Risingbd:
2025-11-01@21:38:22 GMT

খালাস পেলেন অনন্ত জলিলসহ ৬ জন

Published: 23rd, February 2025 GMT

খালাস পেলেন অনন্ত জলিলসহ ৬ জন

প্রতারণার মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন চিত্রনায়ক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিলসহ ৬ জন।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ’র আদালত তাদের মামলার দায় হতে তাদের খালাস দেন।

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন-পোলো কম্পোজিট নিট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহানারা বেগম, ফাইন্যান্স পরিচালক মো.

শরীফ হোসাইন, সহকারী ব্যবস্থাপক সাকিবুল ইসলাম, সিনিয়র মার্চেন্ডাইজার মো. মিলন ও বাজেট অ্যান্ড অডিটের হেড অফ কস্ট শহিদুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অনন্ত জলিলসহ ৬ জনের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার বাদী শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী দুইপক্ষের মধ্যে আপস হয়েছে বলে মামলা প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সার্বিক দিক বিবেচনায় মামলাটি প্রত্যাহার করে আসামিদের খালাস দেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেনসাভারের বিরুলিয়ার শাফিল নাওয়াজ চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী মেসার্স স্টিচ ও কালার টেকনোলজির স্বত্বাধিকারীর পক্ষে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৩ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক তাপস চন্দ্র পন্ডিত দণ্ডবিধির ৪০৬/৪২০ ধারায় সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর আদালত এই তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের হাজির হতে সমন জারি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর আসামিরা পলো কম্পোজিট কোম্পানির নামে ব্যবসায়ী শাফিল নাওয়াজের কাছে গার্মেন্টস সম্পর্কিত কিছু কাজের জন্য অর্ডার দেন। এরপর শাফিল কাজ শুরু করে টাকা চান। অভিযুক্তরা কাজ চালিয়ে যেতে বলেন এবং এলসির মাধ্যমে টাকা দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে তারা আরো বেশ কিছু কাজের অর্ডার দেন। একই বছরের মার্চ পর্যন্ত বাদী সবগুলো কাজ আসামিদের বুঝিয়ে দেন। গত বছরের ১৫ মার্চ টাকা পরিশোধের জন্য মার্কেন্টাইল ব্যাংকে অভিযুক্তরা শাফিলের নামে একটি এলসি করেন। শাফিল টাকার জন্য ব্যাংকে যোগাযোগ করলে এলসির কাগজপত্রে ত্রুটির জন্য টাকা ওঠাতে ব্যর্থ হন। শাফিল চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ২৯ হাজার ২০০ ডলারের কাজ সম্পন্ন করলেও অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন কোম্পানিটি এখন পর্যন্ত এক টাকাও পরিশোধ করেনি।

ঢাকা/মামুন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য ব যবস তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ