মিরসরাইয়ে ডাকাত-আতঙ্ক, রাত জেগে এলাকাবাসীর পাহারা
Published: 24th, November 2025 GMT
দিবাগত রাত দেড়টা। হঠাৎ দরজা ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙে সাবেক সেনা সার্জেন্ট আবু সুফিয়ানের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ডাকাত ধারালো অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন তাঁকে। এরপর বাড়িতে থাকা নারী ও শিশুদেরও জিম্মি করে মারধর করা হয়। একে একে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মুঠোফোন লুট করে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।
১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মাছুমের তালুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থানায় অভিযোগ করেছিলেন আবু সুফিয়ান। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। অবশ্য শুধু ওই দিনই নয়; এ উপজেলায় গত চার মাসে এমন অন্তত নয়টি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ডাকাত দল মধ্যরাতে হানা দিয়েছে। বেশির ভাগ ডাকাতিই হয়েছে প্রবাসীদের বাড়িতে। পরপর এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গত চার মাসে উপজেলার হিঙ্গুলী, খৈয়াছড়া, মিরসরাই পৌরসভা ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের নয়টি বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামেই ডাকাতি হয়েছে চারবার। নয়টির আটটি ডাকাতিই হয়েছে প্রবাসীদের বাড়িতে। এসব ঘটনায় ৪২ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ টাকা ও ২২টি মুঠোফোন লুট হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এখন নিজ উদ্যোগেই পাহারা দিচ্ছেন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই রাত হলেই গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে লাঠি হাতে পাহারায় বসেন তরুণেরা। গ্রামটিকে সাত ভাগ করে প্রায় ১৫০ জন মানুষ এতে অংশ নেন। মাঝেমধ্যে পুলিশের টহল দলের সদস্যরাও তরুণদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন।গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এখন নিজ উদ্যোগেই পাহারা দিচ্ছেন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই রাত হলেই গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে লাঠি হাতে পাহারায় বসেন তরুণেরা। গ্রামটিকে সাত ভাগ করে প্রায় ১৫০ জন মানুষ এতে অংশ নেন। মাঝেমধ্যে পুলিশের টহল দলের সদস্যরাও তরুণদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে এ উদ্যোগের সংগঠক স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত আগস্ট ও অক্টোবর মাসে আমাদের এলাকায় একে একে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা এক হয়ে এলাকা পাহারা দিচ্ছি। পাহারা শুরু করার পর আর ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।’
মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের হাজিরসরাই গ্রামে গত শুক্রবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে তোলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ড ক ত র ঘটন ইউন য ন র ম রসর ই উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।
নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল
এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।
হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।
এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।
অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।
দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।
ঢাকা/আমিনুল