সিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে তরুণকে অপহরণের পর হত্যা, আরও একজন গ্রেপ্তার
Published: 8th, December 2025 GMT
সিলেটের কানাইঘাটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইফুল ইসলামকে (২০) অপহরণের পর খুনের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানার ঝাউচর মেঘনাঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে সাইফুল ইসলামকে অপহরণের পর কানাইঘাটের লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের রাতাছড়া গ্রামে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ছলু মিয়া ২ ডিসেম্বর কানাইঘাট থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা দু-একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার তরুণের নাম শাকিল আহমদ (২২)। তাঁর বাড়িও রাতাছড়া গ্রামে। ওই ঘটনায় এর আগে শাকিলের বাবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত সাইফুল ও শাকিলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি দুজনের মধ্যে দুই লাখ টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ঘটনার দিন শাকিল সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নিয়ে দনা বাজারে যান। সন্ধ্যায় সাইফুলের ভাই সুফিয়ান আহমদ দনা বাজার থেকে বাবাকে ফোন দিয়ে জানান, শাকিল মোটরসাইকেলে করে সাইফুলকে তাঁদের বাড়ির দিকে নিয়ে গেছে। পরে বাড়িতে সাইফুলকে বেঁধে মারধর করা হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুকে আঘাত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বাড়ির পূর্ব পাশের জঙ্গলে হাত-পা বেঁধে ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা।
আরও পড়ুনসিলেটে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে অপহরণ, পরে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ০১ ডিসেম্বর ২০২৫পরে সাইফুলকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত শাকিলের বাবা এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এবার প্রধান অভিযুক্ত শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হলো।
র্যাব-৯-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) কে এম শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শাকিলকে সিলেটের কানাইঘাট থানায় হস্তান্তরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
এবার পাকিস্তানের প্রথম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান হলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির
আরও ক্ষমতাধর হয়ে উঠলেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি তিনি এখন দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীরও (সিডিএফ) প্রধান। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকার তাঁকে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান করার প্রস্তাব দেন। সেদিনই ওই প্রস্তাব দেশটির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠানো হয় এবং তিনি প্রস্তাবে অনুমোদন দেন।
চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাতের কিছুদিন পর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন জেনারেল আসিম মুনির। তিনি পাঁচ বছরের জন্য দেশটির সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় এবং ছয় দশকের বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির প্রথম ফিল্ড মার্শাল।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর বর্তমান পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের (২০২৬) মার্চে। তারপর তাঁর বৃদ্ধি করা মেয়াদ কার্যকর হবে।
এ ছাড়া বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জারদারি এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমদ বাবর সিধুর মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তাঁর বর্তমান পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর (২০২৬) মার্চে। তারপর তাঁর বৃদ্ধি করা মেয়াদ কার্যকর হবে।এর আগে গত ১২ নভেম্বর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট সংবিধানের ২৪৩ নম্বর ধারা সংশোধনীর মাধ্যমে আসিম মুনিরকে দেশটির আইনের ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যায়।
সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীর মাধ্যমে শাহবাজ শরিফ সরকার আসিম মুনিরের যেকোনো অপরাধ বা প্রশাসনিক অভিযোগের ক্ষেত্রে আজীবন আইনগত দায়বদ্ধতা থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেছে।
২০২২ সালে আসিম মুনির আইএসআই প্রধান থেকে পাকিস্তানের ১১তম সেনাপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি পান।
এরপর ২০২৫ সালের মে মাসে ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাত ঘটে, যা পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ নামে অভিহিত করে। ভারতের দিক থেকে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই সংঘাতের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই, গত ২০ মে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের পর পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করা হয়।
আরও পড়ুনআসিম মুনির: পাকিস্তানের নতুন ‘সুলতান’০৩ ডিসেম্বর ২০২৫আইয়ুব খান ১৯৫৮ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর নিজেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করেন, যা ছিল একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত।
ফিল্ড মার্শাল একটি পাঁচ তারকা সামরিক পদমর্যাদা। এটি সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ পদ। এটি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও বিরল পদ, যা সাধারণত ব্যতিক্রমী সামরিক অবদানের জন্য দেওয়া হয়। পদটি জেনারেলের চেয়েও উচ্চতর। এটি একটি আনুষ্ঠানিক বা যুদ্ধকালীন পদমর্যাদা হিসেবে বিবেচিত হয়, নিয়মিত সেনা কাঠামোতে এটি খুব কম ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুনসংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল১৯ নভেম্বর ২০২৫