রোটারি ক্লাব অব চিটাগং পিস মেমবার্সের নিয়মিত সভা ও জন্মোৎসব সম্প্রতি আনন্দঘন পরিবেশে একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন নজরুল ইসলাম বাবু, একেএম বদরুদ্দোজা, চৌধুরী আল জোবাইর, হুমায়ুন কবির, আরিফ শাহরিয়ার, এমএস জাহাঙ্গীর। এতে অনুভূতি প্রকাশ করেছেন দৈনিক সমকালের রিজিওনাল এডিটর ও  চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ এসএম সরওয়ার জাহান সুমন। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার ও এভিপি রোটারি ক্লাব অব চিটাগং পিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রঞ্জন বড়ুয়া বিপিএল টুর্নামেন্ট বিষয়ে মতামত জানান।
পরে ক্লাবের পারিবারিক পিকনিক বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন– মো.

হানিফ, নুরে আলম ভুঁইয়া, শাহজাহান চৌধুরী, আয়েস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, হুমায়ুন কবির, চৌধুরী আল জোবাইর। এতে শাহজাহান চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ হুমায়ুন কবির কো-চেয়ারম্যান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট পিকনিক কমিটি গঠন করা হয়।
এতে বক্তারা বলেন, ‘সমাজের জন্য কাজ করতে হবে। সমাজের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষ মানুষের জন্য কাজ না করলে কে করবে?’
তারা আরও বলেন, ‘রোটারি ক্লাব বিশ্বব্যাপী মানবতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। আজ রোটারি ক্লাবের চেষ্টায় বিশ্ব পোলিও মুক্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আমাদের দেশেও রোটারি ক্লাব দুর্গত ও গরিব মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। শুধু রোটারি ক্লাব নয়, সমাজের সব সেবামূলক প্রতিষ্ঠান যদি মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়ায় তাহলে মানুষ বেঁচে থাকার নতুন দিশা পাবে। রোটারি ক্লাব অব চিটাগং পিস মেমবার্স ভবিষ্যতেও সামাজিক ও সেবামূলক কাজ অব্যাহত রাখবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব অব চ ট গ

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ