ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতায় অন্তত ৯ জন নিহত: এইচআরএসএস
Published: 3rd, March 2025 GMT
রাজনৈতিক সহিংসতায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ৬ জনসহ অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছেন। আর এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১০৪টি। তবে গত জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে সহিংসতার ঘটনা কিছুটা কমেছে।
আজ সোমবার মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
সংস্থাটি বলছে, ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতায় বিএনপির ৫ জন, আওয়ামী লীগের ১ জন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ১ জন নিহত হয়েছেন। অপর ২ জনের রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। আর এ ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১০৪টি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৭৫৫ জন।
গত জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সহিংসতা ও হতাহতের সংখ্যা কিছুটা কমেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, গত জানুয়ারি মাসে ১২৪টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১৫ জন এবং আহত হয়েছিলেন ৯৮৭ জন।
ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এইচআরএসএস বলছে, রাজনৈতিক সহিংসতার ১০৪টি ঘটনার মধ্যে বিএনপির অন্তঃকোন্দলের ঘটনা ঘটেছে ৫৮টি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪৯৪ জন ও নিহত হয়েছেন ৫ জন। বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ২৫টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১১৫ জন ও নিহত হয়েছেন ২ জন। বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে ৩টি সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের জেরে তিনটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের মধ্যে তিনটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, ভিকটিমের পরিবার ও এইচআরএসএসের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান এলাকায় ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানের সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মিরাজ হোসেন ও মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫