আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মাঠে গড়াবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি। যেখানে খেলবে বাংলাদেশও। বাংলাদেশ দল ছাড়াও মাঠের দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে একমাত্র বাংলাদেশি প্রতিনিধি হিসেবে আছেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহিদ সৈকত। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনেই মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার করাচির ওই ম্যাচে অপর ফিল্ড আম্পায়ার হলেন রিচার্ড ক্যাটেলবরা। এছাড়া জোয়েল উইলসন থাকবেন টিভি আম্পায়ার। অন্যদিকে আলেক্স রোয়াফট থাকবেন চতুর্থ আম্পায়ার। ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালন করবেন অ্যান্ড্রু পেক্রফট।

২১ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশি এই তারকা।

এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচের ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করবেন সৈকত। তার সঙ্গে থাকবেন জোয়েল উইলসন।

আরো পড়ুন:

টানা দুই জয়ে ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড

অভিষেকে ১৫০ করে ব্রিটজকের বিশ্বরেকর্ড

১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন সৈকত।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম প য় র

এছাড়াও পড়ুন:

পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’

পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ। 

সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।

মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”

এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।

পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”

এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে। 

তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ