মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে পুনর্বহালের দাবি
Published: 20th, January 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দি মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিজেকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন ওই পদ থেকে বিতাড়িত নজরুল ইসলাম।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানান নজরুল ইসলাম। বেশ কয়েকজন অভিভাবক ও এলাকাবাসীও মানববন্ধনে যোগ দেন।
মানববন্ধনে স্থানীয়রা জানান, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর স্থানীয় স্বার্থান্বেষী মহল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামকে জোরপূর্বক মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়। নজরুল কখনো কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এরপরও অন্যায়ভাবে তাকে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী বলেন, নজরুল ইসলাম ১৯৮৯ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ হিসেবে ছিলেন। এরপর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল লতিফ চৌধুরী তাকে প্রশাসনের যথাযথ নিয়মে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেন। গত ৩৬ বছর এই মাদ্রাসায় কর্মরত থেকে এটিকে আলিম স্বীকৃতিসহ এমপিওভুক্ত করা এবং এর উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তার কারণেই প্রতিষ্ঠানটি থেকে এলাকার শত শত ছাত্র ছাত্রী দ্বীন শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ নজরুলকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরিয়ে মাদ্রাসাটিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
এ সময় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ রুহুল আমিন ও তার অনুসারী কতিপয় শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রদের নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। তাকে ষড়যন্ত্র করে মাদ্রাসা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ এনে এবং কোনো কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়ে তাকে মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার পদ দখল করার অপচেষ্টা চলানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ৬ আগস্ট উপাধ্যক্ষ রুহুল আমিনের নেতৃত্বে কতিপয় শিক্ষক ছাত্র তাকে জোর পূর্বক পদত্যাগ করানোর জন্য মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার অফিসের যাবতীয় কাগজপত্র জোর করে উপাধ্যক্ষ নিজের আয়ত্তে নিয়ে উপজেলা আইসিটি অফিসার জাহাঙ্গীর আলমকে দিয়ে দেন। এরপর থেকে তাদের বাধার কারণে তিনি মাদ্রাসায় প্রবেশ করতে পারছেন না। ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে রক্ষার করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক এবং মাদ্রাসার সভাপতিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নজর ল ইসল ম ষড়যন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিজু নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় পুকুর থেকে সিজু মিয়ার (২৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট) রুনা লায়লা ও গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শরিফুল আলম।
আরো পড়ুন:
অধ্যাপক জওহরলাল বসাকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
‘এইচ টি ইমামের’ বন্ধ কারখানায় ডাকাতির চেষ্টা, আটক ৬
এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য।” সিজু নিহত হওয়ার পর স্থানীয়ভাবে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পার্শ্ববর্তী সাঘাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরে ঝাঁপ দেন সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুকুরের কচুরিপানার ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পরদিন শনিবার পুকুরে সিজুকে পিটিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেই দিনই গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কর্যালয় ঘেরাও এবং সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। গত রবিবার সিজু নিহতের প্রতিবাদে সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়রা।
নিহত সিজু গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন।
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ