ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য ও চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার আরিফকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ । এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শাহরিয়ার আরিফ।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

শাহরিয়ার আরিফ জানান, বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগ এর দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া দেলোয়ার ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এ বিষয়ে চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরে বিস্তারিত তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ প্রচারিত হয়। প্রচারিত সংবাদে তথ্য প্রমাণসহ আরো উল্লেখ করা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দেলোয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রচার করছে সে আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে সংবাদ প্রচার হলে ক্ষেপে যায় ল্যাংড়া দেলোয়ার।

এরপর হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভয়েজ রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে আমাকে হুমকি দেয়। দেলোয়ারের মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির ব্যাপারে অবগত হলে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের প্যাডে সংগঠনের তরফ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ল্যাংড়া দেলোয়ার ওরফে দেলু দলের কেউ নয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়। 

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। অবিলম্বে শাহরিয়ার আরিফকে প্রাণনাশের হুমকিদাতা বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগ এর দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

ঢাকা/এএএম/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের জানাজা অনুষ্ঠিত

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক সাঈদুর রহমান রিমন আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বুধবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় পেশাগত কাজে এসে দুপুর ১১টার দিকে তিনি বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।প্রথমে তাকে পাশের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে গাজীপুর শহীদ তাহউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 

আরো পড়ুন:

অনুমতি ছাড়া কাউন্সিলে নাম, প্রত্যাহার চেয়ে ক্ষোভ নূরুল কবীরের

সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে বললেন ‘ভুল করিনি, মাথা গরম ছিল’

বুধবার বাদ জোহর ডিআরইউ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে সাঈদুর রহমান রিমনের কফিনে শ্রদ্ধা অর্পণ করে কার্যনির্বাহী কমিটি।

এর আগে সাঈদুর রহমানের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উমর ফারুক আলহাদী ও সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ।

এ সময় ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য আকতারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া ডিআরইউয়ের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাঈদুর রহমান রিমনের মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল গভীর শোক প্রকাশ করেন। ডিআরইউ নেতারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি গাজীপুরের দৈনিক বাংলাভূমি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।এর আগে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া তিনি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের (বিএমএসএফ) সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। দীর্ঘ সাংবাদিকতা ক্যারিয়ারে বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ, সংবাদ, মানবজমিন, মুক্তকণ্ঠ, বাংলাবাজার পত্রিকা ও দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অনন্য প্রতিভার অধিকারী তিনি ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিংসহ অনেক পুরস্কার লাভ করেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের জানাজা অনুষ্ঠিত