খেলাটা তাহলে ভারত আর দুবাইয়ের
Published: 19th, February 2025 GMT
বিসিবির এক সাবেক সভাপতি একবার কুয়ালালামপুরে গিয়েছিলেন আইসিসির কী একটা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তিনি নিজেও তখন আইসিসির বড় পদ অলঙ্কৃত করে আছেন। কিন্তু কুয়ালালামপুরে গিয়ে ভদ্রলোক বেজায় ক্ষুব্ধ হলেন। আইসিসির এত বড় একটা অনুষ্ঠান অথচ বিমানবন্দর থেকে মাঠ পর্যন্ত কোথাও একটা ব্যানার–ফেস্টুন নেই! এ জন্যই নাকি মালয়েশিয়ার ক্রিকেট এগোচ্ছিল না!
আরও পড়ুনএকটি ব্যাট কিনতে অর্ধেক পারিশ্রমিকেও কাজ করেছেন গুরবাজ৮ ঘণ্টা আগেকাল দুবাইয়ে পা দিয়ে সেই কথাটাই মনে পড়ল এবং হাসি পেয়ে গেল। বাংলাদেশে ক্রিকেট যতটা না মাঠের বিষয়, কখনো কখনো এর ব্যাপ্তি তার চেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরে। মাঠের বাইরে রং না লাগা মানেই যেন টুর্নামেন্টটা ঠিক জমল না। এসব দেশে বিষয়টা তেমন নয়। এখানে যার বিয়ে তার খবর যেমন ঠিকই থাকে, অন্যের বিয়েতে নাক না গলানো পাড়াপড়শিও এখানে ঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
দুবাই বিমানবন্দর থেকে শেখ জায়েদ সড়কের দুই পাশে আরও উঁচু এবং আরও চোখধাঁধানো হয়ে ওঠা অট্টালিকার সারি দেখতে দেখতে কাল একবারও মনে হয়নি, আরে, বুর্জ খলিফার মাথা থেকে কেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির একটা ব্যানার ঝুলছে না! সড়ক বিভাজনগুলোতে কেন টুর্নামেন্টের মোটিভ ফুটিয়ে তোলা হলো না! কেন বিশ্বকাপে পর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর উপলক্ষে বিশেষ আলোকসজ্জা নেই এই শহরে!
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫