Samakal:
2025-09-18@04:57:41 GMT

শেষবারের মতো মুখোমুখি তারা!

Published: 20th, February 2025 GMT

শেষবারের মতো মুখোমুখি তারা!

পনেরো বছর আগের কথা, শচীন টেন্ডুলকার-উত্তর সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন এক তারকার আগমন। তখনও বাংলাদেশের বিপক্ষে দেখা হয়নি তাঁর। অবশেষে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমবার তামিম ইকবালদের মুখোমুখি বিরাট কোহলি। 

প্রথম ম্যাচেই ৩ নম্বরে নেমে ৯১ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরির আক্ষেপ পূরণ করলেন ১০২ রানে অপরাজিত থেকে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে মোট ১৬ ওয়ানডে খেলেছেন কোহলি। রোহিত শর্মাও খেলেছেন মোট ১৭টি। আজ দুবাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে হয়তো শেষবারের মতো খেলতে নামবেন তারা। শেষবারের মতো তাদের মুখোমুখি হবেন হয়তো বাংলাদেশেরও দুই অভিজ্ঞজন– মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর মুশফিকুর রহিম। 

কেননা, বয়সের কারণেই এই চার তারকা ক্রিকেটার হয়তো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই ওয়ানডে থেকে নিজেদের সরিয়ে নেবেন। দুই দলের এই চার সিনিয়রের স্মৃতিতে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের অনেক গল্প গাথা লেখা আছে। জয়-পরাজয়ের অনেক আলোচিত ঘটনার সাক্ষী তারা। আজ যখন তারা মাঠে নামবেন, সেসবের কিছুই কি মনে পড়বে না তাদের? অবশ্য ফাইনালে এই দুটি দল পৌঁছালে আবারও তাদের দেখা হতে পারে এই দুবাইয়ে।

ভারত ম্যাচের উত্তাপে প্রথম ম্যাচেই আগুন হয়ে উঠেছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনের মাঠে সেই দিন ৩ নম্বরে নেমে চার ছক্কা হাঁকিয়ে রাহুল দ্রাবিড়দের হতবাক করে দিয়েছিলেন বছর উনিশের ছেলেটি। তার পর থেকে ভারত ম্যাচে দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেন মুশফিক। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফতুল্লায় ধোনিদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি এসেছে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেই। ২০১৭ সালের ১৫ জুন বার্মিংহামে সেমিফাইনালে ৬১ রান করেন তিনি। সেই ম্যাচে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান করেও অবশ্য ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ভারতের হয়ে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ১২৩ আর বিরাট কোহলি খেলেছিলেন ৯৬ রানের ইনিংস। 

ভারতের সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ ছিল ২০০৮ সালের ১২ জুন। মিরপুরে সেই ম্যাচে ২৪ করেছিলেন রিয়াদ। এর পর অবশ্য ৬০ ও ৬৪ রানের দুটি অপরাজিত ইনিংস ছিল তাঁর সেই মিরপুরেই। সর্বশেষ ২০২৩ বিশ্বকাপে পুনেতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছিলেন রিয়াদ। ৪৬ করেছিলেন তিনি সেই ম্যাচে। আজ দুবাইয়ে এই চার অভিজ্ঞ ব্যাটারের যে কেউ ম্যাচের নায়ক হতে পারেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক

অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।

বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক। 

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত

সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।

প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের  প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।

আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে  বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।

লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ