নরসিংদীর রায়পুরার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ের দেয়ালে ‘মরার জন্য অপেক্ষা কর, জয় বাংলা’ লিখে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চরসুবুদ্দি ইউনিয়নের চরসুবুদ্দি বাজারের বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আজ শুক্রবার বিকেলে চরসুবুদ্ধি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. দানিশ মিয়া ৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, গত বুধবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত বিএনপি কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ওই সময় কার্যালয়ের দেয়ালে কয়েক জায়গায় রং ব্যবহার করে ‘মরার জন্য অপেক্ষা কর, জয় বাংলা’ লিখে তারা। এ সময় চেয়ার, টেবিল, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

এ সময় স্থানীয় লোকজন বিএনপি কার্যালয়ে আগুন জ্বলতে দেখে এগিয়ে আসে পানি ও বালু ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সহসম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেন, জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, এ ঘটনায় বিএনপির পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র চরস ব দ

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ