৮৩ ম্যাচ জয়ী বনাম ৮৪ ম্যাচ জয়ী - ডালাস (রাত ১টা)
৭ জুলাই - ম্যাচ ৯৪ - ৮১ ম্যাচ জয়ী বনাম ৮২ ম্যাচ জয়ী - সিয়াটল (সকাল ৬টা)
৭ জুলাই - ম্যাচ ৯৫ - ৮৬ ম্যাচ জয়ী বনাম ৮৮ ম্যাচ জয়ী - আটলান্টা (রাত ১০টা)
৭ জুলাই - ম্যাচ ৯৬ - ৮৫ ম্যাচ জয়ী বনাম ৮৭ ম্যাচ জয়ী - ভ্যাঙ্কুভার (রাত ২টা)
কোয়ার্টার ফাইনাল:
৯ জুলাই - ম্যাচ ৯৭ - ৮৯ ম্যাচ জয়ী বনাম ৯০ ম্যাচ জয়ী - বোস্টন (রাত ২টা)
১০ জুলাই - ম্যাচ ৯৮ - ৯৩ ম্যাচ জয়ী বনাম ৯৪ ম্যাচ জয়ী - লস অ্যাঞ্জেলস (রাত ১১টা)
১১ জুলাই - ম্যাচ ৯৯ - ৯১ ম্যাচ জয়ী বনাম ৯২ ম্যাচ জয়ী - মায়ামি (রাত ৩টা)
১২ জুলাই - ম্যাচ ১০০ - ৯৫ ম্যাচ জয়ী বনাম ৯৬ ম্যাচ জয়ী - কানসাস (সকাল ৭টা)
সেমিফাইনাল:
১৪ জুলাই - ম্যাচ ১০১ - ৯৭ ম্যাচ জয়ী বনাম ৯৮ ম্যাচ জয়ী - ডালাস (রাত ১টা)।
১৫ জুলাই - ম্যাচ ১০২ - ৯৯ ম্যাচ জয়ী বনাম ১০০ ম্যাচ জয়ী - আটালান্টা (রাত ১টা)।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী:
১৮ জুলাই - তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ - মায়ামি (রাত ৩টা)।
ফাইনাল:
১৯ জুলাই - ফাইনাল - নিউইয়র্ক-নিউজার্সি (রাত ১টা)।
ঢাকা/আমিনুল