ঢাবির কলা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা শনিবার, প্রতি আসনে লড়বেন ৪৩ জন
Published: 24th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার বেলা ১১টায় আটটি বিভাগে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে এ ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪১৮ শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এতে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৪৩ শিক্ষার্থী। গত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
পরীক্ষা উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে, সকাল ১০টার মধ্যে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।
এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের আসনবিন্যাস প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের ড্যাশবোর্ডে আসন দেখতে পারবেন।
পরীক্ষার বিষয়ে প্রবেশপত্রে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূলকপি সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। প্রশ্ন ও উত্তরপত্রে সব লেখায় কালো কালির বলপয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। পেন্সিল ব্যবহার করা যাবে না। এ ছাড়া ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ব্লু-টুথ বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা যন্ত্র পরীক্ষার হলে নেওয়া যাবে না। পরীক্ষা চলাকালে হলে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছে এ ধরনের কোনো ডিভাইস পাওয়া গেলে তাঁর ভর্তি পরীক্ষা সরাসরি বাতিল হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫