সুন্দর ও নিরপেক্ষ সাধারণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের যেন উর্ধ্বগতি না হয় ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছু মিলে ভবিষ্যতে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে হবে। স্থিতিশীলতার জন্য বাংলাদেশে স্বাভাবিক রাজনীতি, সামাজিক সুন্দর পরিবেশ ও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা দরকার। আরেকদিকে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রয়োজন।’’  

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ মাঠে মরহুম আরাফাত রহমান কোকে স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

এ সময় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘‘আরাফাত রহমান কোকো একজন পরিচ্ছন্ন নির্ভেজাল ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি বিকেএসপির অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। এ দেশে আধুনিক ক্রিকেটসহ খেলাধূলার প্রসারে তিনি অবদান রেখেছেন। তিনি কখনো রাজনীতির সঙ্গে জড়াননি। অথচ বিগত সরকার তাকে সম্মান তো দেয়নি বরং রাজনৈতিক বিদ্বেষী হয়ে তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে নানাভাবে নির্যাতন করে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের মানুষের দুঃসময়ে জিয়াউর রহমান পাশে ছিলেন: হাবিব

মাছ লুট করে বিক্রির অভিযোগ, বিএনপির ২ সদস্য বহিষ্কার

পরে ট্রফি উন্মোচন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ মাঠে এ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। 

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন চৌধুরী কামরু, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি এম এ হাসেম, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আব্দুর রব শামীম, মহসিন কবীর স্বপন প্রমুখ।

লক্ষ্মীপুর কলেজ রোড ক্রীড়া সংঘের উদ্যোগে মরহুম আরাফাত রহমান স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। টুর্নামেন্টে জেলার মোট ৩০টি দল অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন লন্ডন প্রবাসী বিএনপি নেতা তানিম এনাম।
 

ঢাকা/লিটন/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র সরক র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ