পাকিস্তানের করাচিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। তিন দিন পর দুবাইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এ ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভারতের কোন বোলারকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় পড়তে পারে? কে আবার, যশপ্রীত বুমরা! এটা সাধারণ ভাবনা হলেও পাকিস্তান দলের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আকিব জাভেদ সে দলে নেই। পাকিস্তানের সাবেক পেসার উল্টো ভারতকেই পরামর্শ দিয়েছেন, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা যেন তাদের সেরা পেসার বুমরার যত্ন নেয়। অর্থাৎ বুমরার ফিটনেস নিয়ে ভাবতে বলেছেন ভারতকে।

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে যেখানে পিছিয়ে বাংলাদেশ৬ ঘণ্টা আগে

গত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেন বুমরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সে সিরিজে ৩২ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও হন বুমরা। কিন্তু পিঠের পুরোনো চোট সিডনিতে শেষ টেস্টে ফিরে এসেছিল। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করতে পারেননি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে বুমরা এখন আপাতত বিশ্রামে আছেন। চোটপ্রবণ হওয়ায় বুমরাকে সব টুর্নামেন্ট কিংবা সিরিজে খেলায় না ভারত। আইসিসির বড় টুর্নামেন্টে তাঁকে খেলানো হয় কিংবা বড় দলের বিপক্ষে সিরিজে। সে অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে বুমরাকে রেখেছে ভারত।

পাকিস্তানের অন্তবর্তীকালিন কোচ আকিব জাভেদ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ব্যাপারে দ্বিমত নেই কারও: পরিবেশ উপদেষ্টা

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে কারও দ্বিমত নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়টি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উঠেছিল। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্থায়ী ক্যাম্পাস লাগবে, এ ব্যাপারে কারও দ্বিমত নেই।

সোমবার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বহলবাড়ি এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তাবিত স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গা পরিদর্শনের সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা ৫১৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সম্পর্কে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বরাদ্দ ৫০০ কোটি বেশি নাকি কম, কাজ শুরু হলে আরও পাওয়া যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে হতাশার কিছু নেই। চলনবিল অধ্যুষিত বড়াল নদী এবং গোচারণ ভূমির ক্ষতি না করে পরিবেশ ঠিক রেখে ক্যাম্পাস নির্মাণের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।

এর আগে ঢাকা থেকে সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছান পরিবেশ উপদেষ্টা। এ সময় তাঁকে স্বাগত জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ জমি এবং এর আশপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখেন পরিবেশ উপদেষ্টা। এরপর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য প্রস্তাবিত জায়গায় বৃক্ষরোপণ করেন। বৃক্ষরোপণ শেষে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ