কে বেশি কথা বলেন, নারী নাকি পুরুষ—এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা একটি গবেষণা করেছিলেন। তাতে দেখা গেছে, নারী ও পুরুষ প্রতিদিন একই পরিমাণে কথা বলেন। উভয়ে দৈনিক গড়ে ১৬ হাজার শব্দ বলেন।

সম্প্রতি ওই গবেষণার একটি হালনাগাদ ফলাফল জানানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, একটি নির্দিষ্ট বয়সসীমায় নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি কথা বলেন। এর বেশ কিছু কারণের কথাও গবেষণায় জানানো হয়েছে।

শব্দ ব্যবহারের তারতম্যের নিশ্চিত কারণ বের করতে পারেননি গবেষকেরা। তবে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে, ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের মধ্যে নারীরা মা হন। ওই সময় তাঁদের শিশুসন্তানের সঙ্গে অনবরত কথা বলতে হয়। একই বয়সসীমায় পরিবারের সদস্যদের সেবা করার কাজও নারীদের বেশি করতে হয়। এ কারণে তাঁদের প্রচুর কথা বলতে হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনটি এ মাসের শুরুতে ‘জার্নাল অব পারসোনালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল সাইকোলজি’তে প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, ‘আর উইমেন রিয়েলি (নট) মোর টকেটিভ দ্যান মেন? এ রেজিস্টার্ড রিপোর্ট অব বাইনারি জেন্ডার সিমিলারিটিজ/ডিফারেন্সেস ইন ডেইলি ওয়ার্ড ইউজ’।

২০০৭ সালে যে গবেষণাটি করা হয়েছিল, সেটাতে ৫০০ নারী ও পুরুষের দৈনন্দিন কথা বলা রেকর্ড করা হয়েছিল। পরে সেসব অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে শব্দ ব্যবহারের সংখ্যা বের করা হয়। তবে ওই গবেষণার অন্যতম দুর্বলতা ছিল, অংশগ্রহণকারীরা প্রায় সবাই কলেজপড়ুয়া, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের অস্টিনের বাসিন্দা।

হালনাগাদ প্রতিবেদনে গবেষকেরা ৬ লাখ ৩০ হাজার অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করেছেন। ১০ থেকে ৯০ বছর বয়সী ২ হাজার ১৯৭ নারী–পুরুষের কথা বলার রেকর্ড এগুলো। তাঁরা পৃথক চারটি দেশের বাসিন্দা।

গবেষকেরা বলছেন, কথা বলার তারতম্য বা শব্দ কম বা বেশি ব্যবহারের পার্থক্য দেখা যায় ২৫ থেকে ৬৪ বছরের নারী ও পুরুষের মধ্যে। এই বয়সসীমায় একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ২১ হাজার ৮৪৫টি শব্দ ব্যবহার করেন। একই বয়সসীমার একজন পুরুষ প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার ৫৭০টি শব্দ ব্যবহার করেন।

গবেষকেরা বলছেন, কথা বলার তারতম্য বা শব্দ কম বা বেশি ব্যবহারের পার্থক্য দেখা যায় ২৫ থেকে ৬৪ বছরের নারী ও পুরুষের মধ্যে। এ বয়সসীমায় একজন নারী প্রতিদিন গড়ে ২১ হাজার ৮৪৫টি শব্দ ব্যবহার করেন। একই বয়সসীমার একজন পুরুষ প্রতিদিন গড়ে ১৮ হাজার ৫৭০টি শব্দ ব্যবহার করেন।

শব্দ ব্যবহারের এই তারতম্যের নিশ্চিত কারণ বের করতে পারেননি গবেষকেরা। তবে সম্ভাব্য কিছু কারণের কথা বলা হয়েছে। এর একটি হচ্ছে, ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সের মধ্যে নারীরা মা হন। ওই সময় তাঁদের শিশুসন্তানের সঙ্গে অনবরত কথা বলতে হয়। একই বয়সসীমায় পরিবারের সদস্যদের সেবা করার কাজও নারীদের বেশি করতে হয়। এই কারণে তাঁদের প্রচুর কথা বলতে হয়। হরমোনজনিত শারীরিক পরিবর্তন নারীদের পুরুষের তুলনায় বেশি শব্দ ব্যবহারের কারণ হতে পারে।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কোনো মানুষ সারা দিনে মাত্র ১০০টি শব্দ ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ প্রতিদিন কথা বলতে ১ লাখ ২০ হাজার শব্দও ব্যবহার করেন।

গবেষকেরা ২০০৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ধারণ করা অডিও রেকর্ড পর্যালোচনা করে দেখেছেন, মানুষের কথা বলা ক্রমেই কমে আসছে। ২০০৫ সালে সব বয়সী মানুষ প্রতিদিন গড়ে ১৬ হাজার শব্দ ব্যবহার করতেন। ২০১৮ সালে তা দৈনিক গড়ে ১৩ হাজার শব্দে নেমে এসেছে।

মানুষের কথা বলার প্রবণতা কেন কমে আসছে—সেটা খুঁজে বের করতে আরও বিস্তারিত গবেষণার কথা বলা হয়েছে। অ্যারিজোনা ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা বলছেন, ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগের প্রবণতা আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় মানুষ তুলনামূলক কম কথা বলছেন। তবে এটা নিয়ে আরও গবেষণা করা দরকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড ২৫ থ ক ব র কর বলছ ন র করত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৭০

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও এর অধীন দপ্তরগুলোর রাজস্ব খাতভুক্ত পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ২ ক্যাটাগরির পদে মোট ৪৭০টি শূন্য পদে নিয়োগ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ৩ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবেদন শুরু হবে। ১৬তম গ্রেডের এসব পদে নিয়োগে আবেদন করা যাবে ১২ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা ব্যতীত সব জেলার নাগরিকেরা আবেদন করতে পারবেন অস্থায়ী এ নিয়োগে।

পদের নাম ও বিবরণ

১. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ২২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে অন্যূন দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ; কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা এবং মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সংযুক্ত অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও দপ্তরের কমন পদ নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯–এর তফসিল-২ ও ৪ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩২

২. হিসাব সহকারী

পদসংখ্যা: ২৪৬

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: কোনো স্বীকৃত বোর্ড থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অন্যূন উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং কম্পিউটারে এমএস অফিসে কাজ করার দক্ষতা।

বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (১৬তম গ্রেড)

বয়সসীমা: ১৮ থেকে ৩২

আরও পড়ুনসিনিয়র অফিসার নেবে বেসরকারি ব্যাংক, বেতন ৪০০০০১৪ ঘণ্টা আগেআবেদনসংক্রান্ত নিয়মাবলি

১। পরীক্ষায় অংশগ্রহণে আগ্রহী প্রার্থীরা https://dper.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করবেন (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা ব্যতীত)।

২। যোগ্যতা থাকলে একজন প্রার্থী একাধিক পদে আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য তাঁকে আলাদা আলাদা ফি জমা দিতে হবে, তবে একই সঙ্গে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে কেবল একটি পদে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

আবেদন ফি

ভ্যাটসহ আবেদন ফি ১১২ টাকা (শারীরিক প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫৬ টাকা)। আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফি জমা দিতে হবে।

প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, আবেদন ডাকযোগে
  • প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, পদ ৪৭০