জামায়াত নেতার মাছ লুটের পর বিক্রি, বিএনপির ২ জন বহিষ্কার
Published: 21st, January 2025 GMT
জামায়াত নেতার গাড়িভর্তি মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগে যশোরের মনিরামপুরে বিএনপির দুই জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের তথ্য জানিয়েছেন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য মাহাবুবুর রহমান ও ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য রাজিব। বহিষ্কৃত দুইজন কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকতে পারবেন না বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, দলের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, কেউ দলীয় শৃঙ্খলাপন্থী কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। উপজেলা বিএনপির সুপারিশে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের যেই হোক না কেন; দলীয় শৃঙ্খলাপন্থী কাজ করলেই আমরা বহিষ্কার করছি।
বহিষ্কৃত ওই দুজনের বিরুদ্ধে গত শনিবার গাড়িভর্তি মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। তারা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের মাছ ভেবেই সেগুলো লুট করেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়।
স্থানীয় রাজনীতিকরা জানিয়েছেন, মাছ লুটের ঘটনার সাথে সাথেই তথ্য পেয়ে নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতারা তা উদ্ধারে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ঘটনার পর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান বলেছিলেন, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মাহাবুব ও রাজিব নামে দুজনকে মাছ লুটের সঙ্গে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পরে তাদের কাছ থেকে মাছ বিক্রির সব টাকা উদ্ধার করে মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র সদস য ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাহত ২ পুলিশ সদস্য
বগুড়ায় সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেপ্তার করতে গিয়ে আসামিপক্ষের লোকজনের হামলায় পুলিশের দুই সদস্য ছুরিকাহত হয়েছেন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া পৌরসভার বারপুর (বড় কুমিড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাহত দুজন হলেন বগুড়ার উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই জাহাঙ্গীর আলম ও কনস্টেবল মানিকুজ্জামান। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিশাত নামে এক বছরের সাজা পাওয়া এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে বেলা ১১টার দিকে বারপুর এলাকায় যান পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও মানিকুজ্জামান। এ সময় আসামিসহ তাঁর লোকজন পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং দুই পুলিশ সদস্য ছুরিকাহত হন। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির প্রথম আলোকে বলেন, ছুরিকাহত পুলিশের দুই সদস্যকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, আহত পুলিশ সদস্যদের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁদের অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।