বিজিবি নেবে সিপাহি, আবেদন শেষ কাল
Published: 12th, February 2025 GMT
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে (বিজিবি) সিপাহী নিয়োগের আবেদন শেষ হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এ বাহিনীতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ১০৪তম ব্যাচে সিপাহি (জিডি) পদে পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থী নেওয়া হবে। সব জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতাসিপাহি পদে আবেদনের জন্য নারী ও পুরুষ উভয় প্রার্থীদের এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–৩ এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ–২.
পুরুষ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি, ওজন হতে হবে ৪৯.৮৯৫ কেজি। বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩৪ ইঞ্চি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, ওজন ৪৭.১৭৩ ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩২ ইঞ্চি। নারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন ৪৭.১৭৩ কেজি এবং বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ২৮ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি থাকতে হবে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে উচ্চতা ৫ ফুট, ওজন ৪৩.৫৪৪ ও বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩৮ ইঞ্চি ও স্ফীত অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি। উভয় প্রার্থীদের দৃষ্টিশক্তি লাগবে ৬/৬।
বয়স৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখে পুরুষ ও নারী উভয় প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন৯ ব্যাংকে সিনিয়র অফিসারের পদ ১,৫৫৪, আবেদনের সময় বৃদ্ধি০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বৈবাহিক অবস্থাঅবিবাহিত। তালাকপ্রাপ্ত গ্রহণযোগ্য নয়।
যেভাবে আবেদনবর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নিয়োগসংক্রান্ত এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছয়টি ধাপ অনুসরণ করে আবেদনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদন ফিডিজিটাল পদ্ধতিতে ৫৬ টাকা ব্যাংকিং কার্ড অথবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।
আরও পড়ুনসেনাবাহিনী নেবে সৈনিক, আবেদন চলবে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫যেসব কাগজপত্র আনতে হবেভর্তির সময় প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাসের মূল/প্রভিশনাল সনদ, সংশ্লিষ্ট স্কুল বা কলেজের প্রধান শিক্ষক বা অধ্যক্ষ কর্তৃক এইচএসসি বা সমমান এবং এসএসসি বা সমমান পাসের প্রশংসাপত্র (যাতে প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা ও জন্মতারিখ উল্লেখ থাকবে), অভিভাবকের অনুমতিপত্র, ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে বাংলাদেশি স্থায়ী নাগরিকত্বের সনদ, চারিত্রিক সনদ, সদ্য তোলা ১১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, অবিবাহিত সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপিসহ সত্যায়িত ফটোকপি এবং প্রবেশপত্রের কপি সঙ্গে আনতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
আরও পড়ুনট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজে বড় নিয়োগ, পদ ৬৮৯২৫ জানুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ক র ম প স ব ভ ব ক অবস থ য় ও স ফ ত অবস থ য় উভয় প র র থ সমম ন প
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না।
গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।”
তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।”
এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।”
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ