সাংবাদিক শাহরিয়ার আরিফকে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ
Published: 25th, February 2025 GMT
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য ও চ্যানেল ২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার আরিফকে মোবাইল ফোনে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ । এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন শাহরিয়ার আরিফ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সভাপতি আবু সালেহ আকন এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এক বিবৃতিতে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
শাহরিয়ার আরিফ জানান, বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগ এর দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া দেলোয়ার ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এ বিষয়ে চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরে বিস্তারিত তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ প্রচারিত হয়। প্রচারিত সংবাদে তথ্য প্রমাণসহ আরো উল্লেখ করা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত দেলোয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রচার করছে সে আওয়ামী লীগের হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন। চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে সংবাদ প্রচার হলে ক্ষেপে যায় ল্যাংড়া দেলোয়ার।
এরপর হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ভয়েজ রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে আমাকে হুমকি দেয়। দেলোয়ারের মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির ব্যাপারে অবগত হলে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের প্যাডে সংগঠনের তরফ থেকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ল্যাংড়া দেলোয়ার ওরফে দেলু দলের কেউ নয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদ প্রকাশের জের ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। অবিলম্বে শাহরিয়ার আরিফকে প্রাণনাশের হুমকিদাতা বিমানবন্দর থানা শ্রমিক লীগ এর দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/এএএম/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিশুদের হাতে মোবাইল না দিতে বাসস চেয়ারম্যানের অনুরোধ
শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দিতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যান আনোয়ার আলদীন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ করেন।
বাসস চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা মেধাহীন হয়ে যাচ্ছে। শিশুদের মোবাইল ফোন না দিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখলে তাদের মেধার বিকাশ ঘটবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের যদি মেধাবী করে গড়ে তোলা হয়, তাহলে আগামী দিনের বাংলাদেশে সেই সুফল ভোগ করা যাবে।’’
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি গাযী আনোয়ার হোসেন ও সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানী।
ডিআরইউর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই তুহিন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির), আকতারুজ্জামান, আমিনুল হক ভূঁইয়া, মো. সলিম উল্ল্যা (এস ইউ সেলিম)-সহ ডিআরইউ সদস্যরা।
প্রতি বছরের মতো এবারো ডিআরইউ শিশু-কিশোর সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ডিআরইউর শফিকুল কবির মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ উৎসব চলে। এতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সংগঠনের সদস্যদের শতাধিক সন্তান অংশ নেয়। চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও আবৃত্তিতে ক, খ, গ বিভাগে ২৭ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এবারের প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কনে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র আর্টিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সহকারী অধ্যাপক কামাল উদ্দিন ও চিত্রশিল্পী শায়লা আক্তার। সংগীতে বিচারক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. অণিমা রায় এবং বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী ও সংগীত পরিচালক আলম মাহমুদ। আবৃত্তি বিভাগে বিচারক ছিলেন আবৃত্তিকার রেজিনা ওয়ালী লীনা, ফয়জুল আলম পাপ্পু ও শিশু একাডেমির আবৃত্তির প্রশিক্ষক রূপশ্রী চক্রবর্তী।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলো- চিত্রাঙ্কন ক বিভাগে প্রথম হোসেন রিজভান রাউসিফ, দ্বিতীয় আরাবি আল আবিদ, তৃতীয় ফাতেমা তাছনিম, খ বিভাগে প্রথম হয়েছে হোসেন রাজভীন রাউনাফ, দ্বিতীয় মেহজুবা ইবনাত সিমলা, তৃতীয় সানদিহা জাহান দিবা, গ বিভাগে প্রথম হয়েছে জাওয়াদ খান, দ্বিতীয় মারজুকা জয়নব, তৃতীয় অদ্বিতীয়া পূণ্য।
সঙ্গীত ক বিভাগে প্রথম হয়েছে, মুয়ান্তিরা রহমান সানাইয়া, দ্বিতীয় জাওয়াদ ইনাম সানান, তৃতীয় অরুন্ধতী কর গল্প, খ বিভাগে প্রথম তাসনুভা মাহরিন তানিশা, দ্বিতীয় আরাত্রিকা দাস বৃদ্ধি, তৃতীয় ওয়াজিহা মাহবুব শাইরা, গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় রাদিতা জাহান নুভা, তৃতীয় মাকসুদা রুকাইয়া।
আবৃত্তি ক বিভাগে প্রথম অরুন্ধতী কর গল্প, দ্বিতীয় তাহসিন হক আনিকা, তৃতীয় সুহায়লা জাইমা। খ বিভাগে প্রথম সানদিয়া জাহান দিবা, হোসেন রাজভীন রাউনাফ, আইনুন নাহার আকসা। গ বিভাগে প্রথম জেরিন ফেরদৌস পঙক্তি, দ্বিতীয় আনান মুস্তাফিজ, তৃতীয় মারজুকা জয়নব।
ঢাকা/এএএম/রাজীব