রুদ্ধশ্বাস জয়ে ঢাকার ‘প্রতিশোধের’ হাসি
Published: 20th, January 2025 GMT
ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারাতে শেষ ৬ বলে ২৩ রান দরকার ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। এই দুই দলের প্রথম মুখোমুখিতে সিলেট জিতেছিল। আজ ঢাকার প্রতিশোধের লড়াই। আজও কী তারা তীরে এসে তরী ডোবাবে?
ঢাকার ভরসা ছিল মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু বাঁহাতি পেসার প্রথম বলে ছক্কা হজম করলে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ায়। পরের বল ওয়াইড। বৈধ দ্বিতীয় বলে ব্যাটসম্যান সামিউল্লাহ শেনওয়ারি চার হাঁকালে প্রবল চাপে পড়ে যায় ঢাকা।
এরপর মাঠে ছোটখাটো মিটিং হয়ে যায়। মোস্তাফিজ, পেরেরা, সাব্বির, মোসাদ্দেক যোগ দিয়ে পাল্টে ফেলেন পরিকল্পনা। ফিল্ডিং সেটআপে পরিবর্তন করে মোস্তাফিজ তৃতীয় বলে ১ রানের বেশি দেননি। স্ট্রাইকে যান এবার আরিফুল। এর আগে ১২ বলে ২৯ রান করা আরিফুল তখন যাকে পাচ্ছিলেন তাকেই পেটাচ্ছিলেন অবস্থা। কিন্তু মোস্তাফিজে আটকে যান সিলেটের অধিনায়ক। তার ফুলটস বল স্কুপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফিরতি ক্যাচ দেন। এরপর সিলেটকে আর ম্যাচে ফেরাতে পারেনি কেউ।
আরো পড়ুন:
এবার দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক পরিবর্তন
লিটন-পেরেরা ২৮ বলে ৮১ রানের জুটিতে ঢাকার চ্যালেঞ্জিং স্কোর
ঢাকার করা ১৯৬ রানের জবাবে সিলেট শেষ পর্যন্ত করতে পারে ১৯০ রান। ৬ রানের জয়ে ‘প্রতিশোধের হাসি’ ফুটেছে ঢাকার খেলোয়াড়দের মুখে। নয় ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে সিলেটের এটা আট ম্যাচে ষষ্ঠ পরাজয়।
বিস্তারিত আসছে …
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
সংস্কার শেষে ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার চালু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ করার মধ্য দিয়ে এ কারার যাত্রা শুরু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের আটটি কারাগারের সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ও ফেনী জজ আদালতে বিচারাধীন মামলার আসামিদের রাখা হবে।
কারা সূত্র জানায়, দেশের পুরোনো চারটি কারাগারের মধ্যে ফেনী-২ কারাগার একটি। শত বছরের পুরোনো এ কারাগার ভবন ছিল জরাজীর্ণ। এ কারণে ২০১৯ সালে ১২ জানুয়ারি এ কারাগার থেকে বন্দীদের ফেনীর শহরতলির রানীরহাট এলাকার নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে কারাগারটি অনেকটা ‘পরিত্যক্ত’ অবস্থায় ছিল।
নতুন করে চালু হওয়া কারাগারটির অবস্থান ফেনী শহরের মাস্টারপাড়ায়। এটি ১৯১৫ সালে সাবজেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ১৯৯৮ সালে জেলা এটিকে কারাগারে উন্নীত হয়। এ কারাগারের বর্তমান ধারণক্ষমতা ১৭২ জন। এর মধ্যে ১৭০ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। কারাগার চালু করার জন্য গতকাল কুমিল্লা জেলা কারাগার থেকে ২৪ জন ও চট্টগ্রাম থেকে চারজন বন্দীকে আনা হয়েছিল। তাঁরা সবাই সশ্রম সাজাপ্রাপ্ত। এ কারাগারে তাঁরা রান্নার দায়িত্বে থাকবেন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ধাপে ধাপে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন বন্দীদের ফেনীর দ্বিতীয় কারাগারে আনা হবে। আপাতত এতে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২৬ জন, কুমিল্লা থেকে ৭৪ জন, নোয়াখালী থেকে ১৫ জন, লক্ষ্মীপুর থেকে ৪ জন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৩৩ জন বন্দী এখানে স্থানান্তর করা হবে। এতে সেল, রান্নাঘর, কিশোর ওয়ার্ড, মসজিদসহ প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে। এ কারাগার নিয়ে বর্তমানে দেশে কারার সংখ্যা ৭১।
জানতে চাইলে ফেনী-২–এর জেল সুপার মো. দিদারুল আলম বলেন, ‘রাষ্ট্র চায়, কারাগার শুধু শাস্তির জায়গা নয়, সংশোধনের কেন্দ্র হোক। এরই অংশ হিসেবে সংস্কার শেষে ফেনী কারাগার-২ চালু হয়েছে।’
কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার ফেরদৌস মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ কারাগারে স্থানান্তরিত বন্দীদের সব সুযোগ-সুবিধা ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। চিকিৎসক ও প্রশিক্ষিত নার্সও যোগদান করেছেন। বেশির ভাগ পদে কর্মচারীরাও কাজ শুরু করেছেন।’