আরেকটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ সোমবার সকালে এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার দেখানো অপর চারজন হলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কাফরুল থানায় দায়ের করা আতিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, কামাল আহমেদ মজুমদার, কামরুল ইসলাম, এ কে এম শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে আদালতে হাজির করে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। আদালত তাঁদের প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে আনিসুল হকসহ অন্যদের আদালতে হাজির করে পুলিশ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৩ আগস্ট গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় সালমান এফ রহমানের ৫৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অন্যদিকে বিভিন্ন মামলায় আনিসুল হকের ৪৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তাঁর ৮৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গত বছরের ১৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন কামরুল ইসলাম। বিভিন্ন মামলায় তাঁর ১৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন কামাল আহমেদ মজুমদার। তাঁর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।

গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন এ কে এম শহীদুল হক। বিভিন্ন মামলায় তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গত বছর র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কালিয়াকৈরে বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবিতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রবিবার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার সাহেববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, গত ১৪ জুন কালিয়াকৈর উপজেলা, পৌরসভাসহ জেলার আটটি ইউনিটের কমিটি বাতিল করে গাজীপুর জেলা বিএনপি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। পরে শনিবার (১৪) সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিতে উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম সিকদার, সদস্য সচিব করা হয়েছে এম আনোয়ার হোসেনকে। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির আহ্বায়ক করা হয়েছে মামুদ সরকার ও সদস্য সচিব করা হয়েছে মহসিন উজ্জামানকে। 

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমেদ গ্রুপ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন । আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার (১৪ জুন) রাতেই বিক্ষোভ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর অনুসারীদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন পারভেজ গ্রুপের কর্মীরা।

একই দাবিতে রবিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পারভেজ আহমেদের পক্ষ নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে। এ সময়ে নতুন কমিটির পক্ষ থেকে আরেকটি মিছিল বের হলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। 

পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে এখনো এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানান, সকাল থেকে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া হলেও এখনো পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। 
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ