এক সঙ্গে বাংলা মদ পান শেষে পলাশকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ২ বন্ধু: পুলিশ
Published: 17th, February 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অটোরিকশাচালক পলাশকে হত্যার ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া অটোরিকশার চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে আরও দুই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো.
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহীর তানোরের মো. রকি (৩২), মতিহার থানার মো. জনি (২৪), তানোরের হাতিশাহিলপাড়ার মো. জুয়েল (৪০) ও নওগাঁর চৌবাড়ীয়া পশ্চিমপাড়ার মো. সানোয়ার হোসেন (২৪)। তাদের মধ্যে চোরাই যন্ত্রাংশ কেনার অভিযোগে জুয়েল ও সানোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার কালীনগর গোদাইটোলা গ্রামের বাসিন্দা পলাশ অটোরিকশা নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে যান। ওই দিন সন্ধ্যায় আমনুরা-লক্ষ্মীপুর মোড়ে ছেলের অটোরিকশায় তার দুই বন্ধু জনি ও রকিকে দেখেন পলাশের বাবা ও মামলার বাদি। গভীর রাত হলেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় স্বজনদের বাড়িতে পলাশের খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু না পেয়ে সদর মডেল থানায় জিডি করেন পলাশের বাবা। এর তিনদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ঝিলিম ইউনিয়নের আতাহির নয়ানগর সরকারি সার গোডাউনের পাশের একটি সরিষাখেত থেকে নিহত পলাশের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের সময় তার গলায় মাফলার পেঁচানো ছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ প ইনব বগঞ জ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫