বগুড়ায় পালিয়ে বিয়ের পর তিন মাসের মাথায় যৌতুক না পেয়ে আফিয়া আকতার (১৯) নামের এক তরুণীকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বগুড়া শহরের কৈপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় আফিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী রিয়াজুল নাফিজকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

রিয়াজুল বগুড়ার কাহালু উপজেলার নশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত আফিয়া আকতার একই উপজেলার মুরইল পোড়ামারা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, প্রেমের সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় রিয়াজুল নাফিজ তিন মাস আগে আফিয়া আকতারকে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁরা বগুড়া শহরের কৈপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় ছিলেন।

নিহত আফিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর নাফিজ যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। এসব না দেওয়ায় আফিয়াকে নির্যাতন শুরু করেন। বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার আফিয়া বাবার বাড়িতে চলে যান এবং রোববার দুপুরে ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। সন্ধ্যায় আফিয়া মুঠোফোনে মা–বাবাকে একাধিকবার ফোন করে তাঁকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান। পরে স্বজনেরা কৈপাড়ার বাসায় গিয়ে ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং নাফিজকে আটক করে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, আফিয়ার পরিবার অভিযোগ করেছে, যৌতুকের টাকা ও মোটরসাইকেল না পেয়ে নাফিজ নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে নাফিজের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য় র পর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় যৌতুকের দাবিতে তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ, স্বামী আটক

বগুড়ায় পালিয়ে বিয়ের পর তিন মাসের মাথায় যৌতুক না পেয়ে আফিয়া আকতার (১৯) নামের এক তরুণীকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বগুড়া শহরের কৈপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসার জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় আফিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী রিয়াজুল নাফিজকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

রিয়াজুল বগুড়ার কাহালু উপজেলার নশিপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহত আফিয়া আকতার একই উপজেলার মুরইল পোড়ামারা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে।

পুলিশ ও স্বজনদের তথ্য অনুযায়ী, প্রেমের সম্পর্ক দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় রিয়াজুল নাফিজ তিন মাস আগে আফিয়া আকতারকে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাঁরা বগুড়া শহরের কৈপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় ছিলেন।

নিহত আফিয়ার স্বজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর নাফিজ যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। এসব না দেওয়ায় আফিয়াকে নির্যাতন শুরু করেন। বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার আফিয়া বাবার বাড়িতে চলে যান এবং রোববার দুপুরে ভাড়া বাসায় ফিরে আসেন। সন্ধ্যায় আফিয়া মুঠোফোনে মা–বাবাকে একাধিকবার ফোন করে তাঁকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান। পরে স্বজনেরা কৈপাড়ার বাসায় গিয়ে ঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং নাফিজকে আটক করে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, আফিয়ার পরিবার অভিযোগ করেছে, যৌতুকের টাকা ও মোটরসাইকেল না পেয়ে নাফিজ নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। মামলা হলে নাফিজের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ