ভারতের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
Published: 26th, January 2025 GMT
বিশ্বকাপের সুপার সিক্স পর্বে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করতে টাইগ্রেসদের জন্য এই ম্যাচে জয় ভীষণ প্রয়োজন। একই সঙ্গে, এটি একপ্রকার প্রতিশোধের ম্যাচও। ৩৪ দিন আগে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বেউয়েমাস ওভালে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন ভেঙেছিল সুমাইয়া আক্তারদের দল।
এদিন টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ভারত অধিনায়ক নিকি প্রসাদ। রোববার মালয়েশিয়ার বেউয়েমাস ওভালে বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে খেলা শুরুতে কিছুটা দেরি হয়। তবে, বৃষ্টির প্রভাব থাকলেও ম্যাচের ওভার সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সুপার সিক্সের গ্রুপ ১-এ ২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ এসেছে। এই পর্বে ছয় দল থেকে প্রত্যেকে দুটি করে ম্যাচ খেলবে, যেখানে সেরা দুটি দল যাবে সেমিফাইনালে।
প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জয় তুলে নিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। ভারতের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট। আজকের ম্যাচে জয় পেলে ভারতেরও পয়েন্ট হবে ৬। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি কেবল আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হবে।
বাংলাদেশ একাদশ: সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আশিমা ইরা, মোসাম্মৎ ইভা, ফাহমিদা ছোঁয়া, হাবিবা ইসলাম পিংকি, আনিসা আক্তার সোবা, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, জান্নাতুল মাওয়া, সাদিয়া আক্তার, সাদিয়া ইসলাম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫